
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ কোরআন হাদিস বুঝে নাস্তিক হয়েছেন। তিনি মসজিদের ইমাম ছিলেন এবং মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ছিলেন। কিন্তু যিনি কোরআন প্রচার করেছেন সেই মোহাম্মদ (সা.) নাস্তিক হননি। মোহাম্মদ (সা.) থেকে যাঁরা কোরআন ও হাদিস বুঝেছেন সেই সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নাস্তিক হননি। তাঁদের থেকে যাঁরা কোরআন ও হাদিস বুঝেছেন সেই তাবেঈনে কেরাম (র.) নাস্তিক হননি। তাঁদের থেকে যাঁরা কোরআন হাদিস বুঝেছেন সেই তাবে তাবেঈনে কেরাম (র.) নাস্তিক হননি। কোরআন পাঠ করে যদি কেউ নাস্তিকই হবে আল্লাহর সেই কোরআন নাযিলের কি দরকার ছিল? সে যাই হোক কোরআন হাদিস বুঝে হোক, অথবা অন্য যেকোনভাবে হোক পৃথিবী মুমিন শূন্য হলে কেয়ামত হবে সেটাও কোরআন ও হাদিসেই বলা আছে। সুতরাং কেয়ামত হওয়ার জন্য নাস্তিকদের মত করে কোরআন ও হাদিস বুঝার দরকার আছে।
হাফেজ মাওলানা মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আগে লোকদেরকে মুমিন বানানোর চেষ্টা করেছেন। এখন তিনি লোকদেরকে নাস্তিক বানানোর চেষ্টা করছেন। আমার ভাতিজা রানুও লোকদেরকে ধর্মহীন বানানোর চেষ্টা করছে। তারমানে রানু মোমিন কমানোর কাজে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। শ্রদ্ধেয় কামাল স্যারও মোমিন কমানোর বিষয়ে যথেষ্ট আগ্রহী। ভাতিজা অগ্নিবেশও চায় মুমিন মুক্ত শান্তিময় পৃথিবী। তাদের ধারণা পৃথিবীর অশান্তির অন্যতম প্রধান কারণ হলো মুমিন। তথাপি মোমিন না কমে বাড়ছে। আর এক সময় পৃথিবীর সবাই মোনিন হবে সেটাও কোরআন ও হাদিসে লেখা আছে। তারপর ক্রমে পৃথিবী মোমিন শূন্য হয়ে কেয়ামত হবে।
আল্লাহর সকল গুণাবলির প্রতি আমার ১০০% ঈমান আছে। কোরআনের প্রতি আমার ১০০% ঈমান আছে।আমি শুধু কোরআনের সাথে গরমিল হাদিসকে বানোয়াট মনে করি। সার কথা হলো মোমিনের মত কোরআন ও হাদিস বুঝলে লোকেরা মোমিন হবে। আর নাস্তিক ও ধর্মহীনের মত কোরআন হাদিস বুঝলে লোকেরা আর মোমিন থাকবে না। কে মোমিন, নাস্তিক, ধর্মহীন হবে সেটা তার বিষয়। আমি চাই সবাই নিজ নিজ মত নিয়ে মিলেমিশে জীবন যাপন করুক। কোন দল কোন দলকে বিরক্ত না করুক। তবে কোন লোক কিছুক্ষণ মোমিনের মত কথা বলে, কিছুক্ষণ ধর্মহীনের মত কথা বলে, কিছুক্ষণ নাস্তিকের মত কথা বললে তাকে আমার দারুণ অপছন্দ।
জাফর ইকবাল স্যার যদি মনে করেন তিনি আদমের (আ.) বংশধর নন, তাতে আমার আপত্তি থাকার কি কারণ থাকতে পারে? আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি আদমের (আ.) বংশধর। এরপর এ বিষয়ে আমাকে যে যা খুশী বলুক সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। মৃত্যুর পরে আমি শান্তিতে থাকতে চাই। কেউ যদি বলে মৃত্যূর পরে শান্তিতে থাকার বিষয় সে বিশ্বাস করে না, তবে তার বিশ্বাস নিয়ে সে থাকুক। আমার স্পষ্ট কথা হলো তার বিশ্বাস এবং আমার বিশ্বাস এক রকম নয়। তথাপি আমি সুপ্রতিবেশী হয়ে তার সাথে এক সাথে বসবাস করতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




