
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তারপ্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
* সুতরাং কোরআনের সাথে গরমিল কোন কিছুকে হাদিস হিসাবে সাব্যস্ত করা যায় না।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময় হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* হাদিস সংকলন হয়েছে বিশ্বাস ঘাতক যুগে। তারা কোরআনের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে কোরআনের গরমিল কথাকে হাদিস হিসাবে সাব্যস্ত করেছে। আর কোরআনের সাথে গরমিল এ হাদিস সমূহের কারণে ইসলামে অনেক মতভেদ তৈরী হয়েছে। আর এসব হাদিসের পথ ধরে ইসলামে অনেক জঘণ্য বিষয় ঢুকে পড়েছে যা ইসলামের মান অনেক কমিয়ে দিয়েছে।
হাদিস সংকলকগণের প্রতি অতিভক্তির কারণে আমরা তাদের অকাজের কথা স্বীকার করতে পারছি না। অথচ তাদের অকাজের কারণে অনেকের নিকট ইসলাম নিম্নমানের ধর্ম ,মত বা জীবন বিধানে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি বলি তাঁরা মানুষ। তাঁদেরও ভুল হতে পারে। আর তাদের ভুলের কারণেই যা হাদিস নয় তা হাদিস হিসাবে সাব্যস্ত হয়েছে। তাহলে তাঁদের মর্যাদা খাট হয় না এবং তাঁদের ভুলের মাসুলও মুমিনদেরকে গণতে হয় না। কিন্তু গোঁড়ামী করে তাদের কাজকে কোআনের মানে তুলে দিলে ইসলামের বারোটা বাজে। সুতরাং কোরআনের সাথে গরমিল কথাকে হাদিস হিসাবে মানা যাবে না। তাহলে ইসলামের উপর অনেকের করা অভিযোগের আর কোন ভিত্তি থাকে না।
মূলত সেই হাদিস সহিহ যা কোরআনের সাথে গরমিল নয় এবং যে হাদিস মুমিনগণ সহিহ হিসাবে আমল করেন। রাসূল (সা.) আয়াত প্রচার করতে বলেছেন। সুতরাং আয়াতের সাথে গরমিল কথা হাদিস হিসাবে প্রচারযোগ্য নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




