মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকবে অথচ অন্যেকে নিয়ে ভাবনার সামান্য ইচ্ছেটুকুনও নেই অর্থ্যাৎ যতক্ষণ পর্যন্ত অাত্মকেন্দ্রিক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীর এক ইঞ্চি জায়গাতেও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না । মানুষ নিজেও শান্তিতে থাকবেনা, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দিবে না । এটা চিরন্তন সত্য ।
তাই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিটা ধর্মেই বিভিন্ন নিয়মে সৃষ্টিকর্তা কুরবানি, যাকাত, বলিদান, কঠিন চীবরদান ইত্যাদির মতো অাত্মোৎসর্গমূলক প্রার্থনার অায়োজন করেছেন, যাতে মানুষ অাত্মকেন্দ্রিক থেকে মুক্ত হতে পারে ।
অথচ অাজ অামরা সবাই নিজেকেই নিয়েই ব্যস্ত । অামাদের পরিবার - সমাজ - রাষ্ট্রের বেহাল অবস্থা । যখন তখন মানুষ মরছে । কেন মরছে সে নিজেও জানে না । যে মারছে সেও জানে না কেনো মারছে ।এটাই তো কলিযুগের ভবিষদ্বাণী ছিলো ।
স্বার্থপরতার এই পৃথিবী অাজ মানুষ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্য অামাদের সবাইকে অাত্মকেন্দ্রিক থেকে বেরিয়ে এসে পরিবার - সমাজ - রাষ্ট্র তথা সমগ্র মানবজাতির জন্য চিন্তা করতে হবে । নইলে সে অাগুন নগর পুড়িয়ে দেবালয়ও পুড়ে ছাড়খার করে দেবে ।
যে নামাজী নিজের জান্নাত নিয়ে, যে পূজারী নিজের স্বর্গ নিয়ে ব্যস্ত তার এহেন কর্ম সবই বিফল হবে । কারণ, খুব সাধারণ জ্ঞানেই বুঝা যায় । প্রথমত স্বার্থপর ব্যক্তিকে অাল্লাহ বা পরমেশ্বর জান্নাত/স্বর্গ দিতে পারেন না । দ্বিতীয়ত, সেই নামাযী/পূজারীর এখন পর্যন্ত কোনো কুরবানি, বলিদান গৃহীত হয় নি । যে কারণে সে অাজও নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত । অথচ সমগ্র মানবজাতি অাজ মর মর অবস্থা ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