ব্লুটুথ (Bluetooth) এর সাথে পরিচিতি হয়েছিল স্যার Andrew S. Tanenbaum এর লেখা Computer Networks বই থেকে। অার এই ব্লুটুথ প্রযুক্তি ওয়্যারলেস টেলিকমিউশন-এ এক বিপ্লব এনে দিয়েছে তারপর একধাপ এগিয়ে যাওয়া। ১৯৯৪ এ ERICSSON এর একদল প্রকৌশলী প্রথম আবিষ্কার করেন এই ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন টেকনোলজি পরবর্তীতে যার নাম দেয়া হয় "ব্লুটুথ"(Bluetooth)। তারপর ১৯৯৮ এ একদল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান - Ericsson, Intel, Nokia, Toshiba and IBM— একত্রে Bluetooth Special Interest Group (SIG) রুপ দেয়।
১৯৯৩ সালে প্রথম Henrik Sjödin Public access Wireless Local Area Networks(WLANs) এর প্রস্তাব করেন NetWorld+Interop কনফারেন্সে। তারপর পরবর্তীতে ২০০১ সালে এর নাম পরিবর্তিত হয়ে "T-Mobile Hotspot" হয়। এরপর পরবর্তীতে সংক্ষেপে এর নাম Hotspot এ রুপ নেয়।
ERICSSON, UK তে কাজ করার সুবাদে Tethering Hotspot এর ডিজাইন দলে কাজ করার সুযোগ এনে দিয়েছিল। তারপর Tethering Hotspot আমাদের একধাপ এগিয়ে নিয়ে এসেছে। আমাদের সেলুলার ফোন এখন শুধুই কথা বা বার্তা প্রেরনেই সীমাবদ্ধ নয় "একটি উৎস, যা কিনা অনেকগুলো যন্ত্র তথা স্মার্টফোন কিংবা স্মার্ট ওয়্যারলেস যন্র কে একত্রে একসাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দিবে"। (চিত্র-১: Tethering Hotspot )
একটি কথা আগাম বলে রাখা ভালো যে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি অতি শীঘ্রই, সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি যার নাম হবে "Self Network Communication". আর এই প্রযুক্তির ডিজাইন দলেও কাজ করতে পারাটাও আমার জন্য সৌভাগ্য বটে।
এটি এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আপনার হাতের মুঠোর সেলফোনটি হয়ে যাবে ট্রান্সিভার (TX/Rx) (Transceiver (ট্রান্সিভার) - যার দ্বারা মোবাইল সিগন্যাল আদানপ্রদান হয় আর এই কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের আশেপাশে থাকা মোবাইল ফোনের টাওয়ারে থাকা এন্টেনা থেকে)। আর এই প্রযুক্তির আরেক নাম Ad-Hoc Wireless Mobile Communication Technology. আর এই প্রযুক্তির বদৌলতে ভবিষ্্যতে আমাদের চারিপাশের Mobile Communication এর টাওয়ার গুলোর বিলুপ্তি ঘটবে। (চিত্র -২ ও ৩: Ad-Hoc Wireless Mobile Communication )
এখন এই প্রযুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিছু জটিলতা আছে আর তা পরীক্ষাধীন কিংবা গবেষণাপর্যায়ে আছে।