বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত দুরুদ শব্দটি মূলত ফার্সী শব্দ। এর মূল আরবী শব্দ হল সালাত। সালাতের অনেক গুলি অর্থ আছে। এর মধ্যে একটি অর্থ হল দুরুদ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর পরিবার -পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও সাহাবায়ে কেরামগণের প্রতি আল্লাহ সুবহানাতায়ালার রহমত ও শান্তি কামনা করার নামই হলো দুরুদ বা সালাত বা প্রার্থনা।
আজ জুম্মাবার। জুম্মার দিনে দুরুদ শরীফ পাঠ করা প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন "তোমরা জুম্মার দিনে আমার প্রতি বেশি পরিমানে দুরুদ শরীফ পাঠ কর। এ দরুদে ফেরেশতাগন শরীক হয় এবং এ দুরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়।" রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, " কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে বেশী নিকটবর্তী হবে যে আমার প্রতি বেশী বেশী করে দুরুদ শরীফ পাঠ করবে।" মেশকাত শরীফে আরো বর্ণিত আছে- " বান্দা একবার দুরুদ শরীফ পাঠ করলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষন করেন, তার ১০ টি গুনাহ
মার্জনা করেন এবং তার ১০ গুন বেশী মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়।"
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন, - "জুম্মার দিনে এমন একটি সময় আছে যখন বান্দার দোয়া কবুল হয়। (মেশকাত শরীফ) " অধিকাংশ মুহাদ্দিসদের মতে সেই সময়টা আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই আসুন আজকে আমরা সবাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি বেশী বেশী করে দুরুদ শরীফ পাঠ করি।
কি কি বাক্য দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দুরুদ পাঠ করতে হবে তা হাদীসের সব কিতাবেই আছে। এছাড়া সাহাবীরাও অনেকেই দুরুদের বিভিন্ন বাক্য রচনা করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে পাঠ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সব বাক্য শুনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ফলে সে বাক্য গুলিও দুরুদ শরীফের অনুমোদিত বাক্যরুপে গৃহিত হয়েছে। দুরুদ শরীফের উপর সবচেয়ে ভাল বই হল দালায়েলুল খায়রাত। এটা বাংলা ভাষায়ও বের হয়েছে।