রানু আমাদেরকে ইবাদত বিমুখ করার চেষ্টা করছে। আর যখন পৃথিবীতে ইবাদতকারী থাকবে না তখনই কেয়ামত হবে। রানু হয়ত বলবে ওসব কেয়ামতে আমার বিশ্বাস নেই। তা’ রানুর সে বিশ্বাস না থাক আমাদে তো আছে। সেজন্য রানুর কার্যকলাপে আমরা আতংকিত।
মানুষের বিনোদনের উপকরণ যে হারে বাড়ছে তাতে কাজের অবসরে বিনোদনে ব্যস্ত থাকার পর মানুষ আর ইবাদতের সময় পাবে না। আর এভাবেই একদিন পৃথিবী ইবাদত শূন্য হয়ে পড়বে। যদিও এমন সুখের সময় রানু বেঁচে থাকবে না। কারণ এখনো যা ইবাদতকারী রয়েছে তাতে পৃথিবী ইবাদত শূন্য হতে বেশ সময় লাগার কথা। কিন্তু এ বিষয়ে রানুর চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই। ইবাদত শূণ্য পৃথিবী রানুর ধ্যান, রানুর জ্ঞান। রানুর স্বপ্ন পূরণের সময় রানু থাকবে না, এটাই আমার বড় আফসুস।
অতঃপর রানুর মত যাদের কেয়ামতে বিশ্বাস নেই তারা একদিন দেখবে কেয়ামত। তখন তারা বুঝবে তারা যা বিশ্বাস করেনি সেটাই হচ্ছে। মাঝি বলছে ভাই আমার নৌকায় উঠবেন না নৌকা ডুবে যাবে। কে শুনে কার কথা? আরোহী জোর করে নৌকায় উঠার পর যখন নৌকা ডুবে গেল তখন মাঝি সাঁতরাতে সাঁতরাতে বলল, কি ভাই বলছিলাম না নৌকা ডুবে যাবে? আরোহী বলল, এবার বুঝেছি। রানু যখন মুমিনের কথা সত্য বুঝবে তখন রানু সাতরিয়েও কুলের নাগাল পাবে না। অবশ্য রানু ওসব বিশ্বাস না করায় তার মনে এখন অনেক শান্তি। সোগা বলছে মুমিনের কথা সব হলো রূপ কথা। রানু তাতে বেজায় খুশী। জানি না এ পোষ্টের পর রানু ভক্ত কুল আমার কি হাল করে?
জনাব মাল যাই বলুন না কেন, মুমিন কিন্তু আমি একা না। ব্লগেও অনেক মুমিন আছে। যারা রানু ও সোগাকে অনেক ডিস্টার্ব করে। আমি তাদেরকে বলি থামুন। কেয়ামত আসতে দিন। তারপর হাসরে সবাই আবার একত্রে মিলিত হতে পারবে। সে দিন যখন মুমিনদের সুখের দিন তবে আর এর বিলম্বের কি প্রয়োজন? যে যার বিশ্বাস ও অবিশ্বাস নিয়ে সুখে থাকুক।
রানুকে বলব, জনাব অস্থির হবেন না। আপনি যা চাচ্ছেন তা’ একদা হবে। যদিও তখন আপনি নিজে থাকবেন না। আপনি দেখার মত তাড়াহুড়া করেও মূলত কোন লাভ নেই। কারণ পৃথিবী মুমিন মুক্ত হতে সময় লাগবে। মুক্তমনা ব্লগে গিয়ে একদা বুঝলাম, ওটা আসলে ঈমানমুক্ত মনা। ওখানে গিয়ে দেখি আল্লাহ ও তাঁর নবির (সা.) বদনামের শেষ নেই। আমি বললাম, ওরে মন্দের রাসূল (সা.) তো মন্দই হবে এ আর এমন বলার কি হলো? আর তাঁদের আনুগত্যকারীরাও তো মন্দই হবে। সবই তো ঠিক আছে। তোমরা তবে তাতে বেঠিক কি দেখলা। তোমাদের প্রমাণ করার বিষয় আল্লাহ বলতে কেউ নেই এটা প্রমাণ করা। আল্লাহ যদি থেকেই থাকে তাহলে তাঁর ভালো খারাপ দিয়ে আমরা কি করব? আল্লাহর ভয় কারো মনে এসেগেলে তো তাকে তাঁর ইবাদত ছাড়া করা যাবে না।
ভাব রানু ভাব। তোমাকে প্রমাণ করতে হবে আল্লাহ বলতে কেউ নেই। এটা প্রমাণ করতে না পেরে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও মুমিনের বদনাম করে মূলত কোন লাভ নেই। মোহাম্মদ (সা.) এক দল মুমিন রেখে গেছেন প্রায় দেড় হাজার বছর হয়ে গেলো এখনো তাদের বিলুপ্ত হওয়ার নাম গন্ধ নেই। ওদিকে রানুরা খেটেই মরে খেটেই মরে। ওরে মুমিনের দল। কোন যুক্তি, গাল-মন্দ কোন কিছুতেই কাজ হয় না। ওরা তাদের ইবাদত করছেই করছে। এরপর একদিন পৃথিবী মুমিন মুক্ত হবে এবং কেয়ামত হয়ে যাবে। অমুমিনরা যে মুমিন মুক্ত পৃথিবী উদযাপন করবে সেই সময়টাও তারা পাবে না। এখনকার মুমিন-অমুমিন কেউই তখন থাকবে না। কারণ মানুষের জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