somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুল ভার্ন এর পোষ্টে সামু এডমিন জানা আপুর মন্তব্য

০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ব্লগ, ব্লগিং এবং ফাতরামি

লিং থেকে পোষ্ট পড়ে তারপর আপুর মন্তব্য পড়ুন। আর আপুর সন্তান তুল্য ব্লগটিকে আসুন আমরা সবাই ভালোবাসতে শিখি।

জানা বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্টের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্গতা জানবেন ভাইয়া।

অনেকদিন ধরেই আমি নানান বিপদে থাকায় এখানে মাঝেসাঝে চোখ বুলিয়ে গেলেও কখনও দুলাইন লেখার শক্তি পাইনি! বলতে গেলে দীর্ঘদিন ধরে কঠিন অসুস্থতায় কাটছে আমার। আমার এই কষ্ট পরিবারের সদস্যদেরতো বটেই, আমার প্রিয় ব্লগারদেরও সাংঘাতিকভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, জানা হারিয়ে গেছে! আল্লাহর রহমতে তা ঘটেনি। সন্তান, স্বামী, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি সাধারণ দায়িত্বটুকু পালন করার শক্তি বা সামর্থ আল্লাহ্‌ অন্তত বহাল রেখেছেন। সাথে সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং পরিবারের প্রিয়জনদের ভালবাসা এবং যত্নে পরিস্থিতি ভালোর দিকেই যাচ্ছে বলে বিশ্বাস করি।

বিগত প্রায় ছ'টা বছরে জীবনের ওপর দিয়ে যেন 'টর্ণেডো' বয়ে গেল! প্রথম তিনটে বছরের কষ্টের ভার কোনমতে সয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। মনের জোরে, স্বামী ও পরিবারের বিপুল ভালবাসায় এবং ব্যক্তিগতভাবে শক্তিশালী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের( আল্লাহ্‌র কাছে কৃতজ্গতা অশেষ) কল্যাণে সোজা হয়ে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই অপ্রত্যাশিত এবং অসহনীয় কিছু বিষয় ঘটে যায় পরিবারে, যা আমাকে অন্য মানুষে পরিণত করেছে। আমি পরিবারের খুব কাছের কিছু মানুষের সাথে নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া প্রায় কারোর সাথেই যোগাযোগ করতে পারিনি/পারছি না বিগত তিনটে বছর!

২০১৯ এর ডিসেম্বরে আমি ১৭ বছর বয়সী ফুটফুটে সুদর্শন, উজ্জ্বল-উচ্ছ্ল, বুদ্ধিদীপ্ত, সঙ্গীত-নাট্যকলা সহ হাজারও গুনে গুনান্বিত নিজের সন্তানসম ভাগ্নেকে (আমার বোনের বাচ্চা) হারাই! আমার মেয়ের জন্মের প্র‌ায় দেড় বছর আগে ওর জন্ম এবং সেই হিসেবে আমি প্রথমে ওরই 'মা' হই। আমাদের সম্পর্কটাও একেবারেই মা-ছেলের মতই! হারিয়ে গেল চীরদিনের জন্যে!! অন্ধকারে ছেয়ে গেলো ওর মা-বাবা এবং একমাত্র ছোট্ট বোনটার জীবন!! আর আমি....!

২০২০-২১ শে করোনাসহ নানান অসুস্থতায় পরিবারের তিন তিনটে খুব আপন মানুষ অনেক কম বয়সে চলে গেলেন পরপর!

২০২১ এর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর পুরো তিনটে মাস ডাক্তার, হাসপাতাল ছুটোছুটি করে নভেম্বরের শেষে 'মা' আমাদের চলে গেলেন! মা ছাড়া পৃথিবী এত.....!

