এখনও তো কচি খুকি রয়ে গেছেন দেখি, ভার্সিটি থাকতে কখনও যাননি।
বাবা আমাদের দূরে যাওয়া পছন্দ করেন না, তার উপর মা অসুস্থ। বাসায় রান্না বান্নার ব্যপার আছে।
হেড স্যর নাছোড়বান্দা, সীমা আপাকে দায়িত্ব দিলেন আমার বাসায় বোঝানোর জন্য। সীমা আপা বেশ সদালাপী, আর সবাইকে খুব সহযেই কনভিন্স করতে পারেন। বিকালে উনার হাসবেন্ডকে নিয়ে ঠিক বাসায় হাজির, বাবা আর রাজি না হয়ে পারলেন না। শুক্রবার সকালে উঠেই বার বার ফোন স্কুল থেকে আর দেরি করা গেল না। স্কুলে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার বিশাল এক বাসে সব ডেক ডেকচি উঠানো হচ্ছে, হারুন ভাই আর উনার সান্গ পান্গরা এসব নিয়ে তীব্র হৈ চৈ এ ব্যস্ত।
বাস ছাড়তে ছাড়তে ৯ টা। মাইকে তীব্র শব্দে হিন্দি গান বাজছে, আমি আর নীতু একসাথে বসলাম। ও দেখি কানে একটা ছোট মাইক্র ফোন এমপি থ্রি নিয়ে এসেছে চোখে রোদ চশমা। সভাবতঃই আমি জানলার দিকে বসলাম। ঘন্টা খানেকের মধ্যেই নতুন কর্ণফুলি সেতু পার হলাম।
কক্সবাজার পৌছাতে পৌছাতে দুপুর ১ টা। অবশ্য এরমধ্যে একবার হালকা নাস্তা হয়ে গেল। পিছনে ছাত্রছাত্রীরা নিজেরায় গান গাওয়া শুরু করছে, একজন একজন ডেকে মাইকে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কচি কন্ঠে প্রেমের গান শুনে বেশ মজা হচ্ছিল। এক পিচ্চি ও প্রিয়া প্রিয়া তুমি কোথায় বেশ কঠিন ভাবে গাইল, স্যর এরপর এক মেয়েকে মাইক ধরিয়ে দিয়ে বললেন মা তুমি 'আমি' 'তুমি' বাদ দিয়ে একটা গান গাও। মেয়েটা নার্ভাস হয়ে নাকি তেমন গান খুজে না পেয়ে গান না গেয়েই চলে গেল।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আমি আগে কখনও আসিনি, যখন পৌছালাম তীব্র রোদ। একটা ছায়ামত যায়গায় বাস দাড়িয়ে খাওয়া দাওয়া সারা হলো। স্যররা গেলেন জুমার নামাজ পড়তে। সৈকতে নামতে নামতে ৩টা রোদ কমে এসেছে। সব পিচ্চিদের ভাগ করে দেওয়া হলো যাতে অঘটন না ঘটে, আমার দায়িত্বে পড়ল নিষাদ, মিতু, ফারজানা আর শাম্মি। ভয়ে একটু পানিতে পা ডুবিয়েই ছাতার তলে চলে এলাম।
এর পরে গেলাম হিমছড়ি, পাহাড়ের উপর থেকে যেন সমুদ্র হাতছানি দেয়।
সারি সারি ঝাউবন যেন হাতছানি দেয় বারে বারে।
হিমছড়ির ঝর্ণাটাও বেশ।
ইনানী বিচের মুখেই সুন্দর কিছু নৌকা যেন চাদের মত।
কাকড়া গুলো কি সুন্দর আর্ট করেছে বালির পরে।
আর প্রবালগুলো যেন পাথরের গড়া।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




