somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার অনুমান (যারা প্রমাণ ছাড়া কোন কথা গ্রহণ করেন না তারা পোষ্টটি থেকে দূরে থাকুন)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আল্লাহ বলেছেন, তিনি জীন ও মানব জাতিকে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটা ইহকালের জন্য? না পরাকালের জন্য? না চিরকালের জন্য? –সেটা আল্লাহ বলেননি।জান্নাতিরা ইহকালে ইবাদত করছে, সুতরাং তাদেরকে পরকালের চিরকালে ইবাদত করতে হবে না। আর যারা ইহকালে ইবাদত করছে না, তারা পরকালের চিরকালে ইবাদত করবে কি? তারা যদি নিজে থেকেই ইবাদত করা শুরু করে তাহলে আল্লাহ কি করবেন? আল্লাহ বলেছেন, মানুষের জন্য তার উপার্জন ছাড়া কিছু নেই। তো তখন জাহান্নামীরা ইবাদত করলে তাদের কিছু উপার্জন হবে কি? আল্লাহ তো আবার ন্যায় বিচারী। তালে কেউ কাজ করলে এর দাম পাবে না কেন? আমার অনুমান তখন তারা তাদের ইবাদতের দাম পাবে এবং তারা যতটুকু ইবাদত করবে ততটুকু দাম পাবে। তবে এর দ্বারা তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে না।

আর মুমিন যারা জাহান্নামে যাবে তাদের নেকের পাল্লা ভারী হতে যে পরিমাণ নেক আমল প্রয়োজন সে পরিমাণ ইবাদত করে সে পরিমাণ নেক আমল করলে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। জাহান্নামী মুমিনেরা তখন নেক আমলের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পাবে। আর যারা মুমিন নয় তারা বুঝবে ঈমানের গুরুত্ব। শুধুমাত্র ঈমান না থাকায় তাদেরকে চিরকাল জাহান্নামে থাকতে হবে।

জাহান্নামের সাতটা শ্রেণী আছে। সবচেয়ে নিম্নশ্রেণীতে থাকবে মোনাফেক। এরপর পাপের মাত্রা অনুযায়ী উঁচু শ্রেণী বরাদ্ধ হবে।

আল্লাহ ন্যায় বিচারী হেতু ভাগ্যের কারণ আছে। আল্লাহ পরের খবর আগে থেকে জানেন বিধায় পরের কারণে আগে থেকে ভাগ্য বরাদ্ধ ভালো-মন্দ হতে পারে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ভাগ্যের পরিবর্তন নেই। তিনিই আবার বলেছেন, দোয়া ভাগ্য বদলাতে পারে। দু’টি হাদিস সমম্বয় করলে অর্থ দাঁড়ায় সাধারণত ভাগ্যের পরিবর্তন নেই, তবে কোন কারণ বশত আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করলেও করতে পারেন।

ভাগ্যের চিন্তায় কোন কোন লোক ইবাদত ছেড়ে দেয়, তবে তারা রুজি-রোজগার ছেড়ে দেয় না কেন? রিজিকও তো ভাগ্যে লেখা আছে। তাহলে আর রুজি-রোজগার করতে হবে কেন? সুতরাং ভাগ্যের দোহাই দিয়ে যেমন রুজি-রোজগার ছাড়ি না, তেমনি ভাগ্যের অযুহাত দেখিয়ে ইবাদতও ছাড়বনা। আমার কাজ ইবাদত আমি ইবাদত করব। ভাগ্যের কাজ আল্লাহর তিনি তাঁর কাজ করবেন। তবে তাঁর প্রতি আমার এটুকৃ ভরসা আছে যে তিনি বিনা দোষে আমাকে শাস্তি দিবে না। এতটা মন্দ তিনি অন্তত নন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৭
২১টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

পঁচে যাওয়া বাংলাদেশ আর্মি

লিখেছেন রিয়াজ হান্নান, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৫


একটা দেশের আর্মিদের বলা হয় দেশ রক্ষা কবজ,গোটা দেশের অব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে বহিরাগত দুশমনদের আতংকের নাম। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা নিয়ে কয়েকটা জেনারেশন বড় হয়ে উঠলেও সেই জেনারেশনের কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×