ঘটনা হচ্ছে এমন, তখন আমি চুল কাটাচ্ছিলাম শ্যাওড়াপাড়ার ফজলু মামার দোকানে। ফজলু মামার বিশেষত্ব হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের পজিটিভ কিছু ভাবতে পারেন না। তার ধারনা তিনি পজেটিভ কিছু ভাবলে দেশের পারফরম্যান্স খারাপ হয়ে যায়। মনে মনে আবার দেশের পাগলা সাপোরটার। এজন্যেই বৃষ্টি থামার পর নিউজিল্যান্ড যখন নবউদ্যমে মাইর শুরু করলো তখন তিনি তার ভান্ডারের যতগুলা 'বাচ্চা' শব্দযুক্ত গালি আছে সেগুলা মন প্রান ভরে দেয়া শুরু করলেন দেশের বোলারদের।
আমি থামাতে না থামাতেই হুট করে রুবেল বোল্ড করে দিল এন্ডারসনকে। এইডা বেশী মারতেসিল। আমি আয়না দিয়ে টিভির দিকে তাকিয়েই ছিলাম, দেখলাম ফজলু মামা এইবার 'মাদার' 'বাইন' 'বোক' শব্দযুক্ত যত গালি আছে সব দিচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্লেয়ারদের। কতবড় সাহস! আমগো বোলারদের মারিস- এই টাইপের একটা ভাব ভঙ্গি।
আমার আহত হবার ঘটনাটা ঘটে গেল দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরপরই। রুবেলের হ্যাট্ট্রিক বলটা যখন মুশফিকের হাতে এবং তখনো আম্পায়েরের আঙ্গুল ওঠেনি আমি ভয়াবহ টাইপের এক চিৎকার দিয়ে চেয়ারের থেকে লাফিয়ে উঠলাম। সাথে দোকানের অন্যেরাও। বাঙালি উই আর। আম্পায়ার কি কয় না কয় দেখার টাইম নাই। মনে হইছে আউট, মানে আউট। আগে লাফা ব্যাটা!
কিছুক্ষন বাদেই দেখলাম, আমার মাথা কেটে রক্ত বের হচ্ছে। আনন্দে অবশ্য প্রথমে টের পাই নাই। পরে বুঝলাম, যখন লাফ দিসি তখন ফজলু মামার হাতের কেচি আমার মাথার উপরেই ধরা ছিল।
এতো বড় হ্যাট্ট্রিকের সাথে এতো বড় জয়ে এটুকু ব্যাথায় কোন দোষ নেই!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



