ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া মিত্র শক্তির বিপরীতে যুদ্ধ করছে। আর মিত্র শক্তি যথেষ্ট শক্তিশালী বলেই রাশিয়ার জয়ের সম্ভাবনা নেই। রাশিয়ার পরমাণূ শক্তি থাকলেও মিত্র শক্তির সেই শক্তি নেই ঘটনা এমন নয়। সুতরাং আমরা ধরে নিজে পারি পরমাণূ যুদ্ধ আপাতত হচ্ছে না। আর পরমাণূ যুদ্ধ হলেও রাশিয়ার জয়ের সম্ভাবনা নেই।কারণ পরমাণূ অস্ত্রে মিত্রশক্তি রাশিয়া থেকে দূর্বল নয়।
ইউক্রেনের গোটা জাতি রিফুজি হলেও তারা রাশিয়ার কাছে মাথা নত করবে বলে মনে হয় না।যেহেতু তারা এক বছর যুদ্ধ চালিয়ে গেছে সেহেতু জয় না নিয়ে তারা ঘরে ফিরবে বলে মনে হয় না।
ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ফেরত পাওয়ার আকাঙ্খা আছে। সেজন্য তারা নেটোতে যোগদানে আগ্রহী হয়েছে। রাশিয়া ক্রিমিয়া ফেরত দিতে মোটেও রাজি নয়; সেজন্য তারা ইউক্রেনের নেটোতে যোগদানের ঘোরতর বিরোধী। ইউক্রেনের নেটোতে যোগদান ঠেঁকাতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করেছে। ট্রাম্প চব্বিশ ঘন্টায় ইউক্রেন যুদ্ধ কিভাবে ঠেঁকাবে? ট্রাম্প বলবে ইউক্রেনকে নেটোতে নেওয়া হবে না আর তাতেই কি রাশিয়া সুবোধ বালকের মত ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যাবে? তারা কি ইউক্রেনের নতুন দখল করা অংশ ছেড়ে যাবে? আর ট্রাম্পের কথায় ইউক্রেন তাদের রাশিয়ার দখল করা অংশ ছেড়ে দিবে কি? ট্রাম্প বিষয়টা যতটা সহজ মনে করেছে বিষয়টাকি ততটাই সহজ? যাক আপাতত ট্রাম্পের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর বাইডেন নেটোর সাথেই আছে এবং নেটো ইউক্রেনের সাথেই আছে। যুদ্ধে ইউক্রেন মিত্রদের যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছে। তাদের রিফুজিরা মিত্রদেশে শান্তিতে আছে। তাদের যোদ্ধারা সঠিকভাবে যুদ্ধ করছে। কিন্তু রাশিয়া সম্পূর্ণ একা। আফগান যুদ্ধ থেকেও রাশিয়াকে পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে ফিরতে হয়েছে। ইউক্রেনিরা কি আফগানদের থেকে দূর্বল? যদি না হয় তাহলে আর রাশিয়া কেমন করে জিতবে?
প্রথমে মনে হচ্ছিল রাশিয়া ছোঁ মারবে আর ইউক্রেন নিয়ে নিবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতিরোধ যুদ্ধ দেখে রাশিয়া হতচকিত হয়ে গেছে। এখন তারা সম্মান জনক যুদ্ধের সমাপ্তি চায়। সেজন্য ক্রেমলিন বলছে বাইডেন ইচ্ছা করলে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে পারে। কিন্তু বাইডেন ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইবে। কারণ বাইডেন এরমধ্যে ইউক্রেনে অনেক বিনিয়োগ করেছে। বাইডেন রাশিয়ার স্বার্থ রক্ষা করতে চাইলে ইউক্রেনে তার বিনিয়োগের কি হবে? সুতরাং সহজ সমাধান রাশিয়াকে হারতে হবে এবং তাদেরকে ইউক্রেন ছেড়ে যেতে হবে। আর এরপর রাশিয়াকে ক্রিমিয়া ফেরেত দিতে হলে এবং ইউক্রেনের ক্ষতি পূরণ দিতে হলে রাশিয়া একটু মুশকিলে পড়বে। তবে কি রাশিয়া ফাটা বাঁশে আটকে গেল? সময়ের সাথে বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে মনে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩০