আমার কাজ হলো বিশ্বাস সুদৃঢ় করা, তাতে অবিশ্বাসী মাইন্ড খেয়ে বসে কেন? বিশ্বাসেই আমি পেয়েছি সরল সঠিক পথ। সেটাই আমি বিশ্বাসীগণকে বলছি। অবিশ্বাসী তাতে ক্ষেপে যায় কেন ঠিক বুঝলাম না।
আজ একটা চাকুরীর নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষক হলাম। একজনের পক্ষে কাজ করার জন্য আমার উপর চাপ ছিলো। রমজানে এমন অকাজ করতে হয় কিনা সে বিষয়ে সংকিত ছিলাম। আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইলাম তিনি যের আমাকে রক্ষা করেন। পরীক্ষা নিতে গিয়ে দেখলাম আমার যার পক্ষে কাজ করার কথা সে ছাড়া আর কেউ সাবলিল নয়। পরীক্ষাতে সে একাই উত্তীর্ণ হলো।আমাকে কোন অকাজ করতে হয়নি বলে মনে বড় শান্তি পেলাম। জীবনের বাঁকে বাঁকে এভাবেই আল্লাহ রক্ষা করে আসছেন। সেজন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আল্লাহ বলেছেন, পাপের কারণে তিনি লোকদেরকে হেদায়াত বঞ্চিত করেন।তখন আর তাদেরকে বিশ্বাসের কথা বুঝানো যায় না। কে একজন যেন বলছিলো, এদেরকে বিশ্বাস বেটে গুলে পানি খাওয়ালেও এরা বিশ্বাস করবে না। মুমিনের বিশ্বাস হলো এর ফলে তারা পরকালে আল্লাহর আযাব থেকে বেঁচে যাবে এবং যারা মুমিন নয় তারা আল্লাহর আযাবে গ্রেফতার হবে। অবিশ্বাসীর এতে বিশ্বাস নেই। হযরত নূহ (আ.) এক জন নবি। অথচ তাঁর এক ছেলে ও স্ত্রী তাঁর কথায় বিশ্বাস করেনি। এদিকে ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়া (আ.) ও পালক পুত্র মুছা (আ.) তার অবিশ্বাসে বিশ্বাস করেনি। মহানবির (সা.) চাচা আবু লাহাব তাঁর কথায় বিশ্বাস করেনি। এভাবেই চলছে বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের খেলা।
মাঝে মাঝে কিছু অবিশ্বাসীকে অনেক উৎসাহী দেখা যায়। কিন্তু বিশ্বাসী এমন চিজ যে এদেরকে অবিশ্বাস গুলিয়ে খাওয়ালেও তারা অবিশ্বাসী হয় না। এর কারণ আল্লাহ যাঁকে হেদায়াত প্রদান করেন হাজার চেষ্টা করেও তাকে পথভ্রষ্ট করা যায় না। এখন সঠিক কাজ হলো বিশ্বাস ও অবিশ্বাস নিয়ে সংঘাতে না জড়ানো। বিশ্বে এখন একটা মন্দ দৃষ্টান্ত তৈরী হয়েছে। তা’ হলো এক পক্ষ অন্য পক্ষের নিরিহ লোকদেরকে হত্যা করা।
অবিশ্বাসীদের কেউ কেউ কোরআন পোড়ায়। কিন্তু বিশ্বের সব কোরআন পোড়ালেও কোরআন পুড়িয়ে শেষ করা যাবে না। কারণ বিশ্বে কোটি কোটি কোরআনে হাফেজ রয়েছে। চৌদ্দশ বছর, চৌদ্দশ বছর নিয়ে সেকাল থেকে অনেক চিৎকার দেখছি। কিন্তু মানুষের চৌদ্দশ বছর পিছনে তাকানো বন্ধ হচ্ছে না। কারণ মুমিনের ঈমানের উৎস মোহাম্মদ (সা.) চৌদ্দশ বছর পূর্বে পৃথিবীতে এসেছেন। এসব সাদামাটা কথাগুলোই আমি বলি। তাতে অবিশ্বাসী ক্ষেপে যায় কেন বুঝতে পারি না। তখন মনে প্রশ্ন জাগে আমি কি তবে তাদের অবিশ্বাস নষ্ট করছি? এমন ভয় থাকলে তারা তাদের অবিশ্বাস ফ্রিজের ডিপে রেখে দিক।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:০১