এত সহজে যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকতে পারবো প্রথমে বিশ্বাসই হচ্ছিলো না! বসলাম গদি মোড়ানো চেয়ারে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে মৃদু মিষ্টি সুবাস। সামনে বসা জনগণের প্রতিনিধি মৃদু হেসে বললো,
- আপনার পরিচয়?
- মাগুর রুবায়েত, সাধারণ নাগরিক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
- শুনে ভালো লাগলো। কেন এসেছেন জানতে পারি?
- তেমন কিছু না। আপনার কাজ-কর্মের খোঁজ নিতে এসেছি।
- আপনি নিবেন আমার কাজ-কর্মের খোঁজ-খবর?
- কেন নয়? যে গণপ্রজাতন্ত্রের চাকরী করেন আপনি সে গণপ্রজাতন্ত্রের একজন প্রজা হিসাবে কর্মচারীর কাজের খোঁজ নিতে আসতেই পারি! তাই নয় কি? নিশ্চয় মনে আছে সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ?
- তা ঠিক! কিন্তু....!
- কিন্তু কি? একজন টং চায়ের দোকানদারও তার কর্মচারীর কাজের খোঁজ রাখে, আমরা কেন পারবো না? এত বড় দায়িত্ব দিয়েছি আপনার কাঁধে, এখন থেকে প্রায়ই এসে খোঁজ খবর নিয়ে যাবো। যাই হোক, চা হবে এককাপ? কফি হলে আরো ভালো হয়, ব্ল্যাক-চিনি ছাড়া।
- ঠিক আছে বলে দিচ্ছি! সাথে বিস্কিট চলবে?
মাথা নাড়িয়ে না বললাম। কিছুক্ষণের মধেই স্বচ্ছ কাঁচের তৈরী অসাধারণ সুন্দর একটা ট্রের উপর চিনামাটির তৈরী গাড় বেগুনী কালারের কাপে কফি নিয়ে রুমে ঢুকলো ছিপছিপে গড়নের এক তরুণী! কোন এক অজানা কারনে তার হাত দুটো কাঁপছে! ট্রে থেকে কাপটা তুলে আমার দিকে বাড়িয়ে দিতেই হাতটা এবার জোরে কেঁপে উঠলো! ছলকে কিছুটা কফি পড়লো আমার পাঞ্জাবী আর প্যান্টের উপর! লাফ মেরে উঠলাম চেয়ার থেকে.....!
তরুণীর দিকে কটমট করে তাকানোর আগেই ঘুমটা ভেঙে গেলো! ৮:১৭টা বাজে, অফিসের গাড়ি আসবে ৮:৪০ এ। আর বেশী দেরী নাই, রেডী হতে হবে....।