একখন্ড মেঘ অন্তরীক্ষজুড়ে ঝুলে থাকে -
উড়াল পাখির মতো ছুঁটে বেড়ায়
সারাটা প্রান্তর।
সাক্ষাত ছিলো তার সাথে
প্রতিদিন।
নিঃশ্বাসের উপশিরায় ছিলো উদ্দিপনা
সর্বক্ষণ। উপলব্ধি হতো অনবরত
স্পন্দন।স্পন্দনে প্রান জন্ম লয় -
বেঁচে থাকার আহ্লাদ কড়া নাড়ে
কাল-কালান্তর।
তারপর একদিন প্রখর খড়া রদ্দুর -
সমূদ্র বেঁকে বসে, ঢেউয়ে ভাটার
জন্ম হয়। প্রচন্ড উত্তাপে বষ্মীভূত জল,
সমূদ্রের প্রান গেছে হারায়ে। পৃথিবীর
প‘রে সমূদ্রের মৃত্যু হয়। উড়াল পাখি
উড়াল দিয়ে হারিয়ে যায়।
এত্তগুলো পরিবর্তন - যার বিবর্তনে
জীবনের মাঝে প্রান গেছে ফুরায়ে।
খোলসের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা
দুরভিসন্ধি অসার। প্রান কী করে
বাঁচিতে পারে নিঃশ্বাসহীন ?
অত্ঃপর -
এইভাবে কেটে গেল অনেকটা দিন -
মেঘবতী ডানা মেলে অতি সন্নিকটে -
ছুঁয়ে দেখি দুষ্টু বাতাসে কালচে বরন !
আড়াল করিতে চায় সে -
তার গন্তব্য, ঠিকানা
সেতো আমারই সীমানা ।
১৫ই জুন, ২০১৩ (০১:১১), লন্ডন।