somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজের সম্পর্কে আল্লাহর অভিজ্ঞতা

২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একদা আল্লাহ দেখেছেন তিনি একাই আছেন এবং আর কিছুই নেই। সেজন্য তিনি বললেন, তিনি প্রথম, তিনি এক।তারপর তিনি দেখলেন তিনি কোন কিছুর লিমিট দিয়ে কুন বললে সেটা হয়ে যায়। সুতরাং তিনি মনের আনন্দে সৃষ্টি করতে থাকলেন যা ইচ্ছা। এভাবে তিনি তিনলক্ষ বছরে একটা মহাজগৎ তৈরী করে এর অধিশ্বর হয়ে গেলেন।তাঁর বিবিধ ইচ্ছার অংশ হিসাবে তিনি তাঁর ইবাদতের জন্য মানুষ ও জীন সৃষ্টি করলেন। তাদের ইবাদতের পুরস্কার হিসাবে তিনি জান্নাত সৃষ্টি করলেন এবং তাঁর ইবাদত না করার শাস্তি হিসাবে তিনি জাহান্নাম সৃষ্টি করলেন। তঁর ইবাদতের নিয়ম তিনি তাঁর পছন্দের কিছু লোককে জানিয়ে তাদেরকে এর প্রচার করার আদেশ দিলেন। শেষ বিচারে তিনি ইবাদতের হিসাব নিকাশ নিয়ে বসবেন এবং যাদেরকে জান্নাতে পাঠানো দরকার তাদেরকে জান্নাতে পাঠিয়ে দিবেন এবং যাদেরকে জাহান্নামে পাঠানো দরকার তাদেরকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিবেন। আল্লাহ যাদেরকে তাঁর কথা প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছেন তঁদেরকে নবী ও রাসূল বলা হয়। তাঁর শেষ নবি ও রাসূল হলেন মোহাম্মদ (সা.)। আমরা আল্লাহর কথা জেনেছি হযরত মোহাম্মদের (সা.) মাধ্যমে। তঁর কথা বিশ্বাস করে আমরা মুমিন হয়েছি।

যারা মুমিন নয় তারা মুমিনদেরকে বিবিধ কথা বলে। মুমিনগণ এসব কথা গায়ে মাখে না। কারণ তারা জানে তাদের কাজের ফলে তারা পরকালে জান্নাত পাবে। যারা মুমিন নয় তাদেরকে আল্লাহও কিছু বলেন না। কারণ তিনি জানেন তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। কাজেই এখনই এদেরকে কিছু করতে হবে এটা কোন জরুরী বিষয় নয়। শেষ বিচারে তিনি এদেরকে টুটি চেপে ধরে জাহান্নামে ফেলে দিবেন। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। বিচিত্র শাস্তির বৈচিত্র উপভোগ করতে ভাতিজা রানু মুখিয়ে আছে। অগ্নির স্বাদ গ্রহণের জন্য আরেক ভাতিজা হয়েছে অগ্নিবেশ।এ দিক থেকে আল্লাহকে সার্থক বলা যায়। কারণ তাঁর বানানো জান্নাত ও জাহান্নামের উভয় স্থানে যাওয়ার আগ্রহী মানুষ আছে। ভাতিজা রানু ও অগ্নি নিশ্চয়ই জাহান্নামে যেতে পারলে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা শিকার করবে। শাস্তি দিয়েও কৃতজ্ঞতা পাওয়া কম কথা নয়।

ভাতিজা জ্যাকের মতে সব ঝুট হ্যায় এসব আল্লা-বিল্লা কিছু নাই। আর বড়ভাই সোনাগাজীর মতে ধর্মের কথা হলো রূপ কথা। শেষ বিচারে না চাইলেও তাদেরকে জাহান্নামেই যেতে হবে। কারণ আল্লাহর কথা যারা বিশ্বাস করে না, আল্লাহ তাদের জন্য জাহান্নামই বরাদ্ধ রেখেছেন। কামাল স্যারও অনেক কথা বলে কামাল করেন। তিনিও আল্লাহর কথা বিশ্বাস করেন না। সুতরাং তাঁকেও জাহান্নামে যেতে হবে। আশা করি আমার কথায় তাঁদের কেউ রাগ করবেন না। কারণ তাঁরা জাহান্নাম বিশ্বাস করেন না। তো তাঁদের মতে যদি তাঁদেরকে জাহান্নমে যেতেই না হয় তাহলে আমার কথায় তাদের রাগের কি কারণ থাকতে পারে।

