# আল্লাহ কিভাবে সকল সৃষ্টির তাকদীর বা ভাগ্য লিখলেন?
# শুধুমাত্র মুমিনদের জন্য উপস্থাপিত। অবিশ্বাসীদের এটি পাঠ ও এতে মন্তব্যের দরকার নেই
সূরাঃ ৮৭ আলা, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। যিনি তাকদীর নির্ধারণ করেছেন, তারপর হেদায়াত প্রদান করেছেন।
* সৃষ্টির তাকদীর নির্ধারণ করা ছিল সৃষ্টির জন্য আল্লাহর প্রথম কাজ।
সূরাঃ ৯৫ তীন, ৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮। আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট বিচারক নন?
* তাকদীর নির্ধারণের ক্ষেত্রে আল্লাহ সকল সৃষ্টির প্রত্যেক সদস্যের ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ন ছিলেন।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। যিকিরের পর আমি কিতাব লিখে দিয়েছি, যেন আমার সালেহ বান্দাগণ পৃথিবীর অধিকারী হয়।
* তাকদীরের কিতাব লেখা হয়েছে যিকিরের পর।
সূরাঃ ৭২ জিন, ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। যা দ্বারা আমরা তাদেরকে পরীক্ষা করতাম। যে তার রবের যিকির হতে বিমুখ হয় তিনি তাকে প্রবেশ করাবেন দুঃসহ আযাবে।
* সৃষ্টির জন্য আল্লাহর প্রথম কাজ তাকদীর নির্ধারনের জন্য বান্দার জন্য আল্লাহর নির্ধারিত প্রথম কাজ ছিলো যিকির। এতে যারা বিমুখ হবে তাদের জন্য আল্লাহ আযাব প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। আর যারা এতে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে আল্লাহ তাদেরকে তাঁর নেয়ামত প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন।
সূরাঃ ২২ হাজ্জ্ব, ৭০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭০। তুমি কি জাননা যে আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে আল্লাহ তা’ জানেন? এসব এক কিতাবে আছে। এটা আল্লাহর নিকট সহজ।
সূরাঃ ৬ আনআম, ৩৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ভূ-পৃষ্ঠে চলমান প্রতিটি জীব এবং বায়ূ মন্ডলে ডানার সাহায্যে উড়ন্ত প্রতিটি পাখিই তোমাদের ন্যায় এক একটি জাতি। আমি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখিনি। তারপর তাদের সবাইকে তাদের প্রতিপালকের কাছে একত্রিত করা হবে।
* আল্লাহ সৃষ্টিকে যিকিরের দায়িত্ব প্রদান করে কে কিভাবে এ দায়িত্ব পালন করছে তা’ কিতাবে লিপিবদ্ধ করতে থাকলেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কিতাবে কোন জিনিসের কোন বিষয় বাদ রাখেননি। তারপর কিতাবের বিবরণ অনুযায়ী আল্লাহ প্রত্যেক সৃষ্টির ভাগ্য নির্ধারণ করে দিলেন। ভাগ্য বরাদ্ধ সাপেক্ষ্যে আল্লাহ তাঁর সকল সৃষ্টিকে আঠার হাজার মাখলুকাতে বিভক্ত করে দিলেন। এরমধ্যে যারা সবচেয়ে বেশীভাগ্যবান এবং যারা সবচেয়ে বেশী হতভাগ্য তারা মানুষ হলো। মানুষের মধ্যে যারা জান্নাতি তারা আশরাফুল মাখলুকাত এবং যারা জাহান্নামী তারা আল্লাহর সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩৮ নং ও ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৮। ওটা এই যে কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না।
৩৯। আর এই যে মানুষ যা করে তাই সে পায়।
* কারো মন্দ ভাগ্যের দায় আল্লাহর নয়। আল্লাহ জোর করে কোন মন্দভাগ্য কারো উপর চাপিয়ে দেননি। প্রত্যেকে নিজেই নিজের অর্জীত মন্দ ভাগ্যের বোঝা বহন করে। আর মানুষের জন্য নির্ধারিত সব কিছুই তার কর্মফল।
কেউ যে ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে সেটা তার পূর্বকাজের ফল। যেমন সে কারো সন্তান, সে নারী অথবা পুরুষ, সে দেখতে যেমন হয়েছে সেটা এসব তার পরকাজের ফল নয়। পরকাজের ফল অনুযায়ী ভাগ্যের দ্বিতীয় অংশ নির্ধারিত হয়েছে। যা দোয়ায় পরিবর্তন যোগ্য। সুতরাং ভাগ্যের দু’টি অংশের প্রথমটি পরিবর্তন অযোগ্য, কিন্তু এর পরের অংশ পরিবর্তন যোগ্য। তো পরিবর্তন যোগ্য ভাগ্যের পরিবর্তন যেন কারো পক্ষ্যে থাকে সেজন্য সবার চেষ্টা থাকতে হবে।