এক পশলা বাতাস সদা খেলতো আমার চুলে,
বিষন্নতা হারিয়ে যেত একটু আমায় ছুঁ’লে।
নির্জনতার অন্বেষনে যেতাম নদীর কূলে,
কখন যেন সঙ্গী হলো আমার আপন ভুলে।
সতেজ হল শরীর সাথে সজীব হল মন,
ঝিরি ঝিরি মধুর গানে ভরলো হৃদয় কোণ।
যখন যেথায় যেতাম আমি থাকতো আমার সাথে,
হিমেল পরশ বুলিয়ে যেত সন্ধ্যা কি বা প্রাতে।
এই তো সে নেই, এই তো আছে এমনি যেত বেলা,
সকাল সাঁঝে খেলতো এমন লুকোচুরির খেলা।
খেলার ছলে আপন ভুলে ঘোরের মাঝেই থাকি,
তার তরে বাতায়ন ঘরের সদাই খোলা রাখি।
গান শুনিয়ে ঘুম পাড়াতো আমায় প্রতি রাতে,
আবার আমায় জাগিয়ে দিতো নিত্য নতুন প্রাতে।
মন্দ মৃদু চলতো বয়ে আমার চতুর্পাশে,
থাকতো মিশে নিঃশ্বাসে বা ক্ষণিক দীর্ঘশ্বাসে।
বাতাস সে তো দ্বিচারী তা গিয়েছিলাম ভুলে,
বুক ভরে শ্বাস নেবার আশায় দুয়ার দিলাম খুলে।
অজান্তে সে রূপান্তরে এলো ঝড়ের বেশে,
কুঠির আমার উড়িয়ে নিয়ে ভাঙ্গালো ঘোর শেষে...।।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০০৯ ভোর ৫:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