২০২২ এর ফেব্রুয়ারীতে চলে গেলেন প্রিয় শ্বাশুড়ী মা! এতদিনের বৈবাহিক জীবনে একদম নিজের 'মায়ের' মত করেই আদরে আহ্লাদে, মিষ্টি সম্পর্কে আগলে রাখা মানুষটাও চলে গেলেন টুপ করে! আমার সবকিছু কেমন যেন ওলোট-পালোট হয়ে গেল!

এতকিছুর পরেও পরিবারের সহযোগিতা আর ভালবাসায় একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছি। নিজেকে মানষিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইনশাল্লাহ্‌ পারবো।

ন্যায়-অন্যায়, ভুল-ভ্রান্তি, সুন্দর-অসুন্দর সবকিছু নিয়েই বা সয়েই মাতৃভাষায় প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্মটা (সামহোয়্যার ইন ব্লগ) এখনও আছে। সুস্থ ও সুরুচীপূর্ণ চিন্তার প্রকাশ, মাতৃভাষা এবং নিজের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে বাঙালী মাত্রই এই প্ল্যাটফর্মে বিচরণ করার পূর্ণ অধিকার রাখেন। একইভাবে যে কোন বিষয়ে সুস্থ আলোচনা-সামালোচনা, মানবিক বাক-বিতর্ক, হাস্য-রসিকতা, খুনসুটি ইত্যাদি সবকিছু নিয়ে এখানে পূর্ণ আনন্দে মাতৃভাষা চর্চার অধিকার এবং সুযোগ আমাদের সবারই সমান।

বিনীতভাবে সবার জন্যেই সমানভাবে বলতে চাই, যে কোন ধরণের 'অশ্লীলতা' বা অশোভন আচরণ মানুষকে কেবল ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র করে তোলে এবং ব্যক্তির সাথে সাথে তার নির্দোষ-নিষ্কলুষ মা-বাবা এবং পরিবারের পরিচয়টিও মর্মান্তিকভাবে কলুষিত ও চুড়ান্ত অপদস্ত করে বৈ আর কোন ইতিবাচক কিছু ঘটেনা। এটা যে শুধু আমি বলছি বা এই পোস্টের লেখক বলেছেন তা তো নয়। বিষয়টি সবাই জানেন, সবাই বোঝেন।

মা-বাবা, মাতৃভাষা আর স্বদেশকে অপমান করে কোন মানুষ কখনও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেনা, পারবেনা নিশ্চিত। খুব মর্মান্তিক প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রকৃতির ভুল 'মানুষ'গুলো কিভাবে স্বাভাবিক পরিবার/সন্তান তৈরী করবেন এবং কিভাবে সন্তানদের কাছে একজন সম্মানীয় মা-বাবা বা অভিভাবক হয়ে উঠবেন?? তবে, কিভাবে একটা সভ্য ও সুস্থ্য মনুষ্যসমাজ আমরা পাবো??

কথাগুলো দয়া করে বিবেচনায় রাখুন। আসুন, আমরা সম্মিলিতভাবে সঠিক পথেই হাঁটি, সুস্থ-সুন্দর এবং যোগ্য পরিবার ও সমাজ তৈরীতে অংশ গর্বিত অংশীদার হই।

সবাইকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা এবং শান্তি কামান করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২১
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চোখের জল

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬


সুদীর্ঘ ১৭ বছরের জমে থাকা
বিনম্র চোখের এক কোণে জল!
প্রকাশে এলো এই জনসমুদ্রে-
জনসমুদ্র তুলছে আনন্দাশ্রুর
ঢেউ- দেখছে নতুন ফুলের গন্ধ;
এ নৈঃশব্দের আর্তনাদ বুঝতে
হবে শুধু তোমাকে- আমাকে
গড়ে তুলতে হবে মনুষ্যের প্রণয়ে
সূর্য ভোর- যেখানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯

পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছর বৃষ্টিপাতের কারণ কী?



পৃথিবীর কিছু অঞ্চলে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আফ্রিকার কিছু দেশ এবং দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ ও অঞ্চলে বছরের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×