
রুহ বানিয়ে আল্লাহ জিজ্ঞাস করলেন, আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তারা বলল, হ্যাঁ। সুতরাং আল্লাহ রুহ দেরকে তাঁর বিভিন্ন সৃষ্টিতে রুপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তিনি কি সৃষ্টি করতে চান সেটা দেখালেন। তাদের মধ্যে যে যেই ক্যাটাগরির সৃষ্টি হওয়া পছন্দ করলো আল্লাহ তাকে সেই ক্যাটাগরির সৃষ্টি বানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। এর মধ্যে সেরা ক্যাটাগরি হলো- ১। মানুষ ২। জ্বীন ৩। ফেরেশতা ৪। হুর ৫। গেলমান।
মানুষের মধ্যে একদল রুহ পরে ভাবলো, তাঁকে তো প্রভু মানলাম, কিন্তু তিনি যে প্রভু তার প্রমাণ কি? এসকল রুহকে আল্লাহ বিজ্ঞানী বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। এরমধ্যে যারা মনে করলো তাঁর প্রভু হওয়ার কোন প্রমাণ নেই তাদেরকে আল্লাহ নাস্তিক বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। যারা মনে করলো তাঁর প্রভু হওয়ার প্রমাণ আছে, আল্লাহ তাদেরকে আস্তিক বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। এদের যারা যে দলের ভক্ত হবে বলে আল্লাহ জানলেন তিনি তাদেরকে সেই দলের অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিলেন। যারা প্রমাণ ছাড়া তাঁর প্রভুত্বের প্রতি আস্তা স্থাপন করলো তাদেরকেও আল্লাহ আস্তিক বানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। আস্তিকদের মধ্যে একদল মনে করলো প্রভু হিসাবে তাঁর ইবাদতের দরকার আছে এবং অন্য দল মনে করলো প্রভু হলেও তাঁর ইবাদতের দরকার নেই। যারা প্রভু হিসাবে তাঁর ইবাদতের দরকার আছে মনে করলো তিনি তাদেরকে ধার্মিক বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এবং প্রভু হিসাবে যারা তাঁর ইবাদতের দরকার নেই মনে করলো আল্লাহ তাদেরকে ধর্মহীন বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। ধার্মিকদের মধ্যে যারা তিনি ছাড়া আরো প্রভু থাকতে পারে মনে করলো তাদেরকে তিনি মুশরিক বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। আর যারা তাঁকে একমাত্র প্রভু বলে বিশ্বাস করলো তাদেরকে তিনি মোমিন বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। যাদের মনে তাঁর প্রভুত্বের বিশ্বাস ছিল না, কিন্তু তারা মুমিন পরিচয়ে থাকতে চাইলো তাদেরকে আল্লাহ মোনাফেক বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।যাদের মনে তাঁর প্রভুত্বের বিষয়ে সংসয় তৈরী হলো আল্লাহ তাদেরকে সংসয়বাদী বানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন।
কে কোথায় কোন কালে কোন পরিবারে জন্ম নেয়ার ইচ্ছা করে তা’ জেনে আল্লাহ সেভাবে তার তাকদীর লেখার সিদ্ধান্ত করলেন। সৃষ্টির বিষয়ে করা আল্লাহর সিদ্ধান্ত সমূহ আল্লাহ একটা সুরক্ষিত কিতাবে লিখলেন। তাতে তিনি যার জন্য যা লিখলেন সেটাই তার ভাগ্য হিসাবে নির্ধারিত হয়েছে।
# পোষ্টটি আনুমানিক এবং অনুমানের উৎস-
"তুমি কি জান না যে, আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, আল্লাহ তা জানেন? নিশ্চয় তা একটি কিতাবে রয়েছে। অবশ্যই এটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ।"
— সূরা ২২ আল-হাজ, আয়াত ৭০ [২]
"...এ কিতাবে আমি কোনো কিছুই বাদ দেইনি..."
— সূরা ৬ আন‘আম আয়াত ৩৮ [৩]
"..আল্লাহই তোমাদেরকে এবং তোমরা যা কর তা সৃষ্টি করেছেন?"
