somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিকনিক

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি ইমু পিকনিকে যাবেন না। হেড স্যর বেশ অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন। আমি না সূচক মাথা নেড়ে বললাম বাবা রাজি না।
এখনও তো কচি খুকি রয়ে গেছেন দেখি, ভার্সিটি থাকতে কখনও যাননি।

বাবা আমাদের দূরে যাওয়া পছন্দ করেন না, তার উপর মা অসুস্থ। বাসায় রান্না বান্নার ব্যপার আছে।
হেড স্যর নাছোড়বান্দা, সীমা আপাকে দায়িত্ব দিলেন আমার বাসায় বোঝানোর জন্য। সীমা আপা বেশ সদালাপী, আর সবাইকে খুব সহযেই কনভিন্স করতে পারেন। বিকালে উনার হাসবেন্ডকে নিয়ে ঠিক বাসায় হাজির, বাবা আর রাজি না হয়ে পারলেন না। শুক্রবার সকালে উঠেই বার বার ফোন স্কুল থেকে আর দেরি করা গেল না। স্কুলে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার বিশাল এক বাসে সব ডেক ডেকচি উঠানো হচ্ছে, হারুন ভাই আর উনার সান্গ পান্গরা এসব নিয়ে তীব্র হৈ চৈ এ ব্যস্ত।
বাস ছাড়তে ছাড়তে ৯ টা। মাইকে তীব্র শব্দে হিন্দি গান বাজছে, আমি আর নীতু একসাথে বসলাম। ও দেখি কানে একটা ছোট মাইক্র ফোন এমপি থ্রি নিয়ে এসেছে চোখে রোদ চশমা। সভাবতঃই আমি জানলার দিকে বসলাম। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নতুন কর্ণফুলি সেতু পার হলাম।

কক্সবাজার পৌছাতে পৌছাতে দুপুর ১ টা। অবশ্য এরমধ্যে একবার হালকা নাস্তা হয়ে গেল। পিছনে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরায় গান গাওয়া শুরু করছে, একজন একজন ডেকে মাইকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কচি কন্ঠে প্রেমের গান শুনে বেশ মজা হচ্ছিল। এক পিচ্চি ও প্রিয়া প্রিয়া তুমি কোথায় বেশ কঠিন ভাবে গাইল, স্যর এরপর এক মেয়েকে মাইক ধরিয়ে দিয়ে বললেন মা তুমি 'আমি' 'তুমি' বাদ দিয়ে একটা গান গাও। মেয়েটা নার্ভাস হয়ে নাকি তেমন গান খুজে না পেয়ে গান না গেয়েই চলে গেল।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমি আগে কখনও আসিনি, যখন পৌছালাম তীব্র রোদ। একটা ছায়ামত যায়গায় বাস দাড়িয়ে খাওয়া দাওয়া সারা হলো। স্যররা গেলেন জুমার নামাজ পড়তে। সৈকতে নামতে নামতে ৩টা রোদ কমে এসেছে। সব পিচ্চিদের ভাগ করে দেওয়া হলো যাতে অঘটন না ঘটে, আমার দায়িত্বে পড়ল নিষাদ, মিতু, ফারজানা আর শাম্মি। ভয়ে একটু পানিতে পা ডুবিয়েই ছাতার তলে চলে এলাম।
এর পরে গেলাম হিমছড়ি, পাহাড়ের উপর থেকে যেন সমুদ্র হাতছানি দেয়।



সারি সারি ঝাউবন যেন হাতছানি দেয় বারে বারে।


হিমছড়ির ঝর্ণাটাও বেশ।

ইনানী বিচের মুখেই সুন্দর কিছু নৌকা যেন চাদের মত।

কাকড়া গুলো কি সুন্দর আর্ট করেছে বালির পরে।


আর প্রবালগুলো যেন পাথরের গড়া।
১১টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×