ব্লগার শ্রাবণধারার উপদেশে স্টিফেন হকিং এর ‘A Brief History of Time বা কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’ বইটি কিনলাম। কালের এ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- (বীগ ব্যাং) বৃহৎ বিস্ফোরণ থেকে কৃষ্ণগহবর পর্যন্ত।তারমানে এটা মহাকালের অংশ।অথচ আমাদের আলোচ্য বিষয় মহাকাল।
মহাজগতের প্রথম অবস্থার পূর্বাবস্থা অবশ্যই শূন্য। কারণ প্রথম অবস্থার পূর্বাবস্থা শূন্যই হয়ে থাকে।শূন্যে বির্তন হয় না। কারণ শূন্যে কোন কিছু থাকে না। অথচ বির্তন হয় কোন কিছু থেকে।সংগত কারণে মহাজগতের প্রথম অবস্থার পূর্বাবস্থার শূন্যে সব কিছুর উদ্ভব ঘটেছে। আর তাতে যা কিছু উদ্ভব ঘটেছে তা’ অসীম হয়েছে। কারণ শূন্যে কোন কিছু না থাকায় তাতে সীমা দাতা ছিলো না।তাতে কালের উদ্ভব ঘটে তাও অসীম হয়েছে। অসীম কালের কারণে তা’ ছিলো মহাকাল। শূন্যে সীমা দাতা না থাকায় তাতে উদ্ভব ঘটা কোন অসীম পরস্পর আলাদা হতে পারেনি। সেজন্য তখন সকল অসীম একত্রিত হয়ে এক অসীম হয়েছে।
বস্তু অসীম হতে পারে না। কারণ সীমা ছাড়া কোন বস্তু হতে পারে না। সেজন্য অসীম সমূহ শক্তি ছিলো বলে তাদের সম্মিলিত যিনি তিনি অসীম সর্বশক্তি মান। তিনি বলেছেন, ইয়াসআলুনাকা আনিদদাহরি, কুল আনাদদাহরু- লোকেরা তোমাকে মহাকাল সম্পর্কে প্রশ্ন করে, বল আমিই মহাকাল।তারমানে অসীম সর্বশক্তি মহাকালও।
অসীম সর্বশক্তিমানের উদ্ভব ঘটার পর তিনি সীমা দিয়ে সকল সসীম শক্তি ও বস্তু সৃষ্টি করেছেন। বস্তসমূহকে তিনি একত্রিত অবস্থায় সৃষ্টি করে তারপর বীগ ব্যাংকের মাধ্যমে জগৎসমূহ সৃষ্টি করে তাদের নিয়ন্ত্রন দায়িত্ব পালন করছেন।
মহাজগতের স্তর হলো এর পূর্বাবস্থার পর এর প্রথম অবস্থা অসীম সর্বশক্তিমান। প্রথম অবস্থার পর দ্বিতীয় অবস্থা অসীম সর্বশক্তিমানের সৃষ্টি সসীম শক্তি ও সসীম বস্তু।দ্বিতীয় অবস্থার পর তৃতীয় অবস্থা সসীম বস্তু পিন্ডে অসীম সর্বশক্তিমানের বীগ ব্যাংকে জগৎ সমূহ সৃষ্টি। হকিং মূলত তাঁর কাজ এখান থেকে শুরু করেছেন। তিনি আর দুই ধাপ অগ্রসর হতে পারলে অসীম সর্বশক্তিমান আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারতেন।অন্য বিজ্ঞানীদেরকে সাথে নিয়ে চলার কারণে অতবড় বহর নিয়ে তিনি সে পর্যন্ত পৌছে যেতে সক্ষম হননি।হকিং ঈশ্বরকে অস্বীকার না করায় তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান খ্রিষ্টধর্ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০৭