এইভাবে কতদিন বসে আছি, কতদিন বসে থাকবো আমরা নিজেও জানি না।
কেটে গেলো শীত-গ্রীষ্ম, কেটে গেলো ৪২ বছর । অশথ বৃক্ষের নীচে বসে থেকে অবশেষে আমাদের দেহের ‘পরে গজালো শিকড় । তারপর আমরা অকর্মার চাঁদর গায়ে লেপ্টে নিজেদের আখের গোঁছাতে ব্যস্ত সবাই....
শুয়ে-বসে আরামে ব্যস্ত..... অবশেষে অবসর নিলাম আল্লাহ প্রদত্ত "মানূষ" নামক শ্রেষ্ঠ জীবের উপাধি থেকে । একধরনের মেরুদন্ডহীন প্রজাতিতে রূপান্তরিত হয়েছি ঠিক যেন লিঙ্গ পরিবর্তনের এ এক মহা হিড়িক লেগে গেছে গোটা তাল্লুকজুড়ে। আরেকদল প্রজাতি জন্মসূত্রে মেরুদন্ডহীন নিজেদের উলঙ্গ দেহ দেখে আনন্দে মাতোয়ারা ।
তারপর আমরা চেয়ে চেয়ে রইলাম, বেহায়ার মতো উপভোগ করি জামাত শিবির ও তার দোসরদের নারকীয় তামাসা আর তান্ডবের, তাদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করি । চেয়ে দেখি চুপচাপ আমাদের অহংকারের স্তম্ভগুলির ধ্বংসস্তুপ, চুপ করে সহ্য করি আমাদের দেহের উপর উপুর্যপর নির্যাতন, নীরব থাকি যখন আমাদের পরিচয়েও আঘাত করা হয়, নিশ্চুপ থাকি যখন আমাদের পবিত্র উপাসনালয়ে তান্ডপ চালানো হয়, জায়নামাজ পুড়ানো হয়, মন্দির ভাঙ্গা হয়। তারপরও ভিক্ষুকের মতো চেয়ে থাকি, হাত পেতে আশায় থাকি কখন যেন বৃত্তবানের দয়া হয়, ভাঙ্গা ভিক্ষার থালায় ঝনঝন শব্দে পরে কয়েকটা পয়সা ।
এই বাংলাদেশ কি আমার দেশের বীরসেনারা স্বপ্ন দেখেছিল ? এই জন্যই কি তাঁরা তাঁদের বুকের তাঁজা রক্ত ঢেলেছিলো ? এই বাংলাদেশের জন্যই কি আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম বিকিয়ে দিতে হয়েছিলো ?
কারো করুনায়তো বাংলাদেশের জন্ম হয়নি ! আমরা মানচিত্র ছিনিয়ে এঁনেছি, অনেক তাঁজা রক্তের বিনিময়ে অর্জন আমাদের এই দেশ, বাংলাদেশ।
তবে কেন এখনও হাহাকার, কেন তবে এখনও আমাদের অস্তিত্ত্ব নিয়ে সংশয় !!
তারপরও আমি প্রচন্ড আশাবাদী, পরাজয় করতে বাংলার সৈনিক শিখে নাই। এখনও জেগে একঝাক নির্ভীক সৈনিক বাংলা মা' কে কলঙ্ক থেকে মুক্ত করতে। জয় তো নিশ্চয় আমাদেরই ।
জয় বাংলা