somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লজিক্যাল ঈশ্বর

২০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




বলা হয়ে থাকে ঈশ্বর প্রথম। এটা কতটা লজিক্যাল? প্রথমের পূর্বস্থান শূন্য। শূন্যে কিছুই না থাকায় এর সীমা ছিল না।সংগত কারণে শূন্য অসীম ছিল। শক্তি কোন স্থানের সম্পূর্ণ স্থান জুড়ে অবস্থান গ্রহণ করে। ফলে শূন্যে সকল শক্তি অসীম হিসাবে অবস্থান গ্রহণ করে। আর শূন্যে সীমাদানের কিছু না থাকায় কোন শক্তি কোন শক্তি থেকে আলাদা হতে পারেনি। ফলে সকল শক্তি একত্রিত হয়ে শূন্যে অসীম সর্বশক্তিমাণ অবস্থান গ্রহণ করলেন।শূন্যে তিনি প্রথম অবস্থান গ্রহণ করার কারণ বস্তু থেকে শক্তির গতি বেশী। সেজন্য শূন্যে বস্তু প্রথম স্থান লাভ করতে পারেনি। বস্তুর স্থান শক্তির পরে হওয়ায় এটি সর্বশক্তিমাণের ইচ্ছা নিয়ন্ত্রিত হলো।সর্বশক্তিমাণ বস্তু সমূহকে গোলাকারে পুঞ্জিভুত হতে আদেশ দিলেন। ফলে বস্তু সমূহ গোলাকার বস্তুপুঞ্জে পুঞ্জিভূত হলো। ফলে বস্তুপুঞ্জ সসীম হলো।সর্বশক্তিমাণ অসীম এবং বস্তুপুঞ্জ সসীম হলো। অসীম > সসীম। সেজন্য সর্বশক্তিমাণ ঈশ্বর হলেন। কারণ ঈশ্বর মানে বড়।

ঈশ্বর তাঁর অসীম তাপ শক্তির প্রভাবে গোলাকার বস্তুপুঞ্জ বা ঈশ্বর কণায় মহা বিস্ফোরণ ঘটালেন। ফলে এটি অসংখ্য অংশে বিভক্ত হলো। তখন এর প্রতিটি অংশ নিজের চার পাশে পাক খেয়ে ঘুরতে লাগলো। আর এর ছোট অংশ বড় অংশের চার পাশে পরিভ্রমণ শুরু করলো। এভাবে ঈশ্বর মহাজগত সৃষ্টি করলেন। মহাজগতের মধ্যে বিদ্যমাণ পানি থেকে ঈশ্বর সকল প্রাণী সৃষ্টি করলেন। মহাজগতের বিভিন্ন স্থানে ঈশ্বর তাঁর সৃষ্ট প্রাণীর আবাসস্থল গড়ে দিলেন। আমরা আছি পৃথিবী নামক স্থানে।

মহাজগতের এখন সব কিছু ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। মহাজগতের কোন স্থানে তাঁর ইচ্ছার বাইরে এখন কিছুই হতে পারে না। কারণ তাঁর অসীম সর্বশক্তিমাণ সত্ত্বাকে পরাজিত করে তাঁর ইচ্ছার বাইরে কোন কিছু হওয়া সম্ভব নয়। অনেকে ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে বস্তু কেন্দ্রীক মহাজগতের বিবরণ দিয়ে থাকে যাতে মূলত কোন লজিক থাকে না। তাদের এসব অকাজের উদ্দেশ্য হলো ঈশ্বরবাদকে অস্বীকার করা। কিন্তু তাদের অকাজে মূলত কোন কাজ হয়নি। কারণ বিশ্বের প্রায় ৮০% মানুষ ঈশ্বর বিশ্বাসী।

