আজ অনেক ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে এই লেখাটা লিখতে বসলাম।অনেক কিছু বলার আছে।সব কিছু বলবো না।বলার ইচ্ছাও নেই।তবে কিছু কিছু বলবো।আশা করি সেগুলো শুনলে আপনাদের অনেকেই আমার সমব্যথী হবেন।
আমি পেশায় ক্রীড়া সাংবাদিক।তবে এটা ছিল আমার নেশা।এখনো আছে।সমবয়সী বন্ধুরা যখন স্কুল পালিয়ে বাংলা সিনেমা কিংবা এক টিকেটে দুই ছবি দেখতে যেত, অনেক অনুরোধের পরও আমি তাদের সঙ্গী হতাম না।আমি চলে যেতাম খেলার মাঠে।
সেই নেশা থেকে খেলাটা আমার পেশাই হয়ে গেছে। আমি নিজেও তাই হতে চেয়েছিলাম।যে পেপারে কাজ করছি,সেটা বের হতে দেরী হচ্ছে বলে অনেকদিন ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা দেখা হয় না।যদিও পেপারের হয়ে আমি সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু খেলা কাভার করেছি।লিখেছিও।কিন্তু সেগুলো কেউ দেখে না বলে দু:খবোধ ছিল।হঠাৎ করেই একদিন সহকর্মী এবং সিনিয়র বন্ধু অমি রহমান পিয়াল ভাই বললেন,'আপনি তো লেখাগুলো ব্লগে দিয়ে দিতে পারেন।অনেকে লেখা পড়বে।মন্তব্য করবে।ভালো লাগবে।' সত্যি কথা বলতে কী সেদিনই সামহোয়্যার ইন ব্লগ ডট নেটের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়।সেটা অবশ্যই পিয়াল ভাইয়ের সৌজন্যে।আইডি খোলা থেকে শুরু করে লেখা পোস্ট, সবকিছুই শিখিয়ে দিলেন তিনি।তখন থেকেই শুরু।ঠিক করেছিলাম শুধু খেলা নিয়েই লিখবো।কিন্তু একটা করে লেখা দেয়ার পরপরই হতাশ হতে থাকলাম।আমার ব্লগে হিট হচ্ছে কম।অথচ আমি আমার যথাসাধ্য শ্রম দিয়েই লেখাগুলো লিখেছিলাম।পেপার চালু থাকলে ওই লেখাগুলোই ছাপা হতো।তাই এক পর্যায়ে লেখাই ছেড়ে দিলাম ব্লগে।তারপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে ভাবলাম একটা পরীক্ষা নেই।তাতে উৎসাহ যুগিয়েছিল পিয়াল ভাইয়ের দুটো পোস্ট।একটা প্রাপ্তিকে নিয়ে।অন্যটা বয়সকালেও মেয়েদের কোলপ্রিয় জাহাঙ্গীরকে নিয়ে।প্রথমটায় দেখলাম মাত্র 5টা মন্তব্য।আর অন্যটাতে মন্তব্যের বন্যা।বুঝলাম ব্লগে সস্তা জিনিষের দাম বেশী। সেটা দেখেই অনুপ্রাণিত হলাম আপনাদের একটা পরীক্ষা নেয়ার জন্য।তাই গত 17 মে 'কুত্তা এবং পুরুষমানুষ' শিরোনামে আটটি পোস্ট ছাড়লাম।সঙ্গে সঙ্গে দু:খটা বাড়তে থাকলো।ওই পোস্ট করার আগে আমার ব্লগে হিট ছিল 250-র মতো।আর সেটা পোস্ট করার সাথে সাথেই দেখলাম রাতারাতি হিট পৌছে গেছে 600-র উপরে।কতো কতো মন্তব্য।পিয়াল ভাইয়ের দুটো পোস্ট থেকে পাওয়া ধারনাটা সত্যি বলে জানলাম।এখানে সস্তা জিনিষের ডিমান্ড বেশী।মরণাপন্ন প্রাপ্তির চেয়ে আপনাদের কারো কারো কাছে জাহাঙ্গীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে,সত্যি বলছি এটা আমি বিশ্বাস করতে চাইনি।এখন বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে।অবশ্য এই দু:খের কাছে আমার দু:খটা খুবই গৌণ।তাই বন্ধুরা আমি ভালোয় ভালোয় সরে যাচ্ছি।কারণ থাকলে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।বন্ধু তারিক আপনকে দিয়েই সেটা বুঝেছি।একটা মানুষ তার বিশ্বাসের কথা বলে আপনাদের কটু কথা শুনেছে।কিন্তু আপনার া ভুলেও মনে রাখেননি ন্যাচারাল জাস্টিস বলে একটা কথা আছে।অন্যকে আঘাত করেছেন।জেনে রাখুন যারাই এমনটা করেছেন আপনের সঙ্গে, তাদের বিশ্বাসও একদিন লাঞ্চিত হবে।তার আগে আমার পরীক্ষায় আপনাদের অনেকেই ফেল মেরেছেন। ফেল মারাদের সঙ্গ আর নয়। বিদায় বন্ধুরা।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



