somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুমিনগণ এত্ত কষ্ট করে ইবাদত করে কেন?

২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ক্লশ থ্রিতে পড়াকালিন সময় থেকে রমজান মাসের সবগুলো রোজা রাখা শুরু করি। কারণ রোজা না রাখা হলে রোজাদারের সমান ইফতারী পাওয়া যেত না।শিশু হলেও বিষয়টা নিজের জন্য অপমান জনক মনে হতো। এত্ত সুস্বাদু খাবার তারা বেশী পাবে আমরা কম পাব এটাও কি মেনে নেওয়া যায়? সমান অধিকার প্রাপ্তির জন্য রোজা রাখতে গিয়ে দেখা যেত মহাকষ্ট। পরে বই পড়ে জানলাম, জিহাদ করতে গিয়ে কতলোক অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে? এর করণ ঈমান এবং ভয়। তারা বলে জাহান্নামের কষ্ট এচেয়ে বেশী। সেজন্য তারা কমকষ্টের রোজা রাখে। কারণ রোজা না রেখে তারা জাহান্নামে যেতে চায় না। অথচ ভাতিজা জ্যাক বলে, সব ঝুট হ্যায়।

সব ঝুট হলে, সব ক্যামন করে হলো? কতিপয় বলে সব এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে আল্লাহ এমনি এমনি হলেন না কেন? তখন নিরুত্তর। কতিপয় বলে, সব বিবর্তনে হয়েছে হয়েছে। তাহলে আল্লাহ বিবর্তনে হলেন না কেন? তখন নিরুত্তর। কতিপয় বলে, সব বীগ ব্যাং এ হয়েছে। তাহলে বীগ ব্যাং এ আল্লাহ হলেন, না কেন? তখন নিরুত্তর। কতিপয় বলে, সব প্রকৃতির নিয়মে হয়েছে। তাহলে প্রকৃতির নিয়মে আল্লাহ হলেন না কেন? তখন নিরুত্তর।তারমানে সব নিয়মে সব হতে পারবে কিন্তু আল্লাহ হতে পারবেন না। তারা এমন একটা নিয়ম করেছে।তখন মুমিন বলল, সবাই যেমনে হলো, আল্লাহও সেভাবেই হয়েছে। সুতরাং সবাই যেমন আছে তেমন আল্লাহও আছেন।তিনি বললেন, তিনি মানুষকে সর্বেত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। হিসাব করে দেখা গেলো, ঘটনা সত্য। মানুষের নাক যেখানে আছে সেখানে ছাড়া অন্য কোন স্থানে থাকলে এর চেয়ে ভালো হত না।সুতরাং সব ঝুট নয়। সুতরাং যারা বলছে সব ঝুট হ্যায়। মূলত তারাই ঝুট কথা বলছে।

কোরআন সত্য কেমন করে বুঝলে? কারণ দেড় হাজার বছরেও কেউ এমন কিতাব আনতে পারেনি। যাতে কোন ভুল নেই।আরো অনেক কথায় মুমিন বুঝলো সব ঠিক হ্যায়।সেজন্য তারা কষ্ট করে ইবাদত করে। তাহলে অনেক ঘটনায়, আল্লাহর কোন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই কেন? মুমিন বলে সব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আল্লাহ একদিন দেখাবেন। সেদিন তিনি অবিশ্বাসীকে টুটিচেপে ধরবেন এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তখন অবিশ্বাসীর সব খেলা শেষ। আমি এ সংক্রান্ত একটি স্বপ্ন দেখে ছিলাম।

আমি দেখলাম শেষ বিচার চলছে। আল্লাহর আরশ এবং ফেরেশতা দেখা যাচ্ছে না, তবে তাঁদের কথা শুনা যাচ্ছে। তাঁদের এরিয়ায় অদৃশ্য ব্যরিকেট দেওয়া। সেখানে কেউ ঢুকতে পারছে না।তার বাইরে বিশাল ক্রাউড।ক্রাউডের পূর্বে বিশাল গর্ত। বুঝলাম সেখানে জাহান্নাম। গর্তের উত্তরে ট্যালির চাল বাঁশের বেড়ার বিশাল বস্তি এলাকা। একদল লোককে আল্লাহর নিকট ধরে আনা হলো। যারা ধরে আনছে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না, যাদেরকে ধরে আনা হলো তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না। আল্লাহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের জন্য জাহান্নাম বরাদ্ধ। তবে তোমরা ঐ বস্তি এলাকায় থাকতে পার। অমনি ফেরশতাগণ তাদেরকে ছেড়ে দিলেন। তারা হুড়মুড় করে বস্তি এলাকায় ঢুকে গেল। তারপর বস্তি এলাকা জাহান্নামে নেমে গেল। আমি বললাম, এটা কি হলো? লোকগুলো অনেক আশা করে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে বস্তি এলাকায় ঢুকলো, আর বস্তি এলাকা নেমেগেল জাহান্নামে! আল্লাহ তখন বললেন, এরা আমার সাথে তামাশা করতো, সেজন্য আমিও তাদের সাথে তামাশা করলাম।

