অামার দ্বিমত মানুষকে মানুষ বলায়,
বস্তুবাদী সভ্যতার পরকীয়ার ফলস্বরূপ -
অামরা মানুষ থেকে হয়েছি হোমো স্যাপিন্স ।
বেখেয়াল অার ইগোতে ভরপুর
সেটা বিজ্ঞান নয়, অজ্ঞেয় থেকে অহংকার !
'সার্ভিভাল ফর ফিটেস্ট' স্লোগান দিয়ে
অামায় ছুঁড়েছে কম্পোষ্ট ভাগারে ।
অামি তখনও এক বিশ্বাসকে অস্বীকার করে
তোমায় করেছি অন্ধবিশ্বাস,
কারণ অামাকে জানিয়েছো -
অামি মানুষ নই, হয়তো অন্যকিছু ।
যখন সাইকোলজিস্ট অামার মন বুঝেছে,
অথচ বিহ্যাভারিস্টের মন্ত্র
অলখে লুকানো হৃদয় অস্বীকার করে
অামায় বানিয়েছে মানবযন্ত্র !
অামাতে করুণা নেই, ভালোবাসা নেই,
নেই সহানুভূতি - অাবেগ – উল্লাস,
অামাতে নেই স্বপ্ন দেখার সাধ-অাহ্লাদ,
একটু শান্তিতে বাঁচার তীব্র অভিলাষ ।
সবই হরমোনের নিঃসরণ
অার গ্রন্থির সংকোচন-প্রসারণ ।
অামি যে স্রেফ কোষের পূর্ণতা,
অাজ যেনো তাও নেই;
কোষ এনক্রিপ্ট হয়ে পরিণত হয়েছে
কম্পিউটিং কোডে ।
সব স্পন্দন অাজ বিট-বাইটে অাবদ্ধ,
একসময়ের নিঙ্গরানো স্মৃতিগুলো
এখনতো মেমোরির স্টেকে রুদ্ধ ।
তোমরা অার ওটাকে মস্তিষ্ক বলোনা,
ইন্ট্রিগাল সার্কিট বলতে পারো ।
অামি হয়েছি অাত্মকেন্দ্রিক;
অাজকাল অন্যের জন্য খুব ভাবতে পারিনা ।
পারবো কেমনে?ভাবনাগুলো যে অাজ
কয়েক জিবি র্যামে সীমাবদ্ধ ।
অামি অার কারো কষ্টে কাঁদিনা,
কিছু করার প্রচেষ্টায় ছুটিনা দিগ্বিদিক ।
কারণ প্রসেসরের প্রোগ্রাম বড়ই কর্পোরেট,
বড়ই লজিক !
যা দেখি অাজ তাই বিশ্বাস করি,
অথচ এ সভ্যতার সূত্রপাত
এক অন্ধবিশ্বাসকে কেন্দ্র করে;
যার মাসুল অাজও দিয়ে চলেছি ।
অস্বীকৃত অাত্মা মরতে বসেছে
অামাদের যান্ত্রিক পিষ্টাঘাতে,
এতো সভ্যতা নয়, সভ্যতার মুখোশে
মানুষকে যন্ত্র করার যান্ত্রিক প্রগতি ।
- ইলিয়াস অাহমেদ
০১.০১.২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