ক্লশ থ্রিতে পড়াকালিন সময় থেকে রমজান মাসের সবগুলো রোজা রাখা শুরু করি। কারণ রোজা না রাখা হলে রোজাদারের সমান ইফতারী পাওয়া যেত না।শিশু হলেও বিষয়টা নিজের জন্য অপমান জনক মনে হতো। এত্ত সুস্বাদু খাবার তারা বেশী পাবে আমরা কম পাব এটাও কি মেনে নেওয়া যায়? সমান অধিকার প্রাপ্তির জন্য রোজা রাখতে গিয়ে দেখা যেত মহাকষ্ট। পরে বই পড়ে জানলাম, জিহাদ করতে গিয়ে কতলোক অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছে? এর করণ ঈমান এবং ভয়। তারা বলে জাহান্নামের কষ্ট এচেয়ে বেশী। সেজন্য তারা কমকষ্টের রোজা রাখে। কারণ রোজা না রেখে তারা জাহান্নামে যেতে চায় না। অথচ ভাতিজা জ্যাক বলে, সব ঝুট হ্যায়।
সব ঝুট হলে, সব ক্যামন করে হলো? কতিপয় বলে সব এমনি এমনি হয়েছে। তাহলে আল্লাহ এমনি এমনি হলেন না কেন? তখন নিরুত্তর। কতিপয় বলে, সব বিবর্তনে হয়েছে হয়েছে। তাহলে আল্লাহ বিবর্তনে হলেন না কেন? তখন নিরুত্তর। কতিপয় বলে, সব বীগ ব্যাং এ হয়েছে। তাহলে বীগ ব্যাং এ আল্লাহ হলেন, না কেন? তখন নিরুত্তর। কতিপয় বলে, সব প্রকৃতির নিয়মে হয়েছে। তাহলে প্রকৃতির নিয়মে আল্লাহ হলেন না কেন? তখন নিরুত্তর।তারমানে সব নিয়মে সব হতে পারবে কিন্তু আল্লাহ হতে পারবেন না। তারা এমন একটা নিয়ম করেছে।তখন মুমিন বলল, সবাই যেমনে হলো, আল্লাহও সেভাবেই হয়েছে। সুতরাং সবাই যেমন আছে তেমন আল্লাহও আছেন।তিনি বললেন, তিনি মানুষকে সর্বেত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। হিসাব করে দেখা গেলো, ঘটনা সত্য। মানুষের নাক যেখানে আছে সেখানে ছাড়া অন্য কোন স্থানে থাকলে এর চেয়ে ভালো হত না।সুতরাং সব ঝুট নয়। সুতরাং যারা বলছে সব ঝুট হ্যায়। মূলত তারাই ঝুট কথা বলছে।
কোরআন সত্য কেমন করে বুঝলে? কারণ দেড় হাজার বছরেও কেউ এমন কিতাব আনতে পারেনি। যাতে কোন ভুল নেই।আরো অনেক কথায় মুমিন বুঝলো সব ঠিক হ্যায়।সেজন্য তারা কষ্ট করে ইবাদত করে। তাহলে অনেক ঘটনায়, আল্লাহর কোন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নেই কেন? মুমিন বলে সব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া আল্লাহ একদিন দেখাবেন। সেদিন তিনি অবিশ্বাসীকে টুটিচেপে ধরবেন এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তখন অবিশ্বাসীর সব খেলা শেষ। আমি এ সংক্রান্ত একটি স্বপ্ন দেখে ছিলাম।
