প্রতিটি পর্যবেক্ষকেরই কালের মাপন হবে তার নিজস্ব এবং সেটা চিহ্নিত হবে তিনি যে ঘড়ি ব্যবহার করছেন তার সাহয্যে। বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের বহন করা নিজস্ব ঘড়িতে সব সময় মতৈক্য থাকবে তার কোন অর্থ নেই।সুতরাং কাল একটি ব্যক্তিগত ধারণা এবং সেই ধারণা যে পর্যবেক্ষক মাপছেন সেই পর্যবেক্ষক সাপেক্ষ –স্টিফেন ডব্লিউ হকিং
কাল কোন কিছুর অবস্থা ও অবস্থান নির্দেশক। যেমন জীবনের বিভিন্ন অবস্থা হলো, শৈশব, কৈশর, যৌবন ও বৃদ্ধ কাল। ২৪ ঘন্টা দিনের বিভিন্ন অবস্থা হলো, প্রভাত, সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা ও রাত্রি কাল। সুতরাং বীগ ব্যাং এর আগে ঈশ্বর কণার অবস্থানে একটা কাল ছিলো। কারণ কোন কিছু থাকবে অথচ তার সাথে কাল যুক্ত থাকবে না এটা হতে পারে না।কাজেই যারা বীগ ব্যাং কে মহাজগতের শুরু বলে তারা সঠিক কথা বলে না। কারণ কাল বীগ ব্যাং এর আগেও ছিলো।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই তাঁর।কে সে যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করবে? তাঁর সামনে পিছনে যা কিছু আছে তা’ তিনি জানেন।তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’ আকাশ ও পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।এ দু’টির হেফাজত তাঁকে ক্লান্ত করে না।আর তিনি পরম উচ্চ-মহিয়ান।
* আল্লাহ নিজেকে চির বিদ্যমাণ দাবী করেছেন। সেজন্য তাঁর সাথে বিদ্যমাণ হলো চিরকাল। যাকে মহাকাল বলে। আল্লাহ বলেছেন, ইয়াসয়ালুনাকা আনিদ্দাহরি, কুল আনাদ্দাহার-তোমাকে মহাকাল সম্পর্কে প্রশ্ন করা হচ্ছে, বল, আমিই (আল্লাহ) মহাকাল। আল্লাহ ছাড়া আর সব কিছুর অবস্থান আল্লাহর পরে বিধায় তিনি ছাড়া আর কেউ মহাকাল নয়।
# আল্লাহর কালের ঘড়ি তিনি নিজেই। তাঁর অবস্থান এবং কালের অবস্থান সমান বিধায় আল্লাহ নিজেকে মহাকাল বলে আখ্যায়িত করেছেন।কালের এ বাস্তবতা থেকেই অনুভব করা যাবে আল্লাহ কিভাবে ভবিষ্যৎ জানেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:৩৪