
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী
ভিডিওটির শাইখ সিরাজের উপস্থাপনা
নতুন রাষ্ট্রপতি
প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁর দোষ দেখতে হবে গুণ দেখতে হবে না, এটা কোন কথার মধ্যে পড়ে না। তিনিও মানুষ, তিনিও ভুল করতে পারেন। তথাপি তাঁর গুণে যদি আমাদের জন্য শিক্ষা থাকে তবে তা’ থেকে শিক্ষা গ্রহণে সমস্যা কি?
কিছু লোক আছে যারা এর ঐ দোষ, ওর ঐ দোষ ইত্যাদি বলে বেড়ায়। কার কি গুণ আছে তা’ তারা মোটেও বলে না। ওমুক প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য নয় তারা বলে, কিন্তু কে প্রধানমন্ত্রী পদের যোগ্য তারা তা’ বলে না। ওটা রূপ কথা তারা বলে, কোনটা সত্য কথা তারা তা’ বলে না। ওটা রূপ কথা ওটার প্রমাণ নাই, তারা বলে। কোনটা সত্য কথা, তার কি প্রমাণ আছে তারা তা’ বলে না।
তিনি যে দলের প্রধান সেটা কোন ধর্মীয় দল নয়। তথাপি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট খেয়াল আছে। রানু ও সোগার হাতে ক্ষমতা থাকলে এত দিনে মাদ্রাসা ও মসজিদের যে কি হাল হতো তা’ আল্লাহ জানেন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনি মাদ্রাসা শিক্ষিতদেরকে কৃষি প্রশিক্ষণ দিন। ইসলামী ব্যাংক সমূহ থেকে তাদের জন্য কৃষি ঋণ দিন। দেখুন এরাও কৃষি উন্নয়নে কতটা অবদান রাখতে পারে।
মাদ্রাসা শিক্ষা লাগবে। নতুবা মসজিদে ইমামতি করবে কে? অনার্স লেবেলে মাদ্রাসা শিক্ষা হলে ইমাম তৈরী হবে না। কারণ এতদিন যারা সাট-পেন্ট পরেছে তারা অনার্স লেবেলে মাদ্রাসা শিক্ষা ধরলেও সাট-পেন্ট ছাড়তে পারবে না। তাচেয়ে ভালো যারা ইমাম হবে তারা প্রথম থেকে মাদ্রায় পড়ুক। এরপর কৃষি প্রশিক্ষণের কারণে ইমামতির অবসরে তারা হাঁস মুরগী গবাদী পশু পালন করুক। তারা মাছ চাষ করুক। ট্রাক্টর চালিয়ে তারা জমি চাষ করুক। শিক্ষিত লোক কৃষিতে যুক্ত হলে, ইনশাআল্লাহ কৃষির চেহারা পাল্টে যাবে।
ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য জেনারেল এডুকেশন তো রয়েছে। তথাপি কেন কিছু সংখ্যক মাদ্রাসা পড়ুয়াকে নিয়ে দু:শ্চিন্তায় থাকতে হবে? এতটুকু একটা দেশ। তা’ ঐ জেনারেল শিক্ষিতদের দিয়েই উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানো যায়, যদি সেটা সুশিক্ষা হয়।
অকাজের চিন্তা না করে সুকাজের চিন্তা দিয়ে সরকারকে পথ দেখানো গেলে জাতি অবশ্যই উন্নয়নের পথে চলবে-ইনশাআল্লাহ। তা না করে মুমিনদের পিছনে লেগে থাকলে জাতি পিছিয়ে পড়বে। মুমিনদেরকে তাদের মত চলতে দিয়ে জাতির উন্নয়নের চেষ্টা করলে জাতি অবশ্যই এগিয়ে যাবে। তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষার মানগত স্বীকৃতি দিলেন। তারপর তাদেরকে কৃষি সম্পৃক্ত করা গেলে ইসলাম সেবা এবং জাতি সেবা উভয় সেবা পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। সেই সাথে ম্দ্রাসা শিক্ষিতদের সরকারী চাকুরীর সুযোগ থাকলে ক্ষতি কি? আমিও তো উচ্চ শিক্ষিতদেরকে সরকারী সেবার অধীনে কম্পিউটার শিখাই। আমার মা বলতেন, সবাই যদি পন্ডিত হয় তবে হাল চাষ করবে কে? বড় ভাই ব্যাংকে চাকুরী, মেঝ ভাই বীমায় চাকুরী, আমি হুজুর হতে গিয়ে পেলাম সরকারী চাকুরী। এক ফাঁকে জেনারেল ডিগ্রি নিয়ে ছিলাম। চাকুরী সেই সুবাদে। সুতরাং আমাদের সরকার প্রধানদের বুদ্ধি ঠিক আছে। তাঁদের সবাই ইসলামী শিক্ষার পিষ্ঠপোষকতা করেছেন, এটা ভালো দিক। এদিকে আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অবদানও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা যায়। যাঁর নুন খাই তাঁর গুন না গাইলে কেমন হয়। গায়ে পড়ে আমার উপকার করবে আওয়ামী লীগ, আর চিকন সুরে গান গাইব অন্য লোকের মাদ্রাসায় এমন কূ-শিক্ষা দেওয়া হয় না।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




