somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেকারের দিনরাত্রি

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাতে ঘড়ি নাই, মোবাইলে চার্জ নাই, খর রোদে বারোটা পার হইয়া গিয়াছে নিশ্চিত হওয়া গেল। আমি বেকার, সময়ের বেকার, কাজের বেকার, অকাজেরও বেকার। ইহা বেকারির বেকার নহে। আই রিপিট, ইহা কক্ষনই Bakery এর Baker নহে। ইহা হইল বাপের বেকারিতে বসিয়া বেকিং করা বেকারি প্রডাক্ট বাক বাকুম বদনে বিশাল বিশাল আকৃতির হা করিয়া হাভাতের মত ফ্রি ফ্রি গিলিতে থাকা। আমি হইলাম সেই বেকার। এখনও হালাল হই নাই, আই মিন হালাল বেকার হই নাই। হইবই বা কেমনে !!! মাস্টার্স না কি যেন বলে ছাতা ওইটাকে, হা হা, ওইটাই। সেই হতভাগা কাগজে কলমে ধরা দিতে যে এক্ষনো তিন মাস বাকি। তবে ঐযে কাহারো কাহারো মুখে কাভি কাভি বেশ শুনিয়াছিলাম। মোর জীবনের অমুক সময় ছিল স্বর্ণ সময়, মোর অমুক সময় ছিল স্বপ্নের চোরাবালি। একেবারে আটকাইয়াই গিয়াছিলাম। আহা, মধু...মধু। এইসব আগে শুনিতাম আর ভাবিতাম। আমার জীবনে কখন আসিবে এই সময়। আর যাবি কোথা !!! এই নে এক্কেবারে ঢালিয়া দিলাম। জি জি জি...... আগা মাথা পুরাটাই ধরিয়া ফেলেছেন। আমি সেই সময়ের পালঙ্কে শুইয়া শুইয়াই লিখিতেছি। ঝামেলা একটাই, বেশি আরামি দিনাতিপাত করিতেছি তো, একটা ঘোরের মধ্যে সময়গুলো পার করিতেছি। এরকম সময় বড্ড খারাপ। না না ... আমার জন্য মোটেই না। (সাধু বাদ, চলিত সর্বোত্তম) ...... যারা অতি আগ্রহী হয়ে আমার ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন করতে চান, তাদের জন্য। এইতো সেদিন, এক বড়ভাই অতি স্নেহের সাথে পুছলেন,
- তোর থিসিসের কাজ শেষ?
- হু। ওইটা তো সেকেন্ড সিমেস্টারেই খতম।
- এখন কি করিস? বিসিএস টিসিএস পরতাছিস তো, নাকি ??
- ভাই, বই তো সবডি বেচা দিছি।
- তাইলে?
- আপাতত ঘুমাচ্ছি, আর না ঘুমাইলে গোসল করছি।
- ??????????????????????????????????????????????????
ভাই, আমার কথার আগা মাথা কিছু বুঝলেন বলে মনে হল না। আমি নিজেই বুঝি নাই। তবে কথা সত্য। আমি সকালে ফজর পরে ঘুমাই। দুপুরে উঠে গোসল করে, নামাজ পরে আবার ঘুমাই। খাইতে ইচ্ছা করলে খাই, নাইলে নাই। বিকালে ছাদে উঠে মুরগির মত ঝিমাই। রাতে আবার ঘুমাই
একই প্রশ্ন যখন বাপ মায়ের কাছ থেকে।
ক্রিং ক্রিং...... ( মোবাইল স্ক্রিনে মায়ের নাম্বার দেখিয়াই হাতে একখান ক্যামব্রিজ আই ই এল টি এস বই খামচাইয়া ধরি। )
- মা.........
- কি করিস?
- পড়ি। (কক্ষনই মিথ্যা নয়। আমি এক লাইন পড়ার পর ই কল রিসিভ করি )
- কি পড়িস?
- আই ই এল টি এস।
মায়ের মমতা যেন ঝরে পরে।
- আহহারে, বাবা। এত পড়িস না। একটু আরাম দে শরীরে।
আমি সাথে সাথে জি আচ্ছা বলে বইটা আলগা ভাবে পাশে রেখে দেই। হাজার হলেও, মায়ের আদেশ, অমান্য করলে মাথায় ঠাডা পরবে
এইগুলান আলুছানা। প্রতিবেলাতেই থাকে, প্রতিদিন ই থাকে। বলে শেষ করা মুশকিল। তবে আসলে আমি বড় শান্তিতে আছি। এই শান্তি প্রতিদিন ক্লাস করার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার শান্তি, এই শান্তি...... আর কিছু না। একমাত্র ওইটাই। ক্লাসরুম। আমার ক্যাম্পাস লাইফে একমাত্র ওই জিনিসটাই নেগেটিভ আর সব পজিটিভ। ............ মনে রাখার মত কিছু থাক্লে ক্লাস সেভেন টু টেন। মোর দ্যান ইনাফ। আহা মধু... মধু :)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×