আমি দেখলাম শেষ বিচার চলছে। আল্লাহর আরশ এবং ফেরেশতা দেখা যাচ্ছে না, তবে তাঁদের কথা শুনা যাচ্ছে। তাঁদের এরিয়ায় অদৃশ্য ব্যরিকেট দেওয়া। সেখানে কেউ ঢুকতে পারছে না।তার বাইরে বিশাল ক্রাউড।ক্রাউডের পূর্বে বিশাল গর্ত। বুঝলাম সেখানে জাহান্নাম। গর্তের উত্তরে ট্যালির চাল বাঁশের বেড়ার বিশাল বস্তি এলাকা। একদল লোককে আল্লাহর নিকট ধরে আনা হলো। যারা ধরে আনছে তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না, যাদেরকে ধরে আনা হলো তাদেরকে দেখা যাচ্ছে না। আল্লাহ তাদেরকে বললেন, তোমাদের জন্য জাহান্নাম বরাদ্ধ। তবে তোমরা ঐ বস্তি এলাকায় থাকতে পার। অমনি ফেরশতাগণ তাদেরকে ছেড়ে দিলেন। তারা হুড়মুড় করে বস্তি এলাকায় ঢুকে গেল। তারপর বস্তি এলাকা জাহান্নামে নেমে গেল। আমি বললাম, এটা কি হলো? লোকগুলো অনেক আশা করে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে বস্তি এলাকায় ঢুকলো, আর বস্তি এলাকা নেমেগেল জাহান্নামে! আল্লাহ তখন বললেন, এরা আমার সাথে তামাশা করতো, সেজন্য আমিও তাদের সাথে তামাশা করলাম।
শেষ বিচার যখন হবে তখন আল্লাহ বিরোধী কোন যুক্তি প্রমাণ কাজে লাগবে না। তখন বিনা প্রমাণে জাহান্নামে যেতেই হবে। সেজন্য মুমিন বলে, বিনা প্রমাণে আল্লাহ এক। অবশ্য মুমিনদেরকে আল্লাহ এমন কিছু আলামত দেখান যাতে তারা বুঝে তাদের ঈমান ঠিক হ্যায়। সেজন্য তাদের অটল ঈমান কিছুতেই আর টলে না। সেজন্য তারা ইবাদতের কষ্টকে কষ্ট মনে না করে নেয়ামত মনে করে। তারা সীমাহীন কষ্ট করেও ইবাদত করে। আর তারা বলে তাদের যা পাওয়ার তারা তা’ শেষ বিচারে পাবে। অবুঝ রানু বলে ইবাদত না করেও মানুষ দিব্যি সুখে আছে তাহলে আর ইবাদত করে লাভ কি? অবুঝ রানুকে আমি এটা বুঝাতে পারিনি যে, ইবাদতের লাভের হিসাব ইহকালে নয় পরকালে দেখা যাবে। আর ইবাদত না করার লসের হিসাবও পরকালে দেখা যাবে। রানু বলে সব ঝুট হ্যায়। মুমিন বলে ওকে। তোমার ঝুট নিয়ে তুমি থাক এবং আমাদের ঠিক নিয়ে আমরা থাকি। পরকালে দেখা যাবে কারা ঝুট হ্যায় এবং কারা ঠিক হ্যায়।
সো্না ভাই বলেন, মাদ্রাসা বন্ধ কর। মুমিন বলে, তাহলে জান্নাতের হিসাব কে করবে? মাদ্রাসায় যারা পড়ে না তারাতো জান্নাতের হিসাব ভালো করতে পারে না। সোনাভাই বলেন, এরা গেলো রসাতলে। এদের জন্যই পৃথিবীর উন্নতি হয় না। কিন্তু পুথিবীর উন্নতির জন্য এরা ছাড়াও ঢের লোক আছে তারা পৃথিবীর উন্নতি করলেই তো মিটে গেল। না তাতে কোনভাবেই মিটেগেল না। তাঁর কথা মাদ্রাসা বন্ধ করতেই হবে। সেকালে সোভিয়েত রাশিয়া উন্নতির জন্য মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়ে ছিলো। বেশ তো হুজুরেরা ব্যক্তিগতভাবেই দীনি শিক্ষা জারী রাখলেন। অতঃপর সোভিয়েত ভেঙ্গে গেল। মাদ্রাসাও আবার চালু হয়ে গেল। আর এভাবেই যত বাধা আসুক সব বাধা উপড়ে ফেলে মুমিন তার ইবাদত চালিয়ে যাবেই যাবে। কেই ইবাদতে মুমিনকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। সববাধা পায়ে দলে মুমিন তার মানজিলে মাকসাদে পুঁছবেই পুঁছবে-ইনশাআল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২