somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

চেংকু প্যাঁক
নাস্তিকরা বঁদড়ামি করবো আর আমি নিশ্চিন্তে বেহেশতে চইলা যাওয়ার ধান্দা করমু ! কক্ষনো না, বরং আমি এই কুলাংগার গুলারে জাহান্নাম পর্যন্ত ধাওয়া করমু, ওগো লগে জাহান্নামে ঢুকমু, ওগো আগুনের চাপাতি দিয়া কুপামু.......এর পরে আমার কইলজা ঠান্ডা হইবো।

'শয়তানের চার অঙ্গীকার'

১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শয়তান আল্লাহ তা'লার কাছে চারটি ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।

সূরা আন নিসা'র ১১৯ নাম্বার আয়াতে শয়তানের ৪ টি প্রতিজ্ঞার ব্যাপারে জানা যায়।

অঙ্গীকার নম্বর-০১
“And I will surely mislead them...”
[ “আমি তাদেরকে অবশ্যই পথভ্রষ্ট করবো”]
শয়তান শপথ নিলো যে, সে আমাদেরকে অবশ্যই পথভ্রষ্ট করবে।
আমরা কীভাবে পথভ্রষ্ট হবো? যখন আমরা দ্বীন ভুলে যাবো, দ্বীন থেকে দূরে সরে যাবো।
চাকচিক্যময় পৃথিবীকেই যখন আমরা আপন করে নিয়ে পরকালের কথা ভুলে যাবো, তখনই আমরা পথভ্রষ্ট হবো।

অঙ্গীকার নম্বর-০২
“and I will surely arouse (sinful) desires in them…”
[ “এবং তাদের মধ্যে আমি দুনিয়াবি কামনা বাসনা বাড়িয়ে দেবো”]
দেখুন, আজকে আমাদের 'Aim in life' হলো কোটিপতি হওয়া। এই লাখপতি, কোটিপতি হবার জন্যে পৃথিবীতে যা যা করা লাগে তার সবটাই আমরা করি। ঘুষ খাওয়া, সুদ খাওয়া, মানুষ খুন, চুরি,ডাকাতি সহ এমন কোন নিকৃষ্ট কাজ নেই যা আমরা করতে দ্বিধা বোধ করি না। কারণ, শয়তান আমাদের মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে যে, যেকোন মূল্যেই হোক, আমাকে লাখপতি হতে হবে। কোটিপতি হতে হবে। আমার কয়েকটা বাড়ি থাকতে হবে, গাড়ি থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ব্যাংক-ব্যালেন্স থাকতে হবে। তবেই আমি জীবনে সফল।
শুধু তাই নয়, শয়তান আমাদেরকে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সারারাত বসে বসে নেট ব্রাউজিং করো। পর্ণ দেখো, মদ খাও, গাঁজা খাও, ড্রাগ নাও। পার্টি করো, লিভ টুগেদার করো। মুভি দেখো, গান শোনো। তারকাদের রগরগে শরীর দেখে উত্তেজিত হও। সিগারেট খাও।
This is the life. Enjoy it.
নামাজের চিন্তা? আরে বাবা, সল্যুশান আছে। শুক্রবারে জুমার নামাজে গিয়ে একদম সামনের কাতারে বসবা। ঈমাম সাহেব যখন ফরজ নামাজ শেষ করে হাত তুলে মোনাজাত ধরবে- তখন জোরে জোরে আ-মীন বলা শুরু করবা,ব্যস! গুনাহ মাফ। এরপর আবার শুরু করো.......

