এই লেখা পরে অনেকে আমাকে আওয়ামী লীগ বলতে পারেন। আপনি আমাকে নাস্তিক ও বলুন। তবুও আমি চরম সত্য থেকে বিচ্যুত হবোনা । বিচ্যুত হবোনা আমার ধর্ম পরিচয়, আমার বিশ্বাসের উপর থেকে । হ্যাঁ, আমি সাহাবাগ আন্দোলনকে সাপোর্ট করি । কিন্তু আমার পলিটিক্যাল কোনো পরিচিতি নাই, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নেই। আমি দল হিসাবে ভোট দেইনা, ভোটাধিকার প্রয়োগে প্রার্থীর যোগ্যতাই আমার কাছে মুখ্য বিষয়। কিন্তু সত্য বলতেও কোনো সমস্যা নাই।
দীর্ঘ দিনের ইতিহাস চর্চা এবং ইন্টারনেট এর ধন্যবাদান্তে আজ আমার দীর্ঘ দিনের একটা আশা পূর্ণ হলো। আমার মনস্তাত্ত্বিক একটা বিতর্কের অবসান হলো। কারণ আমার মাথায় সব সময় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক করত যে , প্রাথমিক ইতিহাসের সোর্স অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা কে দিয়েছিলেন ? দেশে থাকতে অনেক বই পড়েও আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। বই গুলো রাজনৈতিক পক্ষপাতমূলক মনে হত। অনেক সময় ভাবতাম, যদি মুক্তি যুদ্ধ জাদুঘরে যেতে পারতাম। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বাংলাদেশের হাজার হাজার অভাগা ছাত্রের মত museum বা আর্কাইভ এ যাবার সুযোগ হয়নি। রাত দিন পরিশ্রম করে নিউজ পেপার রিপোর্ট গুলো পড়ে সত্যতা আবিস্কার করতাম। পাইনি সত্য উদঘাটনের সুযোগ।
কিন্তু কথায় আছে "ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়". তাই আমার দীর্ঘ দিনের ইতিহাস চর্চা এবং ইন্টারনেট এর ধন্যবাদান্তে আজ আমার কোন দিধা নেই যে বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন । নিউ ইয়র্ক টাইমস , ABC নিউস রিপোর্ট সহ বিশ্বের অনেক নিউস পেপারের রিপোর্ট অনুযায়ী . "'৭১ সালের ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষনা দেন। অন্য কেউ নয়। অন্য কোনো দিন নয়। খবরটি প্রচারিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি নিউজে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখেই।"
স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে জিয়াউর রহমান এর নাম প্রচার একটা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয় । আমি এ মিথ্যাচারের বিচার চাই। ইতিহাস বিকৃতির বিচার চাই, কারণ মানুষের সঠিক জন্ম পরিচয় হীন ছাড়া জারজ বলা হয়, কিন্থু সঠিক একটি দেশের ইতিহাস ছাড়া সে দেশকে কি বলা হবে তা আমার জানা নেই।
সঠিক জন্ম পরিচিতি ছাড়া, একটি একটা জাতি বেজন্মা হওয়া যাবে তা কখনো সম্ভব নয় এবং আমরা তা কখনো হতে দেবনা। তাই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে সরকারী ভাবে declare দেওয়া হোক।
তত্ত্ব সূত্র
১। Click This Link
২। Click This Link
৩। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৫