কবি ও কবিতা শাসক কিংবা সংবিধানের দাবি তুলেছে কোথাও --- এ নজির প্লেটোর প্রজাতন্ত্র থেকে আজকের গণতান্ত্রিক (?) ব্যবস্থায় কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা। তবুও হোমারের প্রতি দুর্বলতা সত্ত্বেও প্লেটো তাঁর প্রজাতন্ত্রে কবি ও কবিতাকে ঠাঁই দিতে কুণ্ঠাবোধ করেছিলেন। প্লেটো ঠিকই উপলব্ধি করেছিলেন কবিতার সম্মোহনী শক্তি সম্পর্কে। এবং কবি শাসক হলে তার ফল কি হয় তা আমরা দেখেছি সাম্প্রতিক ভারতের এক কবি শাসকের (অটল বিহারী বাজপেয়ী ) শাসনের সময়ে। তাহলে কবিকে কি হতে হবে শাসক বিরোধী, কিংবা শাসককে কবি। সে রকম হলে মানবেতিহাসের শত শত নৃশংস ঘটনার কোনো ব্যাখ্যাই খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কেমন শাসক প্রয়োজন তার নির্দেশনা প্লেটো সহ এরিস্টটলের মতো রাষ্ট্রবিজ্ঞানীররা হাজার বছর ধরে দিয়ে আসছে। কবিরা কি হবেন, তাঁদের দায়িত্ব কি --- সে নির্দেশনাও আছে কবি ও কবিতার শিল্পতাত্ত্বিক আলোচনায়।
কিন্তু যে বিষয়টি আমরা এড়িয়ে যেতে চাই; সেটি হচ্ছে, কবিতার রাজনৈতিক সচেতনতা; দার্শনিক ব্যর্থতাতো বটেই। কবিতা যদিও ইতিহাসের বর্ণনা কিংবা দার্শনিক জটিলতা নিয়ে কাজ করে না, তবুও দু'টি বিষয় কবিতায় অনভিপ্রেতরূপে ঢুকে যায়। ঐতিহাসিক এবং দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে এমন এক রাজনৈতিক ব্যর্থতার সজ্ঞার্থ তৈরি করে কবিতা, যা দিয়ে আঘাত করা যায় মানবিক মূল্যবোধেও।
১০/০৯/২০১৫