তথাগতকে বললাম, 'প্রিয় সিদ্ধার্থ, একটা প্রাচীনকথা শুনবেন?'
তিনি বললেন, 'বলো।'
বললাম,' রোহিণী নদীর তীরে হল–কর্ষণ উৎসব হবে
সেদিন দিনের শেষে সমস্ত নগরবাসী ও নগর উৎসবমুখর
শহরবাসী, শ্রমিক ও ভৃত্যদের গায়ে সুন্দর আবরণ
বাৎসরিক উৎসবে এসেছে সাতশো নিরানব্বইটি লাঙল ও জোয়াল
রুপার রুপালি পাতে মোড়ানো— অমাত্যবর্গের জন্য,
এসেছে রাজার জন্যে সোনার পাতে মোড়ানো লাঙল–জোয়াল
আর রাজার সাথে রাজপুত্র
বসেছে জম্বুবৃক্ষের ছায়ায়
পরিচারকগণ রাজপুত্রের প্রহরায় ন্যস্ত
নৃত্য–গীত–বাদ্যের আমোদে–প্রমোদে পরিচারকবৃন্দ
সোনালি–রুপালি লাঙলে মাটির বুক চেরা দৃশ্য দেখতে শিশুটিকে ফেলেই চলে গেলো কৃষি উৎসব দেখতে।
এদিকে সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়লেও ধ্যানমগ্ন শিশুটির মাথায়
জম্বুবৃক্ষ স্থির ছায়া ফেলে তাপ নিবারণ করে যায়।'
তথাগত বললেন, 'এতো আমারই গল্প, আমাকে শোনালে কেন তবে?'
বললাম আমি, 'আসলেই কি জম্বুবৃক্ষ আপনার মস্তকে ছত্রের মতো ছায়া ধরে ছিল?'
তথাগত বললেন, 'সূর্য মানুষ না তাই
এমন হবার কোনো কারণ নেই যে ভুলক্রমে আমার মথার উপর জম্বুবৃক্ষের ছায়া রেখে যাবে।'
'তাহলে এ গল্প!' আমি বললাম।
তিনি বললেন, 'পৃথিবীতে কখনো কোনো ঘটনা ঘটে না যা সুপারন্যাচারাল।'
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৭