
বন্ধুত্ব নয় ভারত বাংলাদেশের প্রভুত্ব চায়। আর আমেরিকাতো সারা বিশ্বের বড় মিয়া। প্রভুত্ব মানায় ভারত আওয়ামী সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া ছিলো। কারণ সেভেন সিস্টার। তাদের সেবায় আওয়ামী দাসত্ব ভারতের প্রয়োজন ছিলো। বিশ্ব মোড়ল আমেরিকা চায়নি পুসকে বাংলাদেশ তার অবাধ্য হোক। কিন্তু আওয়ামী সরকার মোড়লকে তুচ্ছ করে চলছে। মোড়লের জানের দোস্ত ইসরাইল। সুতরাং আওয়মী লীগকে শায়েস্তা করতে ‘সিআইএ’ এর সাথে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশে আসে ‘মোসাদ’। তারা আন্দোলনকারীদের পক্ষ নেয়। আর ‘র’ হয় তাদের প্রতিপক্ষ। আন্দোলনকারীদের সাথে জয়ী হয় ‘সিআইএ’ ও ‘মোসাদ’। ‘র’ হেরে গিয়ে পিছু হটে এবং আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। শেখ হাসিনা আমেরিকাকে বাংলাদেশের দ্বীপে ঘাটি তৈরী করতে দিবেন কি ‘র’ তো সেটা চায় না। আমেরিকা এখানে আসলে তাদের সেভেন সিস্টার হাতছাড়া হতে পারে। হয়ে যেতে পারে সেগুলো সাতটি স্বাধীন দেশ।তারপর আমেরিকা হবে তাদের অভিভাবক। আহা কি আনন্দ আকাশে-বাতাসে। আর বাংলাদেশের দ্বীপে আমেরিকার সেনা ঘাটি থাকা মানে বাংলাদেশ আমেরিকার বাধ্যতামূলক বন্ধু হবে।সব দিক বিবেচনায় শেখ হাসিনা ‘র’ এর সাথে থাকলেন।
ছাত্ররা হয়ত জানেও না তাদের পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে ‘সিআইএ’ ও ‘মোসাদ’। এরা অন্যদের ঝগড়ায় তাদের বন্ধু হয়ে গেল। সূত্রটি হলো শত্রুর শত্রু তাদের মিত্র। শেখ হাসিনা আমেরিকাকে দ্বীপ দিলে ‘র’ তার বিপক্ষে চলে যেত। ‘র’ হারবে এ বিষয়ে শেখ হাসিনা নিশ্চিত ছিলেন না। সুতরাং সব দিক বিবেচনায় তিনি ‘র’ এর সাথে থেকে গেলেন। ‘র’ পিছু হটে সুযুগের অপেক্ষায় আছে। আন্দোলনকারীদের পিছন থেকে জনমত সরে গেলে আওয়ামী লীগ গর্ত থেকে বেরিয়ে আসবে। তখন আবার ‘র’ এর জয়ী হবার সম্ভাবনা থাকবে।১৫ তারিখ তাদের লোকজন রাস্তায় নামবে বলে আওয়ামী লীগ ধারনা করেছে। কিন্তু তেমটা ঘটেনি। দ্রুততম সময়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো বিএনপির দায়িত্ব। কারণ যুদ্ধ শেষ হয়নি।‘র’ পিছু হটেছে মাত্র। জয় ধরে রাখতে ভারতকে খুশী রাখা দরকার। যদি ভারত মনে করে আওয়ামী লীগ না হলেও তাদের চলবে, তাহলে ‘র’ রনে ভঙ্গ দিবে। তখন আওয়ামী লীগের অপেক্ষার সময় বাড়বে এবং আওয়ামী বিরোধীরা ক্ষমতায় টিকে থাকবে। ‘সিআইএ’ ও ‘মোসাদ’ মাঝেমধ্যে তাদের পলিসি চেঞ্জ করে। সেজন্য তাদের বেশী ভরসা করা ঠিক না। একাত্তরে পাকিস্তান তাদেরকে বিশ্বাস করে ঠকেছে এবং জানে-প্রাণে মারা গেছে রাজাকাররা।সৌদি সরকার তাদের সাথে থেকে টিকে আছে। তবে তারা মুসলিমদের ঘৃণার পাত্র হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য তারা সেটা মেনে নিচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষমতা যারা চায় ‘র’ বিষয়ে তাদেরকে সাবধানী থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ ভারতকে যেসব সুবিধা দিয়েছে আমি মনে করি সেসব বন্ধ করার দরকার নেই। কারণ ‘র’ গুপ্ত হত্যা চালিয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে পারে। বাংলাদেশের নিজেদের লাভের জন্য ভারতের সাথে সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



