"ইনসমনিয়া"
তোমার আমার সম্পর্কটা হলে মন্দ হতো না।
বেশ ভালোই কেটে যেত প্রতিটা রাত্রিযাপন।
নিশাচরের মতো রাত্রি নামক গাঢ় কালোটুকু আমাদের নিকটে ছিল আড়ম্বরতায় ভরপুর।
অনুভূতির সবটুকু বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম ছিল রাত্রি।
হয়তো জানি না তুমি সেই আগের মতো জেগে থাকো কিনা, তবে আমি আজও জেগে থাকি।
নিঃস্তব্ধ, নিঃস্ঙগতার সাথে বন্ধু পেতে পাড়ি দেই প্রতিটি অমানিশা।
ভুলে গিয়েছ কিনা জানি না, তবে আজও প্রতিটি নিশিতে ক্ষণে ক্ষণে বুকের বা'পাশে আড়ি কেটে দেয় সেই হারানো মূহূর্তগুলি।
সেই রাতভর ক্ষুদে বার্তা, হাসি, ঠাট্টা, গান আর হেয়ালীপনায় অবুঝ অভিমান।
আজও অপেক্ষায় থাকি, তোমার মুঠোফোনের একটা আলোড়নের,
মাঝ রাতে অহেতুক কোন ক্ষুদেবার্তায় যখন আমার মুঠোফোনকে আলোড়িত করে,
তখনি ভাবি এই বুঝি তুমি ফিরে এলে, জানতে চেয়েছ, 'জেগে আছ কিনা?'
হ্যা।
আজও জেগে আছি, জেগে থাকি।
কৃষ্মপক্ষে আমাবশ্যার তিথিতে দেখি অধর কালো,শুক্লাপক্ষে দেখি জোৎস্নার বাধভাঙ্গা আলো।
ভোরের চাঁদ, পাখির কিচিরমিচির, ঘাসের শিশির মাড়ানো, সকালের ঠান্ডা হিমেল হাওয়া, সূর্যের রক্তিম আভা কোনটাকেই ভুলিনি, যে ভাললাগা তুমি শিখেয়েছ।
তাইতো নিজেকে ইনসমনিয়ায় নিজেকে পর্যবসিত করে পাড়ি দেই হাজার বছরের ছুটে চলা দীর্ঘ রাত্রি।।