জরায়ু আমার বিদ্ধস্ত আজ,
লুপ্তপ্রায় নামে নারী,।
লুঙ্গি আমায় ভঙ্গি দেখিয়ে,
ছিন্ন করেছে শাড়ি।
পৌরুষত্বের জৌলুস ঝরিয়েছ,
রক্ত এ যোনির দ্বারে।
বল পূর্বক- সেজে পতি,
রাতের অন্ধকারে।
পিষ্ট করে স্বপ্ন সকল,
ছিন্নভিন্ন করে মন,
আমি ধর্ষিতা একজন...!
আমি কারো বোন,কারো মা,
কিংবা কারো জীবন সাথী।
হঠাৎ আসা ঝড়ে,সুখ গেছে উড়ে,
দৃষ্টিতে ছেয়ে কালো রাতি।
অবলা বটে,সবলা হয়ে,
পারিনি ধরতে লাঠি।
অধিকার ফলানো ব্যতীত দেখলাম না একজন,
প্রতিবাদী পৌরুষোচিত কোনো মন।
আমি ধর্ষিতা একজন...!
সমাজ দেখবে আমায় বক্র আঁখিতে,
নপুংসকদের দূর্বলতা ঢেকে।
ওদের উদাসীনতায়,যুগে যুগে যাবে,
অবলারা কেঁদে,তাজা প্রাণ রেখে।
স্নেহ,প্রেম,প্রীতি,আদর,নেবে আজীবন,
শেষে লুটবেও তারা নারীর যৌবন।
হিংস্র ভ্রমর দানবের বেশে যাবে,
তছনছ করে ফুলের মৌ বন।
ছলনায় সেধে,ধূর্ততায় বেঁধে,
পুরুষ করবে এমনই নাটক আজীবন,
আমি ধর্ষিতা একজন...!
জাগো নারীর দল,মুছে আঁখি জল,
দেখতে আগামীর রবি।
নিজ অধিকার নাও,শক্ত হাতে ঘুচে দাও,
ধরা হতে ঐসব নরপশুদের ছবি।
লাস্যময়ী আজ তান্ডব নৃত্যে,
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজ হাতে।
ধর্ষন রুখতে,ধর্ষক মারো,
মহা বিজয়ের রাতে।
নিঃশ্বাসে আগুন,দৃঢ়তা রেখে বিশ্বাসে,
ধর্ষকের বংশ উপরে ফেলো উচ্ছ্বাসে।
তোমাদের সাথে আমিও আছি জেনো,
যুগে যুগে অনুক্ষণ…….
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫২