somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাহ তাকদীর কিভাবে লিখলেন? (কোরআন ও হাদিসে যাদের বিশ্বাস নেই, পোষ্টটি তাদের জন্য নয়)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




সূরাঃ ২২ হাজ্জ্ব, ৭০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। তুমি কি জাননা যে আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা’ জানেন? এসব এক কিতাবে আছে। এটা আল্লাহর নিকট সহজ।

সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ভূ-পৃষ্ঠে চলমান প্রতিটি জীব এবং বায়ূ মন্ডলে ডানার সাহায্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই তোমাদের ন্যায় এক একটি জাতি। আমি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখিনি। তারপর তাদের সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে একত্রিত করা হবে।

* আল্লাহ দেখলেন তাঁর ইচ্ছার বাইরে কিছুই হবে না।সুতরাং ভবিষ্যতে কখন কি হবে তা’ আল্লাহ একটি কিতাবে লিপিবদ্ধ করলেন।

শূন্য প্রকৃতি হলো এটা শূন্য থাকতে চায় না। শূন্যকে পূর্ণ করার দৌড়ে এগিয়ে গেল শক্তি। সুতরাং পদার্থের আগেই সকল শক্তি শূন্যকে পূর্ণ করে দিল। সেই শূন্যের মান অসীম ছিল। কারণ তাকে সীমা দিয়ে সীমাবদ্ধ করার মত তখন কিছুই ছিল না। সুতরাং অসীম শূন্যকে পূর্ণকারী সকল শক্তি অসীম ছিল। কিন্তু তারা আলাদা হতে পারেনি। কারণ তখন তাদেরকে সীমা দিয়ে আলাদা করার কিছুই ছিল না। সুতরাং শূন্যকে পূর্ণকারী সকল অসীম শক্তি একত্রে মিলেমিসে একজন অসীম সর্বশক্তিমান হলেন।ইসলামে তিনি আল্লাহ নামে পরিচিত। তখন শূন্যতে আর কিছু হওয়ার মত শূন্যস্থান ছিল না। তখন আল্লাহ বুঝলেন এখন তাঁর মধ্যে তাঁকেই সব কিছু সৃষ্টি করতে হবে। সুতরাং ভবিষ্যতে আল্লাহ কখন কোথায় কিভাবে কি সৃষ্টি করবেন এবং তাদের ভাগ্য কি হবে তা’ তিনি একটি কিতাবে লিপিবদ্ধ করলেন।

সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?

* আল্লাহ সকল ক্ষেত্রে অসীম হয়েছেন বিধায় তাঁর বিবেকে কোন ঘাটতি ছিল না। সেজন্য তিনি অসীম ন্যায় বিচারী হয়েছেন। সুতরাং তিনি তাঁর সৃষ্টির তাগদীর ন্যায় সঙ্গতভাবে নির্ধারন করলেন।এ ক্ষেত্রে তিনি তাঁর ক্রিয়ার সাথে বিক্রিয়াকে বিবেচনায় নিলেন।

আল্লাহ পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনায় প্রতিদান প্রদান করেন। সুতরাং আল্লাহর সকল সৃষ্টি তাদের পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিদান। আল্লাহ প্রথমে সকল সৃষ্টিকে একই রকম সৃষ্টি করে তাদেরকে তাঁর যিকির করার আদেশ দিয়ে বললেন, বেশী বেশী যিকির কর যেন তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। সমান সময় সবাই যিকির করলো এর পর আল্লাহ সবার যিকিরের ফলাফল হিসাব কিতাবে লিপিবদ্ধ করলেন। সেই হিসাবের ভিত্তিতে তিনি আঠার হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করলেন এবং কারো প্রতি তিনি কোন অবিচার করেননি। সেই হিসাবের ভিত্তিতেই মানুষ সৃষ্টির সেরা সাব্যস্ত হলো।

সূরাঃ ৮৭ আলা, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। যিনি তাকদীর নির্ধারণ করেছেন, তারপর হেদায়াত প্রদান করেছেন।

* একই হিসাবের ভিত্তিতে আল্লাহ মানুষের তাকদীর লিপিবদ্ধ করলেন। তাকদীর ক্রিয়ার বিক্রিয়াগুলো আল্লাহ কিতাবে লিখলেন। এর ভিত্তিতে তিনি আরো তাকদীর লিখলেন। কার ক্ষেত্রে কোন ক্রিয়ায় কি বিক্রিয়া ঘটবে সেটা আল্লাহ আগে থেকে জানেন বিধায় তাও তিনি কিতাবে লিখলেন। আর সেজন্যই তাঁর কিতাব থেকে কোন কিছু বাদ পড়েনি। এরপর সেই হিসাবের চূড়ান্ত ফলাফল হিসাবে তিনি লোকের জান্নাত ও জাহান্নামের হিসাব লিখলেন। এরপর থেকে সেই কিতাবের লেখা অনুযায়ী সব কিছু সংগঠিত হচ্ছে। এটাই তাকদীর। এটা ব্যক্তি ও সমুষ্ঠি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

কিতাবের লেখা অনুযায়ী মানুষ উন্নতি করতে থাকবে। অবশেষে তারা মৃত্যুকেও জয় করে ফেলবে এবং কিতাবের দাবী মৃত্যুকে অস্বীকার করে তারা যে কিতাব অনুযায়ী সব কিছু হয় সে কিতাবকেই অস্বীকার করবে। তখন কিতাবের কথা ঠিক রাখতে অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এ কথা ঠিক রাখতে কেয়ামত ঘটাবেন। তারমানে এমনিতে যখন মানুষ মরছে না তখন তিনি কেয়ামতের মাধ্যমে সবচেয়ে উন্নত মানুষদের মৃত্যু নিশ্চিত করবেন। এরপর তিনি আবার তাঁর সকল সৃষ্টিকে তাঁর নিকট সমবেত করে তাদের কর্মফল প্রদান করবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০২
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×