— সূরা ৩৭ আস-সাফফাত আয়াত ৯৬ [৬]
"আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন।"
— সূরা ৮১ আত-তাকওয়ীর, আয়াত ২৯ [৫]
"আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে সৎপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে সর্বজ্ঞ।"
— সূরা ৬৪ আত-তাগাবুন, আয়াত ১১ [৮]
আমি প্রতিটি বস্তুকে পরিমিতরূপে সৃষ্টি করেছি (সূরা কামার: ৪৯)।
আপনি আপনার মহান পালনকর্তার নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন, যিনি সৃষ্টি করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। এবং যিনি সুপরিমিত করেছেন ও পথ প্রদর্শন করেছেন (সূরা আলা: ১-৩)।
পরম কল্যাণময় তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হয়। তিনি হলেন সে সত্তা যার রয়েছে নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব। তিনি কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। রাজত্বে তার কোনো অংশীদার নেই। তিনি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে শোধিত করেছেন পরিমিতভাবে (সূরা ফুরকান: ১-২)।
নিশ্চয় তা কিতাবে, আর তা আল্লাহর জন্য অতি সহজ (সূরা আল হজ: ৭০)।
আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতিরেকে তোমরা অন্য কোনো অভিপ্রায় পোষণ করবে না। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তিনি যাকে ইচ্ছা তার রহমতে দাখিল করেন (সূরা দাহর: ৩০-৩১)।
আমি তাকে দুটি পথ প্রদর্শন করেছি (সূরা বালাদ: ১০)।
যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করল সে সফল হলো। আর যে নিজেকে কলুষিত করল সে ব্যর্থ হলো (সূরা শামস: ৯-১০)।
যারা দুষ্কর্ম করেছে তারা কি মনে করে যে, জীবন ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে আমি তাদেরকে এ সব লোকের সমান গণ্য করব, যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে? তাদের বিচার কতইনা মন্দ! (সূরা আল-জাছিয়া২৯)।
আল্লাহ্র নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ্ সববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত (সূরা তাগাবুন, আয়াত : ১১)।
যমীনে এবং তোমাদের নিজদের মধ্যে এমন কোন মুসীবত আপতিত হয় না, যা আমি সংঘটিত করার পূর্বে কিতাবে লিপিবদ্ধ রাখি না। (সূরা হাদীদ: ২২)।
আমি তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি। এখন সে হয়তো কৃতজ্ঞ হবে নয়তো হবে অকৃতজ্ঞ (সূরা আল ইনসান: ৩)।
‘আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছা করেন এবং (যা ইচ্ছা) মনোনীত করেন।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ৬৮)
আল্লাহ সব কিছুর স্রষ্টা এবং তিনি সব কিছুর তত্ত্বাবধায়ক।’ (সুরা : জুমার, আয়াত : ৬২)
তিনি (আল্লাহ) সব কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে যথোচিত আকৃতি দান করেছেন।’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ২)
‘আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে, তা-ই তার জন্য এবং সে যা কামাই করে তা তারই ওপর বর্তাবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৮৬)
" আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বৎসর পূর্বে আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টজীবের তাকদীরসমূহ লিখে রেখেছেন।"
— সহীহ মুসলিম[৪]
ঈমান হলো, আল্লাহ তাআলা, সমস্ত ফেরেশতা, আসমানী কিতাবসমূহ, সকল নবী-রাসূল, কিয়ামত দিবস এবং তাকদীরের ভালো-মন্দের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। জিবরীল আ. বললেন, আপনি সত্য বলেছেন।
এ হাদীসের শেষ দিকে আছে তোমরা কি জানো প্রশ্নকারী লোকটি কে? সাহাবীগণ বললেন, না, আমরা জানি না, হে আল্লাহর রাসূল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তিনি হলেন জিবরীল। তিনি তোমাদেরকে দীন শেখাতে এসেছিলেন (মুসলিম)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, তোমাদের প্রত্যেকের ঠিকানা জান্নাতে অথবা জাহান্নামে লিখা হয়ে গেছে। তখন তাঁকে বলা হলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে কি আমরা আমল বর্জন করব না এবং আমাদের কিতাবের উপর ভরসা করব না?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তরে বললেন না, আমল করতে থাকো। আর প্রত্যেকের জন্য ঐ আমল করা সহজ হবে যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে (বুখারী ও মুসলিম)।
ন্য এক হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! মানুষ যে আমল করে এবং কষ্ট স্বীকার করে সে ব্যাপারে আপনার কী অভিমত? এ ব্যাপারে কি কলম শুকিয়ে গেছে এবং আমলনামা গুটিয়ে ফেলা হয়েছে? নাকি তারা যা করছে নতুনভাবে করছে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাবে বললেন, এ ব্যাপারে কলম শুকিয়ে গেছে এবং আমলনামা গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে আমল করে লাভ কি?