শেষ বিচার যখন হবে তখন আল্লাহ বিরোধী কোন যুক্তি প্রমাণ কাজে লাগবে না। তখন বিনা প্রমাণে জাহান্নামে যেতেই হবে। সেজন্য মুমিন বলে, বিনা প্রমাণে আল্লাহ এক। অবশ্য মুমিনদেরকে আল্লাহ এমন কিছু আলামত দেখান যাতে তারা বুঝে তাদের ঈমান ঠিক হ্যায়। সেজন্য তাদের অটল ঈমান কিছুতেই আর টলে না। সেজন্য তারা ইবাদতের কষ্টকে কষ্ট মনে না করে নেয়ামত মনে করে। তারা সীমাহীন কষ্ট করেও ইবাদত করে। আর তারা বলে তাদের যা পাওয়ার তারা তা’ শেষ বিচারে পাবে। অবুঝ রানু বলে ইবাদত না করেও মানুষ দিব্যি সুখে আছে তাহলে আর ইবাদত করে লাভ কি? অবুঝ রানুকে আমি এটা বুঝাতে পারিনি যে, ইবাদতের লাভের হিসাব ইহকালে নয় পরকালে দেখা যাবে। আর ইবাদত না করার লসের হিসাবও পরকালে দেখা যাবে। রানু বলে সব ঝুট হ্যায়। মুমিন বলে ওকে। তোমার ঝুট নিয়ে তুমি থাক এবং আমাদের ঠিক নিয়ে আমরা থাকি। পরকালে দেখা যাবে কারা ঝুট হ্যায় এবং কারা ঠিক হ্যায়।

সো্না ভাই বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ কর। মুমিন বলে, তাহলে জান্নাতের হিসাব কে করবে? মাদ্রাসায় যারা পড়ে না তারাতো জান্নাতের হিসাব ভালো করতে পারে না। সোনাভাই বলেন, এরা গেলো রসাতলে। এদের জন্যই পৃথিবীর উন্নতি হয় না। কিন্তু পুথিবীর উন্নতির জন্য এরা ছাড়াও ঢের লোক আছে তারা পৃথিবীর উন্নতি করলেই তো মিটে গেল। না তাতে কোনভাবেই মিটেগেল না। তাঁর কথা মাদ্রাসা বন্ধ করতেই হবে। সেকালে সোভিয়েত রাশিয়া উন্নতির জন্য মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে ছিলো। বেশ তো হুজুরেরা ব্যক্তিগতভাবেই দীনি শিক্ষা জারী রাখলেন। অতঃপর সোভিয়েত ভেঙ্গে গেল। মাদ্রাসাও আবার চালু হয়ে গেল। আর এভাবেই যত বাধা আসুক সব বাধা উপড়ে ফেলে মুমিন তার ইবাদত চালিয়ে যাবেই যাবে। কেই ইবাদতে মুমিনকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। সববাধা পায়ে দলে মুমিন তার মানজিলে মাকসাদে পুঁছবেই পুঁছবে-ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সে কবিতায় অন্য কেউ ছিলনা..

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১২




সে কবিতায় অন্য কেউ ছিলনা—
শুধু আমিই ছিলাম, তোমার পরম আরাধনা হয়ে;
যেন কত জনমের সাধনা!
আবেগ আপ্লুত এই আমি তখন
বুঝে গেছি —স্বার্থক আমার কবিতা লেখা,
স্বার্থক সাধনা।

প্রেম যেন এক সদ্য প্রস্ফুটিত অপরাজিতা ফুল
স্বার্থক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইলশেগুঁড়ি নয় গল্পটা ইলশে গরুর

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭


মাদের বাজারে সারাবছর মাছই বিক্রি হত আর এক পাশে হাস মুরগীর ডিমাশে পাশের দশ বিশ পঞ্চাশ গ্রাম আর চরের মানুষ সদাই পাতি আনাজ মাছ দুধ নিয়ে আসত সেখানে বিক্রি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যাপিত জীবন: একটি ইন্টার্ভিউ এবং আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ।

লিখেছেন জাদিদ, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪০

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান - বাংলাদেশে তাঁদের ফ্যাক্টরি, চায়নার অফিস এবং ঢাকার অফিসের জন্য বিভিন্ন পদে লোক নেয়ার জন্য বিডি জবসে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলো। সেখানে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে যোগ্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীর প্রতি অসম্মান (সাময়িক পোস্ট)

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০



গতমাসে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বিএনপির নারী নেত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছিলেন। সেসব নিয়ে হৈচৈ হয়েছিল খুব। বিএনপির পক্ষ থেকে ঝাড়ু মিছিলও বের হয়েছিল। বক্তব্যটা যে শিষ্টাচার বহির্ভুত, তা বলার অপেক্ষা... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৈয়দ আব্দুল হাদীর কালজয়ী কিছু গান

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭



এ বছরের মেরিল প্রথম আলো পুরষ্কার অনুষ্ঠানের ইউটিউব ভিডিও ফেসবুকে কিছুটা টেনে দেখতে গিয়ে আটকে গেলাম এই প্রজন্মের চার তরুনের কন্ঠে সৈয়দ আব্দুল হাদীর কিছু গান শুনে। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×