কোরআনের সাথে বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানীর মতের অমিল দেখলে আমি চিন্তা করি আমার চিন্তার দৈন্যতা কোথায়? যেমন কোরআন বলছে আল্লাহ আছে, কোন কোন বিজ্ঞানী বলছে নাই। আমি তখন বলি বিজ্ঞানী আল্লাহকে খুঁজে পায় নাই বলে বলছে, আল্লাহ নাই। কোন কোন বিজ্ঞান মনস্ক বলছে আল্লাহ অংকে কাঁচা। আমি বলছি ওটাই বিধান। চব্বিশের সাতাশ অংক ফল হলে প্রাপকদের সবার অংশ কিঞ্চিত কম হবে। সুতরাং এমন অংক ফলে আল্লাহকে অংকে কাঁচা বলা কারো বোধগত ত্রুটি ছাড়া কিছুই নয়। কেউ যদি বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে বলে আদম (আ.) নয় বানর থেকে মানুষ হয়েছে। তাকে আমি বলি সেই মানুষ এখন বিলুপ্ত, আদম (আ.) সন্তান মানুষই এখন দুনিয়া জুড়ে বিস্তারিত।আমার এমন বলার কারণ আমি কখনই বলব না যে, কোরআনে ভুল আছে। কারণ আমার বিশ্বাস কোরআন ১০০% সঠিক। কিন্তু নোয়াখাইল্লা ভাষায় যার ঈমান ডেগা কোরআনের ভুল ধরা হলে সে বিব্রত হয়। কচু পাতার পানির মত তার টলটলায়মান ঈমান তখন পড়ে যেতে চায়। সেজন্য এমন মুমিন ব্লগ থেকে দূরে থাকে। এমন বহু মুমিনকে ব্লগে যুক্ত করতে চেষ্টা করে আমি সফল হতে পারিনি।
কেউ যদি বলে আদমের (আ.) নব্বই ফুট হওয়া অসম্ভব। আমি বলি এ ক্ষেত্রে হাদিস ভুল হলে বুঝতে হবে হাদিসটি নবির (সা.) নয়। কারণ নবির (সা.) নামে অনেক মিথ্যা হাদিস বানানো হয়েছে। কেউ যদি বলে, কোরআন নবির (সা.) লিখিত। আমি তাকে বলি ঠিক আছে তুমি সেরকম অন্য কিতাব আন তাহলে আমি দেখব সে কিতাব মানা যায় কিনা। তারা বলে এক কিতাব অন্য কিতাবের মত হয় না। আমি বলি তা’ লাগবে না সে কিতাব কোরআন থেকে উন্নত হলেই চলবে। তুমি বা কেউ সে কিতাব তেলাওয়াত করে শুনাবে তার তেলাওয়াত কোরআন তেলাওয়াত থেকে উন্নত হলেই আমার চলবে। তারা যদি বলে তোমার বিবেচনাটাই যদি ভুল হয় তখন কি হবে? আমি বলিএ ক্ষেত্রে আমার কিছুই করার নেই, কারণ মানুষ মাত্রই ভুল আছে।
কিছু লোক অযথা তর্ক করে মানুষের কাজের সময় নষ্ট করে। খ্রিস্টানরা মহানবির (সা.) সাথে তর্ক জুড়ে দিলে মহানবি (সা.) বললেন, তর্ক বাদ দাও, চলো মোবাহালা করি। তারমানে আমার পরিবার আমি নিয়ে আসি তোমাদের পরিবার তোমরা নিয়ে আস এরপর পরস্পর অভিশাপের দোয়া করি দেখি কারটা ফলে। একজনের সাথে আমি ঝগড়া থামাতে পারছিলাম না। পরে আমি বললাম, তুমি অপরাধী হলে আল্লাহ তোমার বিচার করলে আমি দশ ফান্ডে একশত টাকা দেব। আল্লাহ তার বিচার করেছে। আমি দশফান্ডে একশত টাকা দিয়ে দিয়েছি।
নাস্তিকের সাথে তর্ক থামাতে ঈমাম শাফেঈ (র.) বললেন, তুমি ঠিক থাকলে আমার আফসুস নাই। কারণ মাটির সাথে মিশেগেলে অযথা ইবাদতের জন্য আমাকে আফসুস করতে হবে না। কিন্তু আমি সঠিক হলে তোমার খবর আছে।
মুমিন-অমুমিন তর্ক একটি চলমান প্রক্রিয়া। অমুমিনরা গেয়ানে টইটুম্বুর থাকে। তারা মুমিনদেরকে ছাগু বলে। যা শুনতে অনেক মুমিনের ভালো লাগে না বলে তারা ব্লগ থেকে দূরে থাকে। আমি গেয়ানী অমুমিনদের কথা গায়ে মাখি না। যার সাথে তর্ক করা বৃথা মনে করি তার সাথে তর্ক এড়িয়ে চলি এবং ব্লগের অন্য বিষয় উপভোগ করি। আর সেজন্যই আমি এখনো ব্লগে আছি। মাঝে মাঝে ভাবি ব্লগে আসার চেয়ে না আসাটাই ভালো। তথাপি নেশা ছাড়তে পারি না বলে ব্লগে আসি এবং ঈমান বাঁচিয়ে চলার চেষ্টা করি। আল্লাহই হেফাজত কারী। কারণ ঈমান খোয়া গেলে যে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। আর এভাবেই অনেক মুমিন ঈমানের ঝুঁকি নিয়ে ব্লগে আসেন। আল্লাহ তাঁদের ঈমানের হেফাজত করুন- আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৭