যারা বলে ঈশ্বর নাই তারা যখন সব কিছু হলো তখন ঈশ্বর হয়নি এটা কেমন করে বুঝলো? মহাজগতে কি এমন কোন বিধি ছিলো যে সকল কিছু হতে পারলেও শুধুমাত্র ঈশ্বর হওয়া নিষিদ্ধ? তারা বলছে তারা ঈশ্বরকে দেখছে না, তো ঈশ্বর নিরাকার হলে তারা দেখবে কেমন করে? দেখা না যাওয়া আর না থাকা তো এক কথা নয়। প্রাণতো দেখা যায় না, কিন্তু সেটাতো আছে। তারা বলে ঈশ্বরের দরকার নাই। দেখা যায় দরকার না থাকলেও অনেক কিছু হয়ে দরকারী হয়ে পড়ে। বুঝলাম আপনার দরকার নাই। কিন্তু যার হওয়ার দরকার সে নিজের দরকারে হয়ে গেলে আপনি কি করতে পারবেন? সুতরাং ঈশ্বর হয়েছেন তাঁর প্রয়োজনে তাঁর ক্ষমতায়। তাঁকে আপনি অস্বীকার করেও তাঁর অবস্থান শূন্য করতে পারবেন না। কারণ তিনি শূন্যকে পূর্ণ করা এক ও অদ্বীতিয়।

ঈশ্বর আছেন। মহাজাগতিক শৃঙ্খলা থেকে তাঁর উপস্থিতি বোধগম্য। তবে যারা ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করছে তাদের অবিশ্বাসে আমি তেমন সমস্যা দেখছি না। ঈশ্বর তাদেরকে জাজান্নামে ফেলে দিলে তারা মনে করবে প্রাকৃতিক নিয়মে তারা জাহান্নামে পড়ে গেছে। তারপর প্রাকৃতিক নিয়মে তারা সেখানে অনন্তকাল কষ্টকর জীবন যাপন করতে থাকবে। তাতে করে তারা ঈশ্বরকে দোষ দিবে না। কারণ তারাতো ঈশ্বরে বিশ্বাসই করে না, সুতরাং কাকে আর দোষ দিবে। সুতরাং তাদে,র দোষারফ থেকে ঈশ্বর নির্ভার থাকবেন। আর যারা আসল ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে অন্য ঈশ্বরকে ঈশ্বর বলে ঈশ্বর তাদের থেকেও নির্ভার থাকবেন। তিনি তাদেরকে বলবেন তোমাদের ঈশ্বরদেরকে বল তোমাদের মুছিবত দূর করে দিতে। আমাকে তো তোমরা ঈশ্বরই মাননি। সুতরাং আমার নিকট তোমাদের কোন আরজি থাকতে পারবে না। কিন্তু যারা আসল ঈশ্বরকে ঈশ্বর মেনেছে তারা ঈশ্বরের জান্নাতে থাকবে।

প্রসঙ্গত: মুসলিমগণ লজিক্যাল ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ: রহস্যময় চৌধুরী ভিলা

লিখেছেন গ্রু, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৩৩



পরদিন সকালে আকাশ পরিষ্কার। গতরাতের বৃষ্টির কোনো চিহ্ন নেই, শুধু রাস্তার ধারের গাছগুলো থেকে টুপটাপ জল পড়ছে। অনিরুদ্ধ তার জীর্ণ নীল রঙের পাঞ্জাবিটা পরে তৈরি হয়ে নিল। সে সাধারণত রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ দম্পতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

I have a plan

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২২

আসেন নেতা পা বাড়ান সামনে এগিয়ে চলেন
প্ল্যান টা কী বলেন।

সামনে আজাদ পেছনে দিল্লি কোন দিকে যাই বলেন
প্ল্যান টা কী বলেন।

যে দিকেই যাই ৩৬ যাবে? সেইটা ক্লিয়ার করেন
প্ল্যান... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি

লিখেছেন মুনতাসির, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৯

অনেকেই বলেন, ৫ আগস্টের পর তো কিছুই বদলায়নি। এই কথাটার সূত্র ধরেই এগোনো যায়। ৫ আগস্টের পর আমাদের কোন কোন পরিবর্তন এসেছে, সেটাই আগে দেখা দরকার। হিসাব করে দেখলাম, বলার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আদর্শের রাজনীতি না কোটি টাকার হাতছানি...

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫



১. আমি অনেক আগে ব্লগে লিখেছিলাম, বাংলাদেশে ছোট দলগুলো নিষিদ্ধ করা উচিত। উন্নত দেশের মত ২/৩ টিতে থাকাই উত্তম। কারণ, ছোট দলের নেতাদের টকশো-তে গলাবাজি করা ছাড়া আর কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×