somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু জানি অনুভূতিগুলো ছিলো বড় অকপট আন্তরিক.।

২৫ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[ ............

জানি না আসলে এটি কি,কোনো কবিতা না নিছক অনুভূতির পঙতিমালা, শুধু জানি অনুভূতিগুলো ছিলো বড় অকপট আন্তরিক, সহজ-সরল আর অন্যরকম অসাধারণ|

লেখা হয়েছিলো সাতানব্বুই এর মাঝামাঝি, এস।এস।সি পরীক্ষার পর নাম্বার হিসাবের পারমুটেশন-কম্বিনেশান যখন জঘন্যমাত্রায় বিরক্তিকর, ঝিমধরা সময়গুলো কাটতেই চায়না; আবার কিছুদিন ছিলাম বিষণ্ণতার এক শহর ঢাকায় তখন|

কোনো এক কঙ্কাবতীর চোখের মায়ায় লিখেছিলাম, কেন জানি তারে আর মনে পড়ে না অনুযোগে| এখনকার সমীকরণে মনে হয় কোনো ঘাত নেই, অনুরণ নেই , আলোড়ন নেই – কেন জানি কেবলই বয়ে যাওয়া জীবন| কিছুটা মরা নদীর মতো|

কর্ণফুলীর হলদেটে কাগজে লেখা সেই অনুভূতির পঙতিমালাগুলো হঠাৎ করে কুড়িয়ে পেয়ে ব্লগের দ্বিমিক পাতায় তুলে দিলাম| কোনো কোনো লাইন পড়ে খুব হাস্যকর কাঁচা অনুভূতি মনে হতে পারে, কিন্তু তাই তো ছিলাম | না?
তাই পুরোপরি সেইরকমই তুলে দিলাম|

............ ]

১.১:

শক্তির কবিতায় পড়েছিলাম - “যাবো বলে থেমে থাকতে নেই, বলতে নেই যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো?“
তারচেয়ে বলি যাবো না কেন? আমি চাই আবেগ ভালোবাসা সত্য সুন্দর ও মঙ্গলময় মহাসত্য|
বলি এসো আজ সবাই বৃষ্টিতে ভিজি|

১.২:

অতঃপর ক্ষমাপ্রার্থনা করেই বলি শিশির , তুমি কি সেই স্ট্রীটে হেঁটেছ আবার যেখানে অপরাজিতা ফুটে রয়েছে
কলেজিয়েটের প্রাচীরে আর শ্যামল ঝোঁপের মাঝে চুঁইয়ে আসে আলো, নিঃসংগ পথচারী হেঁটে যায় খোলা ম্যানহোলে দৃষ্টি সতর্ক ;
যে আলো আঁধারে হেঁটেছিলাম তুমি আর আমি ক্লান্ত
এক অনন্ত ভাস্বর জয়ের দিনে এ জাতির ; তীব্র কন্ঠে আমারও বলতে ইচ্ছে হচ্ছিল, ‘আমি জয় করেছি|

১.৩:

শিশির , মনে পড়ে এপ্রিলের তেরো ,ক্লান্ত এবং বিধ্বঃস্ত একটি অসমাপ্ত ফলাফলবিহীন যুদ্ধের শেষে আমি,
গাদা করা ফাইলস্তুপের উপর বিচ্ছিরি ঝলমলে টিঊবের আলো ,ওপাশে তুমি
অনিন্দ্য অপার; ক্লান্ত চোখে তাকাই উপরে অতীত যুদ্ধের সময়সূচী|
সময় বয়ে গিয়েছিলো ক্রমাগত স্বরের হ্রস্ব ফিসফিসানি গুহায় প্রতিধ্বনি | ক্লান্ত আমি ক্লান্ত তুমি|

১.৪:

তোমায় নিয়ে আমার সেই রাতে কত ভাবনা , শিশির; জানো মাথাব্যাথা নিয়েই আমি মধ্যরাতে হেঁটেছি
নিয়নের ছায়াময় ফুটপাথে আর পূর্ণিমার দিকে সতর্ক চোখ রেখে ,
আইস ফ্যাক্টরি রোডের ভৌতিক আবছায়ায় দীঘল কদমে আমরা হেঁটে গিয়েছি আমার বা আমাদের নিঃসংগ উৎকল্পনার ভেতর দিয়ে,
সমস্ত হিমজমাট ভদ্রতা নিয়ে; হিসাবরক্ষককে সন্তর্পনে এড়িয়ে|

১.৫:

শিশির , মধ্য এপ্রিলের এক ভ্যাপসা স্যাঁতস্যাঁতে দুপুরে, পূরবীর একলয়ের ঐকতান শব্দে যেন
বিশুদ্ধ তাললয়ের উঁচুধরের নৃত্য আর ঝিমধরা অলস দুপুরে চোখমুঁদে আমি ;
ফিরে যাই মার্চে , পনেরোর নয়টা সাতচল্লিশে আর একফাঁকে দেখেছিলাম সেকেন্ডের সোনালী কাঁটা সাতান্নয়,
হলদে হয়ে যাওয়া ছোট্ট কাঠবাদাম গাছের নিচে উচ্ছসিত তুমি অপার সরলতায়।
কি অসংকোচে আর অপার বিস্ময়ে প্রথম আমার ইন্দ্রিয় অনুভব করল একটি চিরপরিচিত চিরঅচেনা সম্বোধন – ‘তুমি’,আমার প্রথম প্রাচীর ভাঙলে তুমি আর প্রথম আঘাতের অনুরণে এলোমেলো আমার নিউরন আর প্রথম আস্বাদিত অচেনা অনাঘ্রাতা তোমার কন্ঠধ্বনি|



২৮-এপ্রিল-১৯৯৭
আইস ফ্যাক্টরি রোড,চট্টগ্রাম ও পর্বতা সেনপাড়া,মিরপুর।

(১.৫/১.১৬) পরবর্তী অংশ
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:২৯
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×