somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: প্রতিশোধ -২

২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব-১

সখিনার বিয়ের দিন মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এমন ঝকঝকে দিনে বৃষ্টিপাত অপয়া নারীর লক্ষণ। ধারণা ভুল নয়। পালকি থেকে মাটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গে দূত দু:সংবাদ আনে। বিবাহের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা সুরহাবের মামা ব্রম্মপুত্র নদীতে নৌকাডুবে মারা গেছে। আনন্দঘন পরিবেশে বরফশীতল নিরবতা নেমে আসে। লোকজন কানাঘুষা করে এই বউ কুলক্ষণা। ছেলেটার কপালটা পুড়লো এইবার। বধূটির কানেও আসে।

নববুধুটি তখনও শোকে বিহ্বল। বাবাকে জাপটে ধরে শেষ কান্নাটা চোখ থেকে মুছে যায় নি। বাড়ির কথা মনে হচ্ছে, বোনদের কথা, মায়ের কথা আর দু'চোখে পানি উপচে পড়ছে। সখিনা সুন্দরী মেয়ে। বিয়ের জন্য কতজন ঘুরে গেছে। একটা সুনশান সুখী সংসারের স্বপ্ন তার জন্য স্বাভাবিক। স্বামীর বাড়িতে পা দিতে না না দিতে এমন কটু মন্তব্য তার সহ্য হবে কেন? সারা অঙ্গে তখন আগুন জ্বলছে। সে তো ভয় পাওয়ার মেয়ে না। সে সিদ্ধান্ত নেয় ভোর হবার আগেই এ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাবে।

কিন্ত তার আর পালানো হয় নি। সুরহাবের বড় বোন, মানে সখিনার জা হনুফা নববধুর কষ্টটা টের পায়। সে রাতে এসে হাত ধরে বলে, বইন, বিবাহের পরে মাইয়া মানুষের দিলের মইধ্যে পাত্থর বানতে হয়। মাইনষে যে কথা কইতাছে তারে মনে লইও না। আমার দিকে দেখো। বিয়ার তিন মাসের মাথায় সোয়ামী মইরা যায়। ফিরা আসার পরে কত কথা কইছে। ভাতারখোর বেওয়া কইছে। আমার দেওয়া পানিও খাইতে চাইতো না। আল্লাহর কি কুদরত, গুলজারের বাপের লগে বিয়া হইলো। বালাই আছি। উনি এক ইস্কুলের মাস্টর। অনেক জ্ঞানের মানুষ। মাঝে মইধ্যে উদাস লাগলে, উনিই আমারে বুঝাইছে যে এগুলান মিছা কথা।

হনুফা খুব সরল। সখিনা যেন তার সহোদর বোন পায়। বাদামী হাত সখিনার ফর্সা হাতের উপর যে ভালবাসার ছোঁয়া দিয়েছিল, তাতে তীব্র চুলার আঁচে ঝম ঝম পানির মতো সব কষ্ট ভুলে যায় সখিনা।

সপ্তাহ খানেক পরে সফিনাকে বাস্তবে ফিরে আসতে হয়। তার শাশুড়ী শুরমা বিবি নমনীয় খোলস ছেড়ে চণ্ডীরূপে বেরিয়ে আসে। ছেলেকে ছোট ঘরে ডাকে। ডেকে ফুস ফাস করে। অভিযোগ ছেলে বউয়ের কথায় নাচে। সুরহাবও অন্ধভাবে মায়ের ভক্ত। একদিন প্রকাশ্যে জোর গলায় শুরমা বিবি বলে, "সুরহাব , তোর বউরে কি দেওয়ালে বান্ধায়ে রাখবি না একটু চুলার ধারে যাইতে কবি? ঘটকের কুবুদ্ধিতে কোন কুজাতের মাইয়া আইলো ঘরে। বুড়া মানুষটা কি খাইতে চায় একটা বার খুঁজও নেয় না। মাটির উপর শিলপাটার মতো ঘষা দিয়া হাঁটে। আদব কায়দা কিছু শিখছে বৈলা মনে হয়না।
সখিনা জ্বলে ওঠে। রাতে সুরহাব বাতি নিভিয়ে সোহাগ করতে আসলে সে রাগে ফুঁসতে থাকে। সুরহাব তাকে মানাতে ফিসফিস করে বলেছিল, "বউ, তুমি মার কথা ধইরও না, আম্মার দিলডা নরম, তুমি কাইল রান্ধা ঘরে যাও।"
শুরমা বিবির জন্য ঘন দুধ জ্বাল দিয়ে দিয়ে আসা ছিল বাড়ির নিয়ম। দুধ লাল না হলে সেটা নিয়ে বকবক করতো। সখিনার মনে পড়ে বিয়ের পর রহস্যের টানে পুরুষ কেমন পুতু পুতু থাকে। সুরহাব বাড়ি ফিরতো বিকালেই। ছুতায় তার আঁচল ধরতো। হাত ধরতো।

তাকায়ে থাকতো চোখের দিকে। বাতি নিভালে সুরহাবের মা বলতো, সুরহাব, বউয়ের এশার নমাজ পরা হইছে? যেমন বাতি নিভলেই মায়ের কোন হিংসা। শুরমা বিবি এমন নামাজীও না। সুরহাব মায়ের কথামতো তাকে তুলতো, কুপিতে আগুন দিয়ে এশার নামাজ পড়াতো।
যত দিন যায়, সখিনার জীবন অতিষ্ঠ হয়। সুরহাবের তাল দেয়া কথায় তার চাঁদি গরম হয়। আর ছেলেটা বাড়ি আসা মাত্র শুরমা বিবি নানান অভিযোগ করতে থাকে। কখন পুকুরে গিয়ে বউ আসতে দেরী করে, কখন চাল সিদ্ধ হয় না, কখনো ঠিকমতো থালাবাসন ধোয়া হয়না। গরুবাছুরের রোগবালাই হলে সেটাও সখিনার দোষ।

শুরমা বিবির চোখের ছানিটা হঠাৎ বেড়ে যায়। তার ঘরেই শুয়ে থাকে। চেঁচামেচি যেন বেড়েই যায়। আর অলস মাথায় ফাইফরমাসের অন্ত থাকেনা। ছেলে আসলেই নালিশ করে, তোর বউ তো দিন রাইত আয়না দেখে। শুইনা রাখ, আয়নার গরিমায় জমিদার রসাতলে। কী রূপের নাগিনীরে আনলাম রে আল্লা। যৈবনে ফর্সা ফর্সা না। এই বয়সে আমারে দেখনের লাইগা পাঁচগেরামের মানুষ
আইতো। নাতি পুতির মুখ দেইখা মরনের আশাডা পুরণ হইবোনা।

রাতে বায়ুচড়ার দোষে শুরমা বিবির ঘুম আসে না। চিত্কার করে। হাঁপানির সমস্যায় ছটফট করে। সেগঞ্জ থেকে হেকিম এসেছিল। এসে তাকে অষুধ দিয়ে গেছে। কালো বোতল। খাওয়ার পানিতে মিশায় দিলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়।

দেড় বছর পরের কথা। রোজার প্রায় শেষ । বিছানা ভিজানো শুরু করে শুরমা বিবি। ঘর পরিষ্কার করার জন্য একটা মেয়েকে আনা হয়। নিশিন্দাপুরে তার এক বিধবা ফুফাতো বোন ছিল। নাম ফুলবানু। নি:সন্তান গরীব মেয়ে। মেয়েটার জন্য বাড়ির অতিথিদের ঘরের এক অংশ বরাদ্দ করা হয়।

আর সুরহাবের মায়ের শেষ ইচ্ছাগুলো বাড়তে থাকে। গামছা বান্ধা দই দিয়ে ফুটখই খেতে চায়, পাক্কন পিঠা খাতে চায়, তেলতেলা রুই ও পটলের ঝোল খেতে চায়। সুরহাব টের পায় সখিনার পক্ষে সন্তান ধারণ সম্ভব হবে না। সখিনার বাকি বোনগুলোর কারো বাচ্চা হয়নি। বংশের দোষটা জানা থাকলে এই বাড়িতে বিয়েই করতো না।

পুরুষের স্বভাব বদলাতে সময় লাগে না। যে সুরহাব মাঝরাতে তার জন্য ছটফট করতো। আঁখ মাড়াই করের মতো বুকে পিষে সোহাগে দম বন্ধ করে দিত, সে এখন নিথর ঘুমায়। কখনো সখিনারে টানলেও সেই টানে জোর নাই। বাড়ি ফিরে দেরীতে। এসে খানাপিনা নিয়েই যত হৈ চৈ। বৃদ্ধা মায়ের পায়ের কাছে গিয়ে বসবে আর সুবোধ সন্তানের মতো যত অভিযোগ শুনবে। একদিন সখিনা স্পষ্ট শুনতে পায় শুরমা বিবি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য বলছে তার ছেলেকে। মহিলাটা বলছে, জানসরে বাপ, আমার দাদায় কইতো বউ পচা যার ইজ্জত পচা তার। তোর বউয়ের পাওয়ের ছাপ দেখসস - খরম পাও মাইয়া, দাঁত দেখসস? চিরল দাঁত। খরম পা চিরল দাঁতের মাইয়া পুরুষরে বেইজ্জতি করে। তোর জন্য নতুন প্রস্তাব আসছে। হাফেজের মাইয়া। পরহেজগার। রূপে গুণেও ভালা।

সখিনা তার স্বামীর কোন প্রতিবাদ শুনতে পায় না। তবে কি সুরহাবের দ্বিতীয় বিবাহে সম্মতি আছে? পুরুষ মানুষ এমন ক্যান? দু'দিন আগে সুরহাবকে সে পায় ফুলবানুর ঘরে বসে গল্প করতে। অথচ সেই বেগানা মেয়ের ঘরে যাওয়ার কোন কারণ ছিলনা। ধরা পরে ইতস্তত: হয়ে সখিনাকে বুঝ দিতে চেয়েছিল, "আর কইসনা, ঘরটা ভাঙ্গে ভাঙ্গে - মেরামত করন দরকার, মেঘলা দিনে দরদরায়া পানি পড়ে"। কিসের পানি? গত একমাসে তো কোন বৃষ্টি হয়নি। পুরুষগুলো কি এমনই? সখিনার মনে হয় তার বেঁচে থাকার কোন মানে নাই। সুরহাব কীটনাশকের বোতলটা নিয়ে আসছে। সেটা সে দেখেছে। সে বাইরে গিয়ে গলায় কীটনাশক ঢেলে দেয়া কথা ভাবে। তার মতো বন্ধা নারীর এমন জীবন রাখার কীই বা অর্থ?

ঈদের আগের দিন নায়র আসে সুরহাবের বোন। বাড়িতে ঢোকা মাত্র হনুফার মা হনুফাকে বলে, মা রে তোরা তো খুজই রাখস না। কি একটা অপয়া বউ আনছে। আদব লেহাজ নাই। পেডে কড়া বান্ধা, পুলাপান হয়না। বউডা আসনের পর থাইকা ধান হয় নাই। মাইকের দুকানে ব্যবসাও যেন বন্ধ। ঈদের পরে হাফেজের মাইয়ার লগে বিয়ার কথাডা পাকা করতে চাই। পরহেজগার মাইয়া। আল্লার কালামে ঘর ভইরা থাকবো।

সখিনা কথাগুলো শোনে। সে আশা করে তার জা প্রতিবাদ করবে। কিন্তু মায়ের সামনে সব চুপচাপ শুনে যায়। যেন তার জাও বুঝে গেছে সে অপয়া। সখিনা তো আর বাড়ির কেউ না।

হঠাত্ তার একটা বুদ্ধি মাথায় খেলে। কীটশুরমা বিবি মরে গেলেই তো সমাধান আসে। কীটনাশকের শিশিটা আর অষুধের শিশিটা দেখতে হুবুহু একইরকম। খাটের নিচে কীটনাশকের শিশিটা নিয়ে বদলে দেয় আলমারীর দ্বিতীয় তাকে রাখা অষুধের সঙ্গে। ফুলবানু রাতে অষুধ খাওয়ালে পরদিন সব ঠান্ডা হবে।


ঈদের দিন সকালে সখিনার শাশুড়ীর মৃত্যু হয়। তাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। আগরবাতি জ্বলছে। মরার বাড়িতে মাছির মতো শত শত মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়। ঈদের দিন মৃত্যুতে বেহেশত নিশ্চিত। বিলাপে ভেঙে পড়ছে সবাই। কোরান তেলওয়াত চলছে। খতম হবে। সখিনার সামনের কাঁটা সরে

গেছে। সুরহাব উন্মাদের মতো আছে পড়ছে লাশের উপর। মা হারানোর কষ্টটা কাউকে বোঝানোর মতো না। সখিনার চোখ ভর্তি পানি। মাথা নিচু করে হু হু করে কাঁদছে। সেই কান্নায় যতটা না শোক তার চেয়ে অপরাধ বোধ বেশী। বাজারের সড়কের পাশে নতুন কবরে শুয়ে থাকে বৃদ্ধা মা।

তারপর একে একে সবাই চলে যায়। বাড়ি শূণ্য হয়। সখিনা তার কৃতকর্মে অনুতপ্ত হয়ে যায়। সে হঠাৎ হঠাৎ শুনতে পায় শাশুড়ীর গলা। তার গলা জ্বলছে ঘুমে, সে ডাকছে কাতর স্বরে, বউরে, আমি তোরে কত কষ্ট দিসি। বয়স হইছেরে মা জননী, মাথা আর ঠিক থাকেনা। বয়স হৈলে মানুষ কত কথা কয়, বুড়ি হইলে তুইও কবি। আমারে তুই বিষ দিসস। ভালই করছস। দে। আমি কবরে গেলে তোরা ভালা থাক। আমার চিল্লানিতে তোগো ঘুমাইতে কষ্ট হইছে। অহন আমি ঘুমাই। তোরাও ঘুমা।

একা ঘরে থাকলে সখিনার হাত কুঁকড়ে থাকে। সে একী করতে গেল! সুরহাব অবশ্য এত কিছু টের পায় না।সে শুধু মাঝে মাঝে মায়ের ঘরে গিয়ে কাঁদে।

(চলবে... )
--------------------------------------------------------
ড্রাফট ১.০/
পাঠের সুবিধার্থে ৩ পর্বে প্রকাশিত হবে
বানান ও বিন্যাসের ত্রুটি সহ প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৭:৩৬
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×