"আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটা গুণ হলো তিনি এখনো নিয়মিত বই পড়েন, এই কর্মব্যস্ততা ও ভীষণ চাপের মধ্যেও সাহিত্য পাঠ করেন, গল্পের বই পড়েন এবং বিস্ময়কর ভাবে, হাজার হাজার মানুষের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতেও একজন লেখকের সঙ্গে দেখা হলে তাঁর পড়া লেখকের কোনো বই নিয়ে আলোচনাও করতে পারেন। তাঁর স্মৃতিশক্তি সম্ভবত তাঁর আব্বার মতোই অসাধারণ।" - আনিসুল হক
মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী সেখানে আরো কিছু যুক্ত করলেন। শুধু যে তিনি বই পড়েন তাই নয়, তিনি একজন ভালো চিত্র শিল্পীও বটে। যার প্রমান এই পেইন্টিংটাও বটে।
দলীয় নেতা হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে নিঃসন্দেহে আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রসংশার দাবীদার। হূমায়ুন আহমেদ এর মতে - 'যে ছবি আকতে পারে, তার নিশ্চয় একটা সৃষ্টিশীল সুন্দর মন আছে।' সে হিসেবে নিশ্চয় আমাদের প্রধানমত্রী মানুষ হিসেবে সুন্দর মনের অধিকারীদের একজন।
কিছু দিন আগে হঠাৎ টেলিভিশনে গানের লাইভ প্রোগরামে ফোন করেও বোঝালেন তিনি কতটা সংস্কৃতিমনা।
সময় পেলেই মাঠি গিয়ে খেলা দেখেন। উনার মাঝে কতটা খেলাপ্রীতি রয়েছে সেটা আমরা যারা খেলা পাগল তারা ভালো করেই অনুধাবন করতে পারি।
তিনি একজন সাহসী নেতা। গনভবনে তীব্র গরমে কোট-টাই পড়ে যাওয়ায় দলীয় সাংসদদেরকে মুখের উপর বলতে পারেন - "এই গরমে এসব পোষাক কেন? ২০০ বছর ব্রিটিশদের অধীনে থেকে আপনাদের মাঝে সেই স্বভাবটা যায়নি। কোট-টাই ছাড়ুন, বাঙ্গালী ঐতিহ্যে নিজেদের প্রকাশ করুন।"
একজন ভালো রাজনৈতিক নেতা। পরিশেষে, একজন ভালো কূটনৈতিক ব্যক্তিও তিনি।
পরিশেষে, হাইব্রীড বীজ রোপন করলেও ধানে দুই চারটা চিটা দেখা যায়। সেরকমই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দলটায় দু'চারটা চিটা থাকা অস্বাভাবিক নয়। এটা মনে রাখা বাঞ্ছনীয় যে, 'শেখ হাসিনা একজন ব্যক্তি' এবং 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটা সংগঠন'। দুই চারজন কুলাঙ্গারের জন্য একজন ব্যক্তি কিংবা একটা সংগঠন কখনোই খারাপ হতে পারে না। যে প্রসংশার দাবীদার তার প্রসংশা করতে নিশ্চয় সংকোচবোধ করা উচিৎ নয়।।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১১