ফুলবাড়ি
শত চেষ্টাতেও পেরনো হয়নি আমার ফুলবাড়ি থেকে গণ্ডারমোড়
অথচ কতবছর ধরে এই পথেই বয়ে চলেছে বিবর্তিত চাকার জীবন
চেনামুখ ততদিন কত যে অচেনা হয়ে গেছে, কত যে অসৎ অন্ধকার
গালে টোকা দিয়ে বলে গেছে ওহে বেকুব এখানে নয়, ওই দিকে যাও
ওই দিকে বাংলাবাজার, আজ হাটবার, একসময় হাটবারে
সিকি আধুলি হারাতো আর এখন চোখের নিমেষে হারিয়ে যায়
কাটা পকেট থেকে আমার সবেধন নীলমণি।
বেলা ঢলে পড়লে খানিক মাতাল হয়ে সোজা হাঁটা দিই দক্ষিণে,
দক্ষিণে মধুভাণ্ড অরণ্য, কে যেন কানে কানে বলে তখন, আরো যাও
রাত বিক্রি করা পশারিদের জ্বালানো আলো পেরিয়ে যদি
হঠাৎ চোখে পড়ে কোনো আলোকিত মুখ, তা দেখে বিহবল হয়োনা,
ওই মুখ হেমলতার, যক্ষের হিসেব তছনছ করে যে পালিয়ে বেঁচেছিল
সে আমাদের সেই হেমলতা।
এসব গল্প একদিন পুরনো হয়; প্রতি বসন্তের জন্মদিনে
তা টুক টুক করে ঝরে পড়ে ,দ্রুতগামী বাস আরও দ্রুত হয়
ঘোলাটে চোখ, খেয়াল করে না কেউ
মনে রাখে না কেউ এইসব স্বর্গপথে বিছানো ঝরাপাতার সঙ্গে
একদিন মিশে গিয়েছিল খণ্ড খণ্ড হেমলতার সারমর্ম
সে হিসেব কি আর রেখেছে কেউ!
@ রাজা সরকার।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


