somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খন্ড গল্পঃ বিদায়।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


- আমি তোকে ভালোবাসি। সিক্সটি সেকেন্ডের জন্য আমার গার্লফ্রেন্ড হবি?

- গার্লফ্রেন্ড কি চাইলেই হওয়া যায় বাবু?

- সময় ফুরিয়ে যাইতেছে। হবি কিনা বল। জলদি বল!

- হবো। এক কোটি বার হবো! আই লাভ ইউ।

- হাত ধর। চল ফ্লাইওভারের উপ্রে থেকে লাফ মারি।

- কি !

- হু। এই জীবনে তো আমার হইলি না, চল একসাথে মইরা যাই। হাহাহাহ।

- তুমি পাগল!

- হ কথা সত্য। মনে রাখিস, এই জন্যই প্রেমে পড়ে গেছিলি তুই।

- তুমি এমন ক্যান?

- তোকে চুমু খাবার জন্য আমি মইরা যাইতেছি। শেষ একবার চুমু খেতে দিবি?

- উঁহু।

- তুই কিন্তু এই মুহূর্তে আমার গার্লফ্রেন্ড। তোর উপ্রে আমার হক আছে, সেই হক নষ্ট করলে কিন্তু পরকালে ঠ্যাকা থাকবি।

- চুমু খেলে আমি যাইতে পারবো না, তুমি জানো। আমাকে শক্ত থাকতে দাও। প্লিজ।

- হুম। আমি দাবী ছাড়বো না। কইয়া দিলাম।

- তোমার সিক্সটি সেকেন্ড শেষ। এখন আড়াই মিনিট হয়ে গেছে।

- তুমি একটা ফাজিল মেয়ে ! ব্রেকাপ হচ্ছে আমাদের, আর তুমি ঘড়ি দেখতেসো !

- আমাকে যাইতে দাও। তুমি ভালো থাকো।

- এই ব্রেকাপটা ভালো না? তুমি ভাবছিলা তোমার মতো ভেউ ভেউ করে কান্তে কান্তে আমি ব্রেকাপ করবো? নট মাই স্টাইল। হাহাহা।

- তুমি কি এখনও একটু সিরিয়াস হবা না? আমি চলে যাইতেছি।

- আমি অনেক সিরিয়াস। হু।

- আমার বাবুটার খেয়াল রাইখো। প্লিজ।

- ভাদাইম্যা ছেলেরা নিজের খেয়াল রাখে না। তুই আমার বাবুনিরে দেইখা রাখবি। ওরে আমি ভালোবাসি।

- রাখবো।

- যাও এখন।

ছেলেটা খুব স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েটার হাত ছেড়ে দিলো। মেয়েটা শাদা পঙ্খী স্কুটিতে উঠলো, হেলমেট মাথায় পড়ে একবার পেছনে তাকালো। ছেলেটা সৌম্য, শান্ত মুখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, চশমার কাঁচ ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসছে। এখনও বাতাসে মেয়েটার গায়ের উথালপাথাল ঘ্রাণ।

শাদা স্কুটিটা ক্রমশ ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হচ্ছে, আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভিড়ের মাঝে আলাদা করে চেনা যাবে না। মেয়েটার লালচে চুল, গলার সবুজ স্কার্ফ বাতাসে উড়ছে। ছেলেটা তাকিয়েই আছে। ছেলেটার আসল নাম বাবু নয়, মেয়েটাকেও কেউ বাবুনি নামে চেনে না। তাতে অবশ্য পাঠকের খুব বেশি কিছু আসে যায় না।

"আমরা দুজন কাল যেখানেই থাকি,
গল্পটাকে রাখিস বুকে তুলে।
এই আমাদের একটা যে গান ছিলো,
কাউকে সেটা দিস নে যেনো ভুলে।"
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×