
বন্যলতার রক্তিম চোখে ছিল কি শুধু মিলনের আহবান নাকি সত্যিকারের লতানো গুল্মের মতো অস্তিত্বের অবলম্বন। জানি না, জানবার চেষ্টাও করিনি। শুধু জানি জোয়ারী মেঘে রুপবৈচিত্র্য আছে কিন্তু ঘনবর্ষন নেই। কোন এক গোধূলিতে চলনবিলের মধ্যে দিয়ে চলেছি কিছুক্ষণ, সে আর আমি। দৃষ্টির সীমানা যখন কাছে থেকে দূরে যেতে লাগলো আর কিছু মাটির মানুষের সহজ সরল জীবন দেখতে দেখতে তুমি বলেছিলে আমাকে একটা ঘর বানিয়ে দাও না এখানে। আঙিনায় থাকবে বুনো ফুল, ঘরের চালায় লতানো গুল্ম, অদূরে দূর্বঘাস, সম্মুখে দৃষ্টিকে পরাজিত করা তেপান্তর, সাথে জলাধার আর সব থেকে থাকার যে জিনিসটা থাকবে না সেটা হলো বেড়া বা প্রাচীর।
কখোনো ঘাস ফড়িং হয়ে নেচে বেড়াবো বুনোফুলে, কখোনো পুঁটি মাছের ঝাকে ঝকঝকে জলে আবার সাদা বকের মতো পদ্ম জলাশয়ে। গোধূলির রক্তিম বিকেলে উত্তরী সুরে যখন হালকা কুয়াশা পড়বে তখন তোমার বাউল চাদরে বিস্তীর্ণ সরষে ফুলের বিছানায় হারিয়ে যাবো কিছুক্ষণ।
বনলতা পড়তে পড়তে কবে যে রুপক হয়েছিল আমার ভাবনার চারপাশ তা খেয়াল করিনি। তাই তো তাকে ঘিরে আমি নিমগ্ন হই বন্যলতায়। এক সহজ, সাধারণ জীবনের গল্পকথা, শুধু অসাধারণ ছিল তার অব্যক্ত না বলা জিজ্ঞাসার গদ্য অবয়ব, মানুষ এবং মুখোশের দুর্বোধ্য মেলবন্ধন। ভাল থাকুক আমার বন্যলতা পথের ধূলায়, ঘাসফুলের স্নিগ্ধ শিশিরে।
একবার না বহুবার যাই চলনবিলের রাস্তা ধরে জীবনের প্রয়োজনে আর চোখের সামনে দেখি বন্যলতার সংসার, কখনো ঘাস ফড়িং এর দুরন্তপনায় আবার কখনো জোনাক আলায়। আমি আছি, আমার স্বপ্নগুলো আজও বর্তমান। শুধু বন্য লতা সেকাল থেকে একালে হয়ে উঠেছে বনলতা, কবিতা থেকে জীবনের গল্পে, বহমান ভালবাসায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


