somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্টারনেটে ঘরে বসে কি সত্যি টাকা কামানো যায়?

০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইন্টারনেটে ঘরে বসে কি সত্যি টাকা কামানো যায়? –এই নিয়ে সন্দেহ আর বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগছেন অনেকেই। অনেকের কাছেই এটা ভুয়া গল্প মাত্র, আবার অনেকেই ভালো ফলও পাচ্ছেন। আর কেউ কেউ আছেন, যাঁরা বিশ্বাস বুকে নিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সাফল্যের মুখ দেখতে পারছেন না তাঁদের ভুল পদ্ধতি কিংবা ভুয়া পথে হাঁটার জন্যে।হ্যা, ইন্টারনেট থেকে টাকা কামানো যায়। তবে একটা বিষয় সত্যি, আপনি খুঁজলে যে পথগুলো পাবেন তার সিংহভাগই স্ক্যাম; আর একারণেই অনেকের বিশ্বাস উঠে গেছে, ভুয়া গল্প মনে করছেন। অনলাইন আর্নিং-এ (আউটসোর্সিং) বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে, কিছুদিন আগে একটা প্রতিবেদনে পড়েছিলাম- বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে আউটসোর্সিং-এ ঢাকার অবস্থান তৃতীয়!আপনি যদি ভেবে থাকেন যে ঘরে বসে থাকবেন, দুই-চারটা ক্লিক করবেন আর টাকা আপনার পকেটে চলে আসবে, তাহলে বলবো আপনি নেহায়ত একটা বোকা। একটা ব্যাপার ভাবুন, আপনি যে চাকুরীটা করেন সেখানে আপনাকে সাত-আট ঘণ্টা সময় দিতে হয়। এক্ষেত্রেও আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। তবে হ্যা, আউটসোর্সিং-এ পথভেদে আপনাকে পরিশ্রম কম-বেশি করতে হতে পারে। চলুন দেখি ইন্টারনেট থেকে টাকা কামানোর কী কী পথ আছে-১. গুগোল এডসেন্সঃ এটি সবচেয়ে জনপ্রিয়, আলোচিত এবং অবশ্যই বিশ্বস্ত পদ্ধতি। এক্ষেত্রে আপনার নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। Google-এর বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবেন আপনার সাইটে, ভিজিটররা সেই বিজ্ঞাপনের লিংকে ক্লিক করলে আপনি নির্দিষ্ট অংকের টাকা পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার সাইট গুগোল কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।২. অন্যান্য বিজ্ঞাপনঃ গুগোল এডসেন্সের মতো আরও কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, আপনি তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজ করতে পারেন। এর মধ্যে তুলনামূলক জনপ্রিয়- AdBrite, Clicksor ইত্যাদি।৩ . ফ্রিল্যান্সঃ এটিই মূলত বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সাইটে নিবন্ধন করে সদস্য হতে হবে। যাঁদের কাজ করিয়ে নেওয়া দরকার তাঁরা এইসব সাইটে কাজের বিজ্ঞাপন দিবেন। সেটি হতে পারে প্রোগ্রামিং বিষয়ক কিছু, বাগ ফিক্সিং, ওয়েব সাইট তৈরি অথবা ব্যক্তিগত সহকারীর কাজ! আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সেখানে আবেদন (বিড) করবেন। কাজদাতা যদি আপনাকে পছন্দ করেন, তাহলে আপনি তাঁর কাজ করে দিয়ে বাজেট অনুযায়ী টাকা পাবেন। এক্ষেত্রে দক্ষতা এবং সততা যথেষ্ট হওয়া উচিৎ।৪. ব্লগ লেখাঃ একটি নির্দিষ্ট কিংবা একাধিক বিষয়ের উপর আপনি ব্লগ লিখবেন, সেখানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করবেন। আপনার লেখা হতে হবে যথেষ্ট তথ্যবহুল। ভেবে দেখুন, আপনি যে বিষয়ে লিখছেন সেই একই বিষয়ে ইন্টারনেটে শত শত ব্লগ আছে, তাহলে ভিজিটর সেগুলো ছেড়ে আপনার ব্লগে কেন আসবে?৫. এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ এটি সোজা ভাষায় দালালী। কোনও কোম্পানির এফিলিয়েট মেম্বার হলে তারা আপনাকে একটা লিংক দেবে। সেই লিংক আপনি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করবেন। আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি ওই পন্য কেনে, তাহলে লভ্যাংশ থেকে একটা নির্দিষ্ট অংশ আপনি পাবেন।৬. পিটিসিঃ আপনাকে কিছু লিংক দেওয়া হবে, আপনি সেই লিংকে ক্লিক করবেন। এটি মূলত বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের উল্টো বিষয়। এক্ষেত্রে আপনার ক্লিক থেকে তারা যে লাভ পাচ্ছে, তার একটা ভাগ পাচ্ছেন আপনি।৭. ডোমেইন-হোস্টিং বিক্রয়ঃ ডোমেইন বিক্রয় এবং হোস্টিং রিসেল করে আপনি ভালো পরিমান একটা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।৮. ডোমেইন পার্কঃ ধরুন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট নেই। আপনি তাঁর নামে একটা ডোমেইন কিনে রাখলেন। তিনি যখন ডোমেইন কিনতে গিয়ে দেখবেন তাঁর নামের ডোমেইন আপনি কিনে রেখেছেন, তখন নিশ্চয়ই সেটি তিনি পেতে চাইবেন। এবার আপনি ঝোপ বুঝে কোপ মারবেন। মাত্র ১০ডলারে কেনা ডোমেইন business.com বিক্রী হয়েছিল ৭ লাখ ডলারে। আর বারাক ওবামার নামের একটি ডোমেইন এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ডলার দাম উঠেছে। (সুত্রঃ আর্নহেল্প) এটি ডোমেইন পার্কিং। ডোমেইন পার্ক করার পদ্ধতি নিয়ে পরে আলোচনা করা হবে।৯. আর্টিকেল লেখাঃ বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করায় এমন ব্লগের জন্যে আর্টিকেল লিখে দিতে পারেন আপনি। এটি অনেক ভালো একটি উপায়। ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলেই এই কাজে সাফল্য সম্ভব। প্রতি ৫০০ শব্দের আর্টিকেল লিখে ২ থেকে ১২ ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।১০. অন্যান্যঃ এছাড়াও ডিজিটাল পন্য তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। ইবুক লিখে অনেকেই ভালো অংকের টাকা কামাচ্ছেন। কেনা-বেচা করেও আপনি অর্থের মুখ দেখতে পারবেন, কিছু কিনে রাখলেন পরবর্তীতে তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি করে দিবেন। একটা পদ্ধতি হল সার্ভে, বিভিন্ন প্রকার জরীপে অংশ নিতে পারেন আপনি। আরও কিছু পদ্ধতি হয়তো বাদ পরে গেছে, নিজে একটু ভাবুন, জানার চেষ্টা করুন।পদ্ধতি যেটাই হোক, আপনাকে হতে হবে সৎ, নিষ্ঠাবান আর পরিশ্রমী। নয়তো শেষ পর্যন্ত আপনিও বলে বসবেন ‘ধুর! সব ভুয়া!’। আরেকটা বিষয় হল- আপনাকে অবশ্যই বিশ্বস্ত মাধ্যমে কাজ করতে হবে। কোথাও কাজ করার আগে সেটির বিযয়ে খোঁজখবর নিন।ভালো থাকুন। দেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করুন। সবার জন্যে শুভকামনা।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×