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমল করতে থাকো। আর প্রত্যেকের জন্য ঐ আমল করা সহজ হবে যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে (বুখারী)।
"...যদি সমগ্র উম্মত তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার (তাকদীরে) লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার (তাকদীরে) লিখে রেখেছেন। কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং খাতাসমূহ (তাকদীরের লিপি) শুকিয়ে গেছে।"
— তিরমিযী ২৫১৬ (হাসান সহীহ)[২]
আবূ হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: আল্লাহ তাআলার কাছে শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিনের চেয়ে অধিক উত্তম ও প্রিয়। তবে উভয় প্রকার মুমিনের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে। তোমার জন্য যা উপকারী-কল্যাণকর তার প্রতিই আগ্রহী হও, আর আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। অপারগ হয়ো না। যদি তোমার উপর কোনো মুসীবত আসে তাহলে একথা বলো না যে, যদি আমি এমনটি করতাম তাহলে এরূপ হতো না। বরং বলো, এটা আমার তাকদীরের লিখন। আল্লাহ তাআলা যেমন চেয়েছেন তেমন করেছেন। কেননা যদি শব্দটি শয়তানকে কাজ করার পথ খুলে দেয় (মুসলিম)।
আলী রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো এক জানাযায় উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে দাগ কেটে বললেন, তোমাদের প্রত্যেকের ঠিকানাই জান্নাতে এবং জাহান্নামে লিখা হয়ে গেছে।
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তবে কি আমরা আমাদের তকদীর তথা ভাগ্যের লিখনের উপর ভরসা করে বসে থাকব এবং আমল করা ছেড়ে দিব?
জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা আমল করতে থাকো। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য ঐ আমল করা সহজ হবে যার জন্য তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সুতরাং যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করার সৌভাগ্য লাভ করবে তার জন্য নেক-আমল করা সহজ করে দেওয়া হবে। আর যে হতভাগা জাহান্নামে প্রবেশ করবে তার জন্য বদ-আমল সহজ করে দেওয়া হবে। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন, (অর্থ) অতএব যে দান করে এবং খোদাভীরু হয় এবং উত্তম বিষয়কে সত্য বলে গ্রহণ করে, আমি তার জন্য সুগম করে দেই সহজ পথ। (সূরা লাইল: ৫-৬) {বুখারী, মুসলিম}।
ইবনে উমার রাযি. অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, কোনো ব্যক্তি যদি ওহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণের মালিক হয় এবং সে তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তা কবুল করবেন না যতক্ষণ না সে তাকদীরের উপর ঈমান আনবে (মুসলিম)।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জিনিসই তাকদির অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। এমনকি অক্ষমতা ও বুদ্ধিমত্তাও।’ (মুসলিম, রিয়াদুস সলিহিন. পৃষ্ঠা ২৮২)
হজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, দোয়া আল্লাহর ফয়সালাকে পরিবর্তন করাতে পারে। আর নেক আমল বয়সকে বৃদ্ধি করাতে পারে।’ (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ২১৩৯)
আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকুল সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে সৃষ্টিকুলের তাকদির লিখে রেখেছেন।’ (মুসলিম) তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা প্রথমে কলম সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর কলমকে বললেন—লেখো। কলম বলল, হে রব! কী লিখব? তিনি বলেন, কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক জিনিসের তাকদির লেখো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭০০)
রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, যদি কেউ আমার নির্ধারিত তাকদিরের ওপর সন্তুষ্ট না থাকে এবং বিপদাপদে ধৈর্যধারণ না করে, তাহলে সে যেন আমি ছাড়া অন্য কাউকে রব বানিয়ে নিল। (বায়হাকি)
হজরত ইয়াহইয়া ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবি মুলাইকা তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হজরত আয়েশা (রা.)-এর দরবারে যান। তিনি তাঁকে তাকদির প্রসঙ্গে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তাকদিরের বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা করবে না, তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৪)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) আমাদের কাছে এলেন, আমরা তখন তাকদির প্রসঙ্গে আলোচনা করছিলাম। তখন রাসুল (সা.) প্রচণ্ড রেগে গেলেন। রাগে তাঁর চেহারা আনারের মতো রক্তিম বর্ণ হয়ে গেল। তিনি বলেন, তোমরা কি এসব করতে আদিষ্ট হয়েছ? নাকি আমি এসবের জন্য প্রেরিত হয়েছি? এর আগের লোকজন এ বিষয়ে আলোচনা করে ধ্বংস হয়েছে, আমি তোমাদের দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি, তোমরা এ বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৩৩)
জনৈক সাহাবি আরজ করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা যে ঝাড়ফুঁক করে থাকি, চিকিৎসায় ওষুধ ব্যবহার করে থাকি কিংবা আত্মরক্ষার জন্য যেসব উপায় অবলম্বন করে থাকি, তা কি তাকদিরের কোনো কিছুকে পরিবর্তন করতে পারে? প্রত্যুত্তরে রাসুল (সা.) বলেন, তোমাদের এসব চেষ্টাও তাকদিরের অন্তর্ভুক্ত। (বায়হাকি)
* আরো কিছু বিষয় আমি জানি তবে উৎস খুঁজে না পাওয়ায় উপস্থাপন করতে পারিনি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




