somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওয়্যারলেস টেকনোলজির বিপ্লব

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লুটুথ (Bluetooth) এর সাথে পরিচিতি হয়েছিল স্যার Andrew S. Tanenbaum এর লেখা Computer Networks বই থেকে। অার এই ব্লুটুথ প্রযুক্তি ওয়্যারলেস টেলিকমিউশন-এ এক বিপ্লব এনে দিয়েছে তারপর একধাপ এগিয়ে যাওয়া। ১৯৯৪ এ ERICSSON এর একদল প্রকৌশলী প্রথম আবিষ্কার করেন এই ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন টেকনোলজি পরবর্তীতে যার নাম দেয়া হয় "ব্লুটুথ"(Bluetooth)। তারপর ১৯৯৮ এ একদল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান - Ericsson, Intel, Nokia, Toshiba and IBM— একত্রে Bluetooth Special Interest Group (SIG) রুপ দেয়।

১৯৯৩ সালে প্রথম Henrik Sjödin Public access Wireless Local Area Networks(WLANs) এর প্রস্তাব করেন NetWorld+Interop কনফারেন্সে। তারপর পরবর্তীতে ২০০১ সালে এর নাম পরিবর্তিত হয়ে "T-Mobile Hotspot" হয়। এরপর পরবর্তীতে সংক্ষেপে এর নাম Hotspot এ রুপ নেয়।

ERICSSON, UK তে কাজ করার সুবাদে Tethering Hotspot এর ডিজাইন দলে কাজ করার সুযোগ এনে দিয়েছিল। তারপর Tethering Hotspot আমাদের একধাপ এগিয়ে নিয়ে এসেছে। আমাদের সেলুলার ফোন এখন শুধুই কথা বা বার্তা প্রেরনেই সীমাবদ্ধ নয় "একটি উৎস, যা কিনা অনেকগুলো যন্ত্র তথা স্মার্টফোন কিংবা স্মার্ট ওয়্যারলেস যন্র কে একত্রে একসাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা দিবে"। (চিত্র-১: Tethering Hotspot )

একটি কথা আগাম বলে রাখা ভালো যে আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি অতি শীঘ্রই, সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তি যার নাম হবে "Self Network Communication". আর এই প্রযুক্তির ডিজাইন দলেও কাজ করতে পারাটাও আমার জন্য সৌভাগ্য বটে।
এটি এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আপনার হাতের মুঠোর সেলফোনটি হয়ে যাবে ট্রান্সিভার (TX/Rx) (Transceiver (ট্রান্সিভার) - যার দ্বারা মোবাইল সিগন্যাল আদানপ্রদান হয় আর এই কাজ সম্পন্ন হয় আমাদের আশেপাশে থাকা মোবাইল ফোনের টাওয়ারে থাকা এন্টেনা থেকে)। আর এই প্রযুক্তির আরেক নাম Ad-Hoc Wireless Mobile Communication Technology. আর এই প্রযুক্তির বদৌলতে ভবিষ্্যতে আমাদের চারিপাশের Mobile Communication এর টাওয়ার গুলোর বিলুপ্তি ঘটবে। (চিত্র -২ ও ৩: Ad-Hoc Wireless Mobile Communication )
এখন এই প্রযুক্তি সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিছু জটিলতা আছে আর তা পরীক্ষাধীন কিংবা গবেষণাপর্যায়ে আছে।



০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×