somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্ষমার আবেদন পত্র তৈরি হতে কত দেরী পাঞ্জেরী :-P :-P :-P

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে বাংলাদেশ এর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের স্বীকার বাংলাদেশ এর দুই মন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি। বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কে হত্যা করা নতুন কিছু নয়। এমনকি ফাঁসি দেওয়াও নতুন কিছু নয়। এর আগে কর্ণেল তাহের সহ অসং্খ্য রাজনীতিবিদ বিভিন্ন "অপরাধে" ফাঁসির কাষ্ঠে মৃত্যুকে বরন করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী যাকে চট্রগামের বাঘ বলা হয়ে থাকে ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ যিনি জামায়াত এর মন্ত্রী হিসেবে দূর্নীতি মুক্ত মন্ত্রালয় হিসেবে সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয় কে গড়ে তুলে ইতিহাস তৈরি করেছেন তারা ফাঁসি তে মৃত্যুকে বরন করে নিলেন।



বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ওঁরা ক্ষমা প্রাথনা করেছিলেন কি না? এই ব্যপারে সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদ দুইজনই তাদের পরিবারের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু হুট আল্লাহ এর প্রিয় বান্দা আমাদের আইনমন্ত্রী "ওহি" মারফত জানতে পেরেছেন যে এই দুইজনই রাষ্ট্রপতি এর কাছে ক্ষমা প্রাথনা করেছেন। এই ব্যপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন উনি এই ব্যপারে কোন "তথ্য" জানেন না। আর দুই পরিবার থেকে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করা হলে তিনি রাগারাগি শুরু করেন। এরপর তার পাশে দাঁড়ালেন সমস্ত আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। তাদের একটাই কথা না মুজাহিদ ও সালাউদ্দীন ক্ষমা চেয়েছেন। কয়েকজন তো আরো অনেক কিছু আবিস্কার করে ফেললেন।


ক্ষমা চাওয়ার যে নিয়মটা আমি জানি সে অনুযায়ী দন্ডিত অপরাধী তার আইনজীবির মাধ্যমে ক্ষমা প্রাথনা করবেন অথবা ম্যাজিস্ট্রেট এসে তার কাছ থেকে মার্সি পিটিশন সই করাবেন। কিন্তু আইনমন্ত্রী জানালেন তারা দুইজনই মাননীয় রাষ্ট্রপতি কে চিঠি দিয়েছেন কিন্তু আইন মন্ত্রী সে চিঠি পড়েন নি কিন্তু তার "আধ্যাত্মিক ক্ষমতায়"! জানতে পেরেছেন তারা ক্ষমা চেয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো রায় হওয়ার পর তা কার্যকর করা ও বাকি কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় এর তাহলে আমাদের গুনধর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী যেটা জানতে পারলেন সেখানে আমাদের পীরে কামেল কোন আধ্যাত্মিকতায় এই ক্ষমা প্রাথনা আবিস্কার করলেন তা জাতি জানতে চায়। :-P :-P :-P


মহামান্য রাষ্ট্রপতি এর কাছে চিঠি দেওয়ার অধিকার রাষ্ট্রের সকল নাগরিক এর রয়েছে। এর বিষয়বস্তু গোপন রাখা হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের আইনমন্ত্রী ও সাংবাদিকগন কোন কামেল পীর যে এই বিষয় বস্তু টের পেলেন?


আমাদের মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী হুট করে আবিস্কার করলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্ষমা আবেদন নাকচ করার পর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশ এর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে বাংলাদেশ এর কোন আবেদন এর ফল পেতে কিছু সময় দেরী হয় কিন্তু কিভাবে হুট করে এতকিছু হয়ে গেল তা জাতি জানতে চায়। আর আইনমন্ত্রী বলার আগে আমাদের গুনধর মন্ত্রীরা যারা অনর্গল কথা বলেন বা এখন বলছেন তারা চুপ ছিলেন কেন?


সে যাই হোক আমাদের বাঙালীদের আর কিছু থাকুক না থাকুন সৃজনশীলতা আছে। আমরা আল্লামা সাইদী কে চাঁদে পাঠায় ফটোশপ এর মাধ্যমে, প্রথম আলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর জন্য সিথিতে সিঁদুর দেয় ফটোশপ এর মাধ্যমে, জরিনা বেগম এঞ্জেল জেরিন হয় ফটোশপ এর মাধ্যমে তাহলে এখন পর্যন্ত ফটোশপ এর মাধ্যমে কেন আবেদন পত্র তৈরি হলো না জাতির কাছে আমার এটাই প্রশ্ন। তাই অবিলম্বে আওয়ামী অনলাইন এক্টিভিটিস্টদেরকে তলব করে ফটোশপ এর মাধ্যমে "আবেদন পত্র" তৈরি করে জাতিকে এই বিভ্রম থেকে মুক্ত করা হোক। :-P :-P :-P
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×