
পৃথিবীতে চার হাজারের বেশী ধর্ম ও মত রয়েছে। ব্লগ পৃথিবীর জন্য। সব ধর্ম ও মতের মানুষ ব্লগে মিলে মিশে থাকতে হলে এখানে পরমত সহিষ্ণুতা জরুরী। এখানে পর ধর্ম ও মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা থাকলে যে এর শিকার হবে সে ব্লগ ছাড়বে। আর তাতে ব্লগের জমজমাট অবস্থা ক্ষুন্ন হবে।
সামহোয়্যার ইন ব্লগ হলো বাংলাভাষার ব্লগ। এভাষার লোক সংখ্যা পঁচিশ কোটি। এর মধ্যে মোমিন সংখ্যা গরিষ্ঠ। এ মোমিনদের প্রতি ব্লগে সবচেয়ে বেশী অসহিষ্ণু আচরণ করা হয়। সেজন্য মোমিনরা হয়ত ব্লগে আসে না, আর তারা আসলেও টিকতে না পেরে ব্লগ ছেড়ে যায়। আর যারা মুমিন নয় তাদেরকেও যদি মুমিনরা খোঁচাখুঁচি করে তবে তারাও ব্লগ ছেড়ে যায়। এভাবে ছাড়তে ছাড়তে ব্লগ ফাঁকা হয়ে যায়। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো পরমত সহিষ্ণুতা।
আমি একজন মোমিন। আমার ভাতিজা রানু মোমিন নয়। রানু লোকদেরকে মোমিন না হওয়ার জন্য নচিহত করে। আর এ ক্ষেত্রে সে তার গরজটা একটু বেশী দেখায়। এটা আমার নিকট বিরক্তি কর। চারাগাছ বলেছে, ব্লগে মোমিনের প্রচারনায় কেউ অমোমিন থেকে মোমিন হবে না, আর অমোমিনের প্রচারনায় কেউ মোমিন থেকেও অমোমিন হবে না। তথাপি যদি হয়, তার জন্য আক্রমনাত্মক কথা বলা জরুরী নয়। কিন্তু রানুর কথা শুধুমাত্র আক্রমনাত্মক নয় আগ্রাসিও হয়ে থাকে। আর সোগা মুমিনদেরকে বিব্রত করতে চেষ্টা করে। এসব করে কি হয়? এতে কি মোমিনরা ঈমান ছাড়ে?
আমি হুর নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছি। আমি হুরের প্রতি ঈমান আনতে কোন লোককে বলিনি। জাস্ট আমি হুরের একটা বিষয় মোমিনদেরকে জানাতে চেয়েছি। কিন্তু যারা মোমিন নয় তারা এ বিষয়ে আমাকে নানাভাবে বিব্রত করার চেষ্টা করেছে। বিষয়টা রীতিমত বিরক্তি কর। যে হুর মোটে বিশ্বাসই করে না তার হুর কি কাজে লাগবে সেটা নিয়ে তার কি কাজ?
আমি মোমিন। আমি জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করছি। ভাতিজা রানু মোমিন নয় সে জাহান্নামে যেতে চায়। সেতো জাহান্নাম বিশ্বাসই করে না তার জাহান্নামে যেতে চাওয়ার হেতু কি? তার জাহান্নামে যেতে চাওয়ার মানে হলো চাচার সাথে ফান করা। ভাতিজার অবস্থাটা দেখুন, সে চাচার সাথে ফান করে। এ ভাতিজা নিয়া আমি আর পারি না। আরেকটা ভাতিজা জোগাড় হয়েছে অগ্নি নামে ওটার কথার কোন শ্রী নাই। এই করে ভাতিজারা কি মনে করে আমি ঈমান ছেড়ে দেব? তা’ কষ্মিন কালেও নয়- ইনশাআল্লাহ!
রানুর স্ত্রী নামাজ পড়ে। তার দেখাদেখি রানুর বাচ্চা নামাজ পড়ে। রানু নামাজ পড়ে না। রানু এসব আমাদেরকে শোনায়। তো রানু নামাজ পড়ে না, সেটা দেখেও যদি রানুর স্ত্রী ও বাচ্চা নামাজ পড়ে থাকে তাহলে রানুর নামাজ ছাড়ায় অন্যরা কেন নামাজ ছাড়বে? রানু যে এসব কথা কেন বলে সেটা আমি বুঝতে পারি না। সেজন্য এখন আমি রানুর পোষ্ট পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। পরিশেষে ভাতিজা রানুকে বলব, কোন কথা কেন বলছি সেটা বুঝে কথা বলতে হবে। আর ব্লগে সবাইকে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন ব্লগের প্রতি আসক্তি বাড়ে এবং বিরক্তি কমে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




