সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের দেহ-মন বিনম্র হয়ে আল্লাহর যিকরে ঝুকে পড়ে।এটা আল্লাহর হেদায়াত। তিনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়াত প্রদান করেন।আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নাই।
* আল্লাহর কিতাব আমি বহু বার সম্পূর্ণ পাঠ করেছি। এমনকি আমি একটি সূরা আনুমানিক পাঁচ লক্ষ বার পাঠ করেছি। এখন একটা আয়াতের অংশ সোয়ালক্ষ বার পাঠের নিয়তে এক লক্ষবারের বেশী পাঠ করেছি। সামনে আরেকটা আয়াত সোয়ালক্ষ বার পাঠের নিয়ত করেছি। কোটি কোটি লোক আল্লাহর কিতাব মুখস্ত করছে এবং মুখস্ত রাখছে।
আমার এক কবিতা ভক্ত বলল। আমার কবিতা নাকি কোরআনের সূরা থেকে উৎকৃষ্ট হয়। আমি ভাবছি আমি একখানা কবিতার কিতাব লিখে আল্লাহর কিতাব বলে চালিয়ে দিলে কেমন হয়? তখন লোকে কি আমার কিতাবকে আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করবে?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৩ নং ও ২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আর আমরা আমদের বান্দার প্রতি যা নাযিল করেছি তোমরা যদি তাতে সন্দিহান হও তবে তার অনুরূপ একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সাহায্যকারীদেরকে ডেকে আন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।
২৪। আর যদি তোমরা তা’ করতে না পার এবং তোমরা তা’ কখনও করতে পারবে না, তাহলে তোমরা সেই আগুনকে ভয় কর যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর- যা কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
* লোকে আল্লাহর নামে কিতাব লিখলেও অন্য লোক সেটাকে আল্লাহর কিতাব বলে মেনে নিবে না। কারণ আল্লাহ কিতাবকে আল্লাহর কিতাব বলে লোককে বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব আল্লাহ নিজেই পালন করেছেন। তাঁর যাকে মনে ধরেছে তিনি তাকে তাঁর কিতাবের প্রতি বিশ্বাসী বানিয়েছেন। কিন্তু আমার লেখা কিতাবের বিষয়ে তেমন ঘটনা ঘটবে না। আমি আল্লাহর নামে অতি উৎকৃষ্ট কিতাব রচনা করলেও লোকে সেটাকে আল্লাহর কিতাব বলে মেনে নিবে না। কারণ আমার কিতাব আল্লাহর কিতাব হিসাবে বিশ্বাস করানোর দায়িত্ব আল্লাহ পালন করবেন না। উল্টা বেঘরে আমার প্রাণ যাবে।
আল্লাহর কিতাবের বয়স দেড় হাজার বছর হয়ে গেল। তথাপি অন্য কোন কিতাবকে কেউ আল্লাহর কিতাব বলে দাবী করেনি। কারণ তারা মনে করে তাদের এমন দাবী কেউ মেনে নিবে না। মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর কিতাবকে আল্লাহর কিতাব বলাতেই তাঁর দাবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন প্রায় দুইশত কোটি মানুষ মোহাম্মদের (সা.) আল্লাহর কিতাব দাবী করা কিতাবকে আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করছে। কারণ এমন বিপুল সংখ্যক লোকের বিশ্বাসের পিছনে স্বয়ং আল্লাহ আছেন। তিনি তাদেরকে দিয়ে বিশ্বাস করাচ্ছেন বলেই তারা আল্লাহর কিতাবকে আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