মুমিনগণ আল্লাহর কথায় সুনিশ্চিত বিশ্বাসী। এর অবশ্য অনেক কারণ আছে। অবিশ্বাসীরাও নাকি অনেক কষ্ট করে অবিশ্বাসী হয়েছে। তো তারা তাদের কষ্টের ফল কষ্টের স্থান জাহান্নাম তারা পাবেন। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তাদেরকে একটুও কষ্ট কম দিবেন না। সব কিছুই তো ঠিকঠাক আছে। তবে আর মুমিন-অমুমিনের ঝগড়ার কারণ কি সেটাই আমার বুঝে আসে না।

অমুমিনদের একটা মনভাব দেখলাম, মুমিনরা তাদের দলে যোগ দেয় না কেন, সেজন্য তাদের অনেক রাগ। কেন রে বাপু মুমিনরা একটু জান্নাতে যেতে চায় তাতে কেন তোমরা অহেতুক বাধা দিচ্ছ? তোমরা মনে করছ তারা ভুল পথে আছে এই তো? কিন্তু তোমরা যা মনে কর মুমিনগণ সেটা মনে করে না। সুতরাং তোমরা মুমিনগণকে তাদের মত করে থাকতে দাও।

আমি মুমিন মানুষ। তো আল্লাহ কিভাবে হলেন, এসব কথা আমি একটু বলি টলি। এতে দেখি তাদের ঘোর আপত্তি। কেন রে বাপু আমি কি তোমাদের অবিশ্বাসে জোর করছি? যেসব হাদিসে তাদেরকে মরা-কাটার কথা বলা হয়েছে, আমি আবার এসব হাদিস সঠিক মনে করি না। আমি মনে করি তাদের জন্য তাদের মত আমাদের জন্য আমাদের মত। এটাই কোরআনে আছে। এর সাথে গরমিল হাদিস কে যে কোথা হতে বানিয়েছে কে জানে? কোরআনের সাথে গরমিল এসব হাদিস দেখলে আমি শুধু আসতাগফিরুল্লাহ পাঠ করি।

আল্লাহ তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে ভালো থাকুন। আমরা তাঁর ইবাদত করে জান্নাতের আশা করি। যারা আল্লাহর কথা বিশ্বাস করে না, তাদের কি হয় না হয় সেটা পরকালে দেখা যাবে। তাদের কাজে সমস্যা তৈরী করাও মুমিনের কাজ নয়।পৃথিবীতে জয় হোক মানবতার।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
৩৫টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সে কবিতায় অন্য কেউ ছিলনা..

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১২




সে কবিতায় অন্য কেউ ছিলনা—
শুধু আমিই ছিলাম, তোমার পরম আরাধনা হয়ে;
যেন কত জনমের সাধনা!
আবেগ আপ্লুত এই আমি তখন
বুঝে গেছি —স্বার্থক আমার কবিতা লেখা,
স্বার্থক সাধনা।

প্রেম যেন এক সদ্য প্রস্ফুটিত অপরাজিতা ফুল
স্বার্থক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইলশেগুঁড়ি নয় গল্পটা ইলশে গরুর

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭


মাদের বাজারে সারাবছর মাছই বিক্রি হত আর এক পাশে হাস মুরগীর ডিমাশে পাশের দশ বিশ পঞ্চাশ গ্রাম আর চরের মানুষ সদাই পাতি আনাজ মাছ দুধ নিয়ে আসত সেখানে বিক্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যাপিত জীবন: একটি ইন্টার্ভিউ এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।

লিখেছেন জাদিদ, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান - বাংলাদেশে তাঁদের ফ্যাক্টরি, চায়নার অফিস এবং ঢাকার অফিসের জন্য বিভিন্ন পদে লোক নেয়ার জন্য বিডি জবসে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো। সেখানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে যোগ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কি নারীদের উপযুক্ত সম্মান দিতে জানি না?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০



গতমাসে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বিএনপির নারী নেত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছিলেন। সেসব নিয়ে হৈচৈ হয়েছিল খুব। বিএনপির পক্ষ থেকে ঝাড়ু মিছিলও বের হয়েছিল। বক্তব্যটা যে শিষ্টাচার বহির্ভুত, তা বলার অপেক্ষা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৈয়দ আব্দুল হাদীর কালজয়ী কিছু গান

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭



এ বছরের মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার অনুষ্ঠানের ইউটিউব ভিডিও ফেসবুকে কিছুটা টেনে দেখতে গিয়ে আটকে গেলাম এই প্রজন্মের চার তরুনের কন্ঠে সৈয়দ আব্দুল হাদীর কিছু গান শুনে। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×