আল্লাহ বলেছেন, তিনি জীন ও মানব জাতিকে ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। এটা ইহকালের জন্য? না পরাকালের জন্য? না চিরকালের জন্য? –সেটা আল্লাহ বলেননি।জান্নাতিরা ইহকালে ইবাদত করছে, সুতরাং তাদেরকে পরকালের চিরকালে ইবাদত করতে হবে না। আর যারা ইহকালে ইবাদত করছে না, তারা পরকালের চিরকালে ইবাদত করবে কি? তারা যদি নিজে থেকেই ইবাদত করা শুরু করে তাহলে আল্লাহ কি করবেন? আল্লাহ বলেছেন, মানুষের জন্য তার উপার্জন ছাড়া কিছু নেই। তো তখন জাহান্নামীরা ইবাদত করলে তাদের কিছু উপার্জন হবে কি? আল্লাহ তো আবার ন্যায় বিচারী। তালে কেউ কাজ করলে এর দাম পাবে না কেন? আমার অনুমান তখন তারা তাদের ইবাদতের দাম পাবে এবং তারা যতটুকু ইবাদত করবে ততটুকু দাম পাবে। তবে এর দ্বারা তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে না।
আর মুমিন যারা জাহান্নামে যাবে তাদের নেকের পাল্লা ভারী হতে যে পরিমাণ নেক আমল প্রয়োজন সে পরিমাণ ইবাদত করে সে পরিমাণ নেক আমল করলে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। জাহান্নামী মুমিনেরা তখন নেক আমলের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পাবে। আর যারা মুমিন নয় তারা বুঝবে ঈমানের গুরুত্ব। শুধুমাত্র ঈমান না থাকায় তাদেরকে চিরকাল জাহান্নামে থাকতে হবে।
জাহান্নামের সাতটা শ্রেণী আছে। সবচেয়ে নিম্নশ্রেণীতে থাকবে মোনাফেক। এরপর পাপের মাত্রা অনুযায়ী উঁচু শ্রেণী বরাদ্ধ হবে।
আল্লাহ ন্যায় বিচারী হেতু ভাগ্যের কারণ আছে। আল্লাহ পরের খবর আগে থেকে জানেন বিধায় পরের কারণে আগে থেকে ভাগ্য বরাদ্ধ ভালো-মন্দ হতে পারে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ভাগ্যের পরিবর্তন নেই। তিনিই আবার বলেছেন, দোয়া ভাগ্য বদলাতে পারে। দু’টি হাদিস সমম্বয় করলে অর্থ দাঁড়ায় সাধারণত ভাগ্যের পরিবর্তন নেই, তবে কোন কারণ বশত আল্লাহ ভাগ্য পরিবর্তন করলেও করতে পারেন।
ভাগ্যের চিন্তায় কোন কোন লোক ইবাদত ছেড়ে দেয়, তবে তারা রুজি-রোজগার ছেড়ে দেয় না কেন? রিজিকও তো ভাগ্যে লেখা আছে। তাহলে আর রুজি-রোজগার করতে হবে কেন? সুতরাং ভাগ্যের দোহাই দিয়ে যেমন রুজি-রোজগার ছাড়ি না, তেমনি ভাগ্যের অযুহাত দেখিয়ে ইবাদতও ছাড়বনা। আমার কাজ ইবাদত আমি ইবাদত করব। ভাগ্যের কাজ আল্লাহর তিনি তাঁর কাজ করবেন। তবে তাঁর প্রতি আমার এটুকৃ ভরসা আছে যে তিনি বিনা দোষে আমাকে শাস্তি দিবে না। এতটা মন্দ তিনি অন্তত নন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৭