আমি বললাম, 'তথাগত, আমাকে যেতে দিন।'
তথাগত বললেন, 'কোথায় যাবে ভান্তে?'
বললাম, 'মানুষের ভেতর। রক্তের নির্জন পথে। অন্ত্রে–তন্ত্রে। আরো দূর কঠোর প্রকোষ্ঠে— হাড়ের পিচ্ছিল মফস্বলে।
তথাগত বললেন, 'শ্রমণ, যেতে চাও যাও, তোমাকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হবে?'
বললাম, 'কেন?'
বললেন, 'সবচেয়ে কঠিন প্রেমিকা হলো মা, আর বাবা— প্রেমিক
সেও দ্যাখো সেলাইমেশিনে বসে সেলাই করছে সম্পর্ক
ভাই, তার চোখে চিরকালই তুমি পিঁজরাপোলের আসামি
যেনো খুন করে রেখে এসেছো তার প্রিয়তম পুত্র বা কন্যাকে।
বোন তো সেই হিংসাতেই কাতর— যে পথে সে এসেছে সে পথে তুমি আসতে গেলে কেনো?
স্ত্রী বলবে, তোমার সর্বস্ব দিয়ে যা করো তাতেও আমি সর্বহারা
আর সন্তান? সে তো ঔরসের সংস্কার—যা তুমি রেখে এসেছো প্রচুর
বিগতকালের বিছানায় আর হাতের রেখায়,
যার বীজতলা তোমার স্ত্রীর গর্ভ।
আর বন্ধুর কথা কী বলবো? তুমি বরং বন্ধুত্বের বদলে একটা সিংহ পুষে
তার মুখ হা করে আস্তে আস্তে নিজের মাথাটা গলিয়ে দিও।'
বললাম, 'তথাগত, তাহলে বলুন আমার করণীয় কী?'
তিনি বললেন, 'শুনো, শ্বাস নাও
শ্বাস ছাড়ো
শ্বাস নাও
শ্বাস ছাড়ো
এই একটিই ক্রিয়া আছে তোমার হাতে আর
এভাবেই যদি একদিন টুপ করে মরে যেতে পারো
ভেবো— সফল জীবন।'
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