বিখ্যাত পর্তুগীজ দার্শনিক ও কবি দশাওন কেহম-এর নাম আমরা অনেকেই হয়তো জানিনা। জানবার কথাও নয়, তিনি কখনোই তার কবিতা এবং দার্শনিক চিন্তা-ভাবনা সমাজের আর দশজন মানুষের কাছে বিক্রি করে বেড়াননি। তিনি উনিশ শতাব্দির শুরুর সময়টাতে পর্তুগালের সৈকতে একমাত্র লাইট হাউস হিসেবে আলো ছড়াচ্ছিলেন। পৃথিবীর বড় বড় দার্শনিকদের চিন্তা-ভাবনার মূল উপজীব্য ছিলো এই দশাওন কেহমের দর্শন। অখ্যাত এই কবির দর্শন ধার করে তারা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা বই লিখে গেছেন, কিন্তু কখনোই শিকার করেননি কৃতঙ্গতা।
পর্তুগীজ ভাষায় রচিত দশাওন কেহমের একটি কবিতা আজ বাংলায় আনুবাদ করা হলো...
নীল সুর্য
ঘুম চখে চেয়ে যেন আকাশের দেবী
বৃষ্টির মতো বিক্ষিপ্ত কয়েক লক্ষ
দৃষ্টির ধাড়ালো ফঁলা,
স্বজোড়ে ফুটো করে দিতে চায় হৃদপিন্ড
কাম নিয়ে যেন ছেলে খেলা করে তা
অভাবহীনের বেদনার মতোই নীরবে।
সে আকাশে উঠেছে কলঙ্কহীন পূর্ণাঙ্গ দুটি চাঁদ
সুর্যকে রাঙিয়ে দিয়েছে নীলে
এক নীল নিষ্পাপ সাপ
শরীরকে পান করে নিচ্ছে মহাসাগরের তৃষ্ণা নিয়ে।
সাপের নীচে ঢাকা পরেছে এক ছোট্ট প্রজাপতি,
স্বার্থপরের মতো শুষে নিচ্ছে চাঁদের সব রঙ।
মেঘের প্রতিটি বাকে চড়ে বসেছে কিছু ক্ষুদার্থ ঈশ্বর
জল ও কাব্য নিয়ে করছে চুরি
নীল সাপ, নীল সুর্য আর বাদামী রঙের প্রজাপতি,

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