অঙ্গীকার নম্বর-০৩
“…. and I will surely order them so they will surely cut off the ears of the cattle…”
[ “এবং আমি তাদেরকে নির্দেশ দেবো, ফলে তারা জন্তু জানোয়ারদের কান ছেদন করবে ”]
এই লাইনটার একটা গূঢ় অর্থ আছে। প্রাক-ইসলামী যুগে প্যাগানরা করতো কী, জন্তু-জানোয়ারদের কান কেটে নিয়ে, তাদের বিদঘুটে করে, এরপর সেই জন্তু জানোয়ারদের পূজা করতো। সেই জন্তু জানোয়ারদের 'স্রষ্টা' হিসেবে প্রচার করতো।
মোদ্দাকথা, ধর্মকে বিকৃতি সাধন করাই ছিলো তাদের কাজ।
শয়তান তাদের উপমা টেনে বলছে, সেও আমাদের দিয়ে এভাবে ধর্মের বিকৃতি সাধন ঘটিয়ে ছাড়বে।
আজকে আমরা 'ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ' এর নামে নতুন ধর্ম, নতুন মতাদর্শের দেখা পাচ্ছি।
আমরাই বলছি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
আমরাই পহেলা বৈশাখ, থার্টি ফাস্ট নাইট, লাভ ডে, কিস ডে, হাগ ডে নামের বিজাতীয় সংস্কৃতিতে ধর্মের সাথে সমান্তরাল ভেবে বসেছি। আমরা বলি, এসব করলে ধর্মের তো কোন ক্ষতি নেই।
আমি মঙ্গল প্রদীপ জ্বালালাম, হাতি ঘোঁড়া, পেঁচার প্রতিকৃতি মাথায় নিয়ে মিছিল করে মঙ্গল অণ্বেষণ করলাম, আবার নিজেকে মুসলমানও দাবি করলাম। এটাই হচ্ছে শয়তানের অঙ্গীকার..
এখানেই শেষ নয়। দ্বীনের মধ্যে নতুন নতুন তরীকা, নতুন নতুন ইবাদাত, নতুন নতুন ফর্মুলা সংযোজন করে ভাবি,- 'আহ! আমি তো সাচ্চা ঈমানদার আছি।'
এভাবে বিদাতে পরিপূর্ণ আজ আমাদের সমাজ। শয়তান তার অঙ্গীকারে অটল...

অঙ্গীকার নম্বর-০৪
“….. and I will surely order them so they will surely change the creation of Allah.”
[ “এবং, আমি অবশ্যই তাদেরকে নির্দেশ দেবো এবং তারা আল্লাহর সৃষ্টির বিকৃতি ঘটাবে ”]
খুবই সত্য প্রতিশ্রুতি। আমরা কী আজ আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বিকৃতি ঘটাচ্ছি না?
ছেলেরা আজকাল এমনভাবে, এতো লম্বা করে, ঝুঁটি বেঁধে চুল রাখে, দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সে আসলে ছেলে। মনে হয় কোন মেয়ে মানুষ হেঁটে যাচ্ছে।
এরপর, হাতে চুড়ি, বালা, কানে দুল পরা, গায়ে ট্যাটু করা তো আজকালকার মডার্ণ ছেলেদের কাছে ফ্যাশনের অংশ।
মেয়েরা ব্রু প্ল্যাক করে, ছেলেদের জামা কাপড় পরে এমন অবস্থায় বের হয়, দেখে বোঝার উপায় নেই সে ছেলে না মেয়ে...
এছাড়াও, আজকাল অনেক ছেলেরা সার্জারি করে মেয়ে হয়ে যাচ্ছে, অনেক মেয়েরা সার্জারি করে ছেলে হয়ে যাচ্ছে... এসব নাকী আধুনিকতা!
নাহ! এসব ধোঁকা! শয়তানের ধোঁকা।
শয়তান তার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ণে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আর, যারাই শয়তানের ফাঁদে পা দিবে, তাদের জন্য বলা হচ্ছে-
“And whoever takes Shaytan as a friend besides Allah, then surely he has suffered a manifest lost.”
“আর, আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে শয়তানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে (তাকে অনুসরণ করে), সে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত........

'শয়তানের চার অঙ্গীকার'/ আরিফ আজাদ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×