১৯৪৭ সালের ২৮ সেপটেম্বর শেখ মুজিবুর রহমান কি বুঝতে পেরেছিলেন, যে তিনি মস্ত বড় এক ভুল করেছিলেন? আজকে যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, তবে সর্বকালের সেরা পিতৃভক্ত কন্যার জন্মটাকে হয়তো তিনি ভুল বলেই বিবেচনা করতেন। আর যদি তিনি সেটাকে সঠিক বলে মেনে নিতেন, তবে কি তাকে আমরা সর্বকালের সেরা বাঙ্গালি (যদিও উপাধিটা তার কন্যার দাওয়া) হিসেবে মেনে নিতে পারতাম? অথবা, সর্বকালের সেরা পিতৃভক্ত কন্যাকে তিনি কি স্বমর্থন করতেন?
আমাদের জাতির জনক ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আরো একটি ভুল করে ফেলেছিলেন। তিনি না ঘুমালে তাকে কোন স্বপ্ন দেখতে হতো না, এই স্বপ্ন পুরণটাকেই জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে নিতো না তার কন্যা, আর বাঙ্গালি জাতিকেও ডিজিটাল বাংলাদেশের মতোন হাজার হাজার দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।
বঙ্গবন্ধু ভুল করুক আর সঠিক করুক, তিনি তার জীবনে সবচেয়ে বড় যে কাজটি করে বাঙ্গালি জাতিকে ধণ্য করেছেন, তা হলো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পিতৃভক্ত কন্যার জন্ম। যে কন্যা তার পিতার স্বপ্ন পুরণ করাকে জীবনের একমাত্র ব্রত হিসেবে নিয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রমাণ করে চলেছে পিতৃভক্তি। পৃথিবীতে আর কাউকে হয়তো এতোটা তেল মারা সম্ভব হয়নি, যতোটা তেল মারা হয়েছে এই পিতাকে।
পিতা স্বপ্ন দেখেছেন। দেশের জন্য হয়তো তার স্বপ্ন দেখাটা আর সর্বকালের সেরা কন্যা জন্ম দাওয়াটাই একমাত্র কাজছিলো। পিতা স্বপ্ন দেখেছেন, আর পুরণ করেছে তার কন্যা। পিতা স্বপ্ন দেখার বেলায় কোন কিছুকেই ছাড় দেন্নি। স্বপ্নের পর স্বপ্ন দেখে গেছেন পিতা, আর পিতৃভক্ত কন্যা তা পূরণের জন্য সমস্ত বাঙ্গালি জাতিকে বলির পাঠা বানিয়ে ছেড়েছে। মনে প্রশ্ন জাগে, এতো স্বপ্ন একজন মানুষ দেখে কিভাবে!
শুধুমাত্র স্বপ্ন দেখে গেলে একটা কথা ছিলো, আরেকটা বিপত্তি হিসেবে দেখা দেয় তার নামটা। শেখ মুজিব কি কখনো স্বপ্নে দেখেছিলেন, তার নামটা একদিন বাঙালি জাতির ভোগান্তিতে পরিণত হবে! হয়তো চেয়েছিলেন নামটা বাঙ্গালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখুক। অথবা প্রথমটাই চেয়ে থাকবেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কন্যাকে দেখলে অন্তত তাই মনে হওয়াই স্বাভাবিক। দেশের প্রতিটা জিনিস পিতার নামে নামকরণ না করলে পিতৃভক্তি থাকলো কথায়! পিতার ভক্ত এই কন্যা পারলে পুরো দেশটার নাম পাল্টিয়ে পিতার নামে রেখে ফেলে। নামকরণ প্রসঙ্গে ২য় পর্বে আলোচনা করা হবে আশাকরি।
এই আধুনিক যুগে এমন পিতৃভক্ত কন্যা খুজে পাওয়া সম্ভব নয়। পৃথিবীর আর কোন দেশে এমনটা পাওয়া যাবে না, যা আমাদের দেশে আছে। পিতৃভক্তি বাংলাদেশের গৌরব। জাতিসংঘের উচিত দ্রুত এই কন্যাকে পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পিতৃভক্ত কন্যা হিসেবে স্বিকৃতি দাওয়া। এছাড়া, বছরের একটা দিনকে পিতৃভক্তি দিবস হিসেবে স্বীকৃতির আবেদন জানানো হলো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




