
বিরোধী দল যে পদ্ধতির ভোট চায় জনগণ সে পদ্ধতির ভোট চায় এটা প্রমাণের জন্য এর পক্ষে সম্মিলিত বিরোধী দল গণস্বাক্ষর কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে পারে। তাতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচীর পক্ষে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের স্বাক্ষর পাওয়া গেলে বুঝা যাবে সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটার আর সারকারের সাথে নেই।
নির্বাচন কমিশন ভোট করে একদিনে। বিরোধীদল না হয় মাস ব্যাপি তাদের কর্মসূচী চালিয়ে গেল। সরকার গণবিচ্ছিন্ন হলে জনগণতো বিরোধী দলের হয়ে গেলো। তো জনগণ কর্মসূচীর ফরম নিয়ে জনগণের ঘরে ঘরে যাবে এবং জনগণ তাতে খুশীমনে স্বাক্ষর দিয়ে দিবে। বেশ তো মিটে গেল।
যদি সরকারী দল উক্ত কর্মসূচীতে বাধা দেয় তবে গোপনে কাজ সারতে হবে। সরকারের পক্ষে তো আর সকল ভোটারকে চব্বিশঘন্টা পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। এ কর্মসূচী বাস্তবায়িত হলে জনগণ জানবে জনগণ আসলে কোন দিকে যাবে।
এখন সরকার ও বিরোধী দলের পক্ষে গণসমাবেশ হচ্ছে। উভয় সমাবেশ সরগরম। তাহলে জনগণ কোন দিকে আছে কেমন করে বুঝা গেল? সুতরাং এতে জনমত যাচাই হয় না।
গণস্বাক্ষর হয়ে গেলে গণস্বাক্ষর নিয়ে বিরোধী দল কোর্টে যাবে। কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিয়ে দিলে সরকার সে রায় মত কাজ করতে বাধ্য থাকবে। সরকার তো বলছে তারা কোর্ট মানে। তবে আর বিরোধী দলের সমস্যা কি? আর গণস্বাক্ষর বিরোধী দলের পক্ষে প্রমাণিত হলে বিরোধীদলের পক্ষে জনগণ এমনিতেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। আর তখন কোনভাবেই আর সরকারের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। কারণ বিশাল জনগোষ্ঠিকে পুলিশ দিয়ে ঘরে তোলা সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না। আর তখন বাধ্য হয়ে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে পালাতে হবে।
বাস্তব ঘটনা হলো সরকার নয়, বরং বিরোধীদল গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সরকারের বিপক্ষে বিরোধী দল গণবিচ্ছিন্নতার মিথ্যা কথা বলছে। আর মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢাকা যায় না বলে বিরোধী দল চেঁচিয়ে গলা ভাঙলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টা তাদের শব্দ দোষণে জনগণ তাদের উপর মহাবিরক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




